গাজীপুরে এক দিনের ব্যবধানে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এর আগে গত বুধবার মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন। আমরা সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনা দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আশা করি, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে হত্যা-নির্যাতনের আইনি বিচার করা হবে।
সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। তথ্য বা মতপ্রকাশের জন্য তাদের নানা হুমকি, হামলা ও মামলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অতীতেও অনেক সাংবাদিক নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। অভিযোগ আছে, সাংবাদিক নির্যাতনের বেশির ভাগ ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কোন না কোন ভাবে জড়িত।
সাংবাদিকরা যেন নির্বিঘেœ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়।
বিগত সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশ করার পর দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিল। অভিযোগ আছে, গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারও কোন মত পছন্দ না হলেই এই আইনে মামলা ঠুকে দেয়া হতো। প্রশ্ন হচ্ছে, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাংবাদিক নির্যানতনের চিত্র কতটুকু বদলেছে।
সাংবাদিক নির্যাতনের বেশির ভাগ অভিযোগের কোন প্রতিকার করা হয় না। দেশে সাংবাদিক হত্যার অনেক ঘটনারই বিচার হয়নি। বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয় না বলেই সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হবে না। বিচার করা না হলে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীও সাংবাদিক নির্যাতনে অন্যায় উৎসাহ পায়।
তথ্য বা মত প্রকাশ করাই সাংবাদিকের কাজ। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক নিপীড়ন কাম্য নয়। মুক্ত গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। অবাধ ও মুক্ত পরিবেশে সাংবাদিকতা করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার সব ঘটনার বিচার করা সরকারের অন্যতম কর্তব্য।
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
গাজীপুরে এক দিনের ব্যবধানে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এর আগে গত বুধবার মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন। আমরা সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনা দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আশা করি, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে হত্যা-নির্যাতনের আইনি বিচার করা হবে।
সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। তথ্য বা মতপ্রকাশের জন্য তাদের নানা হুমকি, হামলা ও মামলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অতীতেও অনেক সাংবাদিক নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। অভিযোগ আছে, সাংবাদিক নির্যাতনের বেশির ভাগ ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কোন না কোন ভাবে জড়িত।
সাংবাদিকরা যেন নির্বিঘেœ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়।
বিগত সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশ করার পর দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিল। অভিযোগ আছে, গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারও কোন মত পছন্দ না হলেই এই আইনে মামলা ঠুকে দেয়া হতো। প্রশ্ন হচ্ছে, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাংবাদিক নির্যানতনের চিত্র কতটুকু বদলেছে।
সাংবাদিক নির্যাতনের বেশির ভাগ অভিযোগের কোন প্রতিকার করা হয় না। দেশে সাংবাদিক হত্যার অনেক ঘটনারই বিচার হয়নি। বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয় না বলেই সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হবে না। বিচার করা না হলে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীও সাংবাদিক নির্যাতনে অন্যায় উৎসাহ পায়।
তথ্য বা মত প্রকাশ করাই সাংবাদিকের কাজ। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক নিপীড়ন কাম্য নয়। মুক্ত গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। অবাধ ও মুক্ত পরিবেশে সাংবাদিকতা করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার সব ঘটনার বিচার করা সরকারের অন্যতম কর্তব্য।