বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে জনসাধারণ মৌলিক সেবা পেতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চেয়ারম্যান আত্মগোপনে যাওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক সপ্তাহে মাত্র একদিন অফিস করেন। ফলে জন্মসনদ, ওয়ারিশ সনদ, ট্রেড লাইসেন্স বা মৃত্যুসনদ প্রাপ্তি নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশুরা। অন্তত ৫০টি শিশু টিকা কার্ডসহ আবেদন করেও জন্মনিবন্ধন পায়নি। এ কারণে তারা স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি বা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ মিলেছে। জন্মনিবন্ধন না থাকায় শিক্ষার্থী ভর্তি বা উপবৃত্তি সুবিধা পায় নাÑ এমন চিত্র কোনো সভ্য রাষ্ট্রে কাম্য নয়।
অভিযোগ আছে, সেখানে অনলাইনে জমা দেওয়া শতাধিক আবেদন জমা আছে। কিছু আবেদন মাসের পর মাস ঝুলে আছে শুধুমাত্র প্রশাসকের স্বাক্ষরের অভাবে। এভাবে চলতে থাকলে সরকারি সেবাদানের পুরো উদ্যোগই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের আয়-ব্যয়ের জবাবদিহি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আদায়কৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যাংকে জমা দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক জানেন না যে, কত টাকা আদায় হয়েছে। অফিস থেকে সরকারি মালামাল উধাও হওয়া, অননুমোদিত ব্যক্তি কর্তৃক সেবার নামে কার্যক্রম পরিচালনা প্রভৃতি অভিযোগও রয়েছে।
আমরা বলতে চাই, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এসব অভিযোগ আমলে নেওয়া। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে সেবা কার্যক্রম দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে। নাগরিক সেবা নিতে গিয়ে একজন মানুষও যেন ভোগান্তির শিকার না হয় সেটা সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে জনসাধারণ মৌলিক সেবা পেতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চেয়ারম্যান আত্মগোপনে যাওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক সপ্তাহে মাত্র একদিন অফিস করেন। ফলে জন্মসনদ, ওয়ারিশ সনদ, ট্রেড লাইসেন্স বা মৃত্যুসনদ প্রাপ্তি নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশুরা। অন্তত ৫০টি শিশু টিকা কার্ডসহ আবেদন করেও জন্মনিবন্ধন পায়নি। এ কারণে তারা স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি বা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ মিলেছে। জন্মনিবন্ধন না থাকায় শিক্ষার্থী ভর্তি বা উপবৃত্তি সুবিধা পায় নাÑ এমন চিত্র কোনো সভ্য রাষ্ট্রে কাম্য নয়।
অভিযোগ আছে, সেখানে অনলাইনে জমা দেওয়া শতাধিক আবেদন জমা আছে। কিছু আবেদন মাসের পর মাস ঝুলে আছে শুধুমাত্র প্রশাসকের স্বাক্ষরের অভাবে। এভাবে চলতে থাকলে সরকারি সেবাদানের পুরো উদ্যোগই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের আয়-ব্যয়ের জবাবদিহি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আদায়কৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যাংকে জমা দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক জানেন না যে, কত টাকা আদায় হয়েছে। অফিস থেকে সরকারি মালামাল উধাও হওয়া, অননুমোদিত ব্যক্তি কর্তৃক সেবার নামে কার্যক্রম পরিচালনা প্রভৃতি অভিযোগও রয়েছে।
আমরা বলতে চাই, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এসব অভিযোগ আমলে নেওয়া। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে সেবা কার্যক্রম দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে। নাগরিক সেবা নিতে গিয়ে একজন মানুষও যেন ভোগান্তির শিকার না হয় সেটা সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।