alt

opinion » editorial

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

: শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে জনসাধারণ মৌলিক সেবা পেতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চেয়ারম্যান আত্মগোপনে যাওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক সপ্তাহে মাত্র একদিন অফিস করেন। ফলে জন্মসনদ, ওয়ারিশ সনদ, ট্রেড লাইসেন্স বা মৃত্যুসনদ প্রাপ্তি নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশুরা। অন্তত ৫০টি শিশু টিকা কার্ডসহ আবেদন করেও জন্মনিবন্ধন পায়নি। এ কারণে তারা স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি বা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ মিলেছে। জন্মনিবন্ধন না থাকায় শিক্ষার্থী ভর্তি বা উপবৃত্তি সুবিধা পায় নাÑ এমন চিত্র কোনো সভ্য রাষ্ট্রে কাম্য নয়।

অভিযোগ আছে, সেখানে অনলাইনে জমা দেওয়া শতাধিক আবেদন জমা আছে। কিছু আবেদন মাসের পর মাস ঝুলে আছে শুধুমাত্র প্রশাসকের স্বাক্ষরের অভাবে। এভাবে চলতে থাকলে সরকারি সেবাদানের পুরো উদ্যোগই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের আয়-ব্যয়ের জবাবদিহি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আদায়কৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যাংকে জমা দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক জানেন না যে, কত টাকা আদায় হয়েছে। অফিস থেকে সরকারি মালামাল উধাও হওয়া, অননুমোদিত ব্যক্তি কর্তৃক সেবার নামে কার্যক্রম পরিচালনা প্রভৃতি অভিযোগও রয়েছে।

আমরা বলতে চাই, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এসব অভিযোগ আমলে নেওয়া। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে সেবা কার্যক্রম দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে। নাগরিক সেবা নিতে গিয়ে একজন মানুষও যেন ভোগান্তির শিকার না হয় সেটা সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

tab

opinion » editorial

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে জনসাধারণ মৌলিক সেবা পেতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চেয়ারম্যান আত্মগোপনে যাওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক সপ্তাহে মাত্র একদিন অফিস করেন। ফলে জন্মসনদ, ওয়ারিশ সনদ, ট্রেড লাইসেন্স বা মৃত্যুসনদ প্রাপ্তি নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশুরা। অন্তত ৫০টি শিশু টিকা কার্ডসহ আবেদন করেও জন্মনিবন্ধন পায়নি। এ কারণে তারা স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি বা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ মিলেছে। জন্মনিবন্ধন না থাকায় শিক্ষার্থী ভর্তি বা উপবৃত্তি সুবিধা পায় নাÑ এমন চিত্র কোনো সভ্য রাষ্ট্রে কাম্য নয়।

অভিযোগ আছে, সেখানে অনলাইনে জমা দেওয়া শতাধিক আবেদন জমা আছে। কিছু আবেদন মাসের পর মাস ঝুলে আছে শুধুমাত্র প্রশাসকের স্বাক্ষরের অভাবে। এভাবে চলতে থাকলে সরকারি সেবাদানের পুরো উদ্যোগই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের আয়-ব্যয়ের জবাবদিহি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আদায়কৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যাংকে জমা দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক জানেন না যে, কত টাকা আদায় হয়েছে। অফিস থেকে সরকারি মালামাল উধাও হওয়া, অননুমোদিত ব্যক্তি কর্তৃক সেবার নামে কার্যক্রম পরিচালনা প্রভৃতি অভিযোগও রয়েছে।

আমরা বলতে চাই, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এসব অভিযোগ আমলে নেওয়া। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে সেবা কার্যক্রম দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে। নাগরিক সেবা নিতে গিয়ে একজন মানুষও যেন ভোগান্তির শিকার না হয় সেটা সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

back to top