alt

সম্পাদকীয়

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

: রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫

গাজীপুরে এক দিনের ব্যবধানে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এর আগে গত বুধবার মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন। আমরা সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনা দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আশা করি, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে হত্যা-নির্যাতনের আইনি বিচার করা হবে।

সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। তথ্য বা মতপ্রকাশের জন্য তাদের নানা হুমকি, হামলা ও মামলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অতীতেও অনেক সাংবাদিক নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। অভিযোগ আছে, সাংবাদিক নির্যাতনের বেশির ভাগ ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কোন না কোন ভাবে জড়িত।

সাংবাদিকরা যেন নির্বিঘেœ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়।

বিগত সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশ করার পর দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিল। অভিযোগ আছে, গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারও কোন মত পছন্দ না হলেই এই আইনে মামলা ঠুকে দেয়া হতো। প্রশ্ন হচ্ছে, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাংবাদিক নির্যানতনের চিত্র কতটুকু বদলেছে।

সাংবাদিক নির্যাতনের বেশির ভাগ অভিযোগের কোন প্রতিকার করা হয় না। দেশে সাংবাদিক হত্যার অনেক ঘটনারই বিচার হয়নি। বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয় না বলেই সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হবে না। বিচার করা না হলে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীও সাংবাদিক নির্যাতনে অন্যায় উৎসাহ পায়।

তথ্য বা মত প্রকাশ করাই সাংবাদিকের কাজ। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক নিপীড়ন কাম্য নয়। মুক্ত গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। অবাধ ও মুক্ত পরিবেশে সাংবাদিকতা করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার সব ঘটনার বিচার করা সরকারের অন্যতম কর্তব্য।

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

অজগর হত্যা : বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় চাই জনসচেতনতা

লেভেল ক্রসিংয়ে প্রাণহানি : অব্যবস্থাপনার দুর্ভাগ্যজনক চিত্র

ঠাকুরগাঁওয়ে জলাতঙ্ক টিকার সংকট দূর করুন

পাহাড় কাটা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

বনমালীনগরে পাকা সড়কের জন্য আর কত অপেক্ষা

সার বিতরণ ব্যবস্থায় অনিয়ম বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

গাবতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংকট দূর করুন

গ্যাস অপচয় ও অব্যবস্থাপনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই

সুন্দরবনের বাঘ : সাফল্যের পরিসংখ্যান, চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হামলা : প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসনের ভূমিকা

পীরগঞ্জে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ

তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর হোন

রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

অবাধ গাছ কাটা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

দাদনের ফাঁদে আটকে পড়া জেলে সমাজ

জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ আমলে নিন

অব্যবস্থাপনার অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টান্ত হয়ে রইল মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

একটি ট্র্যাজেডি, কিছু প্রশ্ন

আসামী ‘অজ্ঞাতনামা’, হয়রানি সাধারণ মানুষের

পাট চাষিদের বিকল্প পচন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন

পুরোনো যানবাহন অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

tab

সম্পাদকীয়

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫

গাজীপুরে এক দিনের ব্যবধানে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এর আগে গত বুধবার মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন। আমরা সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনা দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আশা করি, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে হত্যা-নির্যাতনের আইনি বিচার করা হবে।

সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। তথ্য বা মতপ্রকাশের জন্য তাদের নানা হুমকি, হামলা ও মামলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অতীতেও অনেক সাংবাদিক নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। অভিযোগ আছে, সাংবাদিক নির্যাতনের বেশির ভাগ ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কোন না কোন ভাবে জড়িত।

সাংবাদিকরা যেন নির্বিঘেœ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়।

বিগত সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশ করার পর দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিল। অভিযোগ আছে, গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারও কোন মত পছন্দ না হলেই এই আইনে মামলা ঠুকে দেয়া হতো। প্রশ্ন হচ্ছে, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাংবাদিক নির্যানতনের চিত্র কতটুকু বদলেছে।

সাংবাদিক নির্যাতনের বেশির ভাগ অভিযোগের কোন প্রতিকার করা হয় না। দেশে সাংবাদিক হত্যার অনেক ঘটনারই বিচার হয়নি। বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয় না বলেই সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হবে না। বিচার করা না হলে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীও সাংবাদিক নির্যাতনে অন্যায় উৎসাহ পায়।

তথ্য বা মত প্রকাশ করাই সাংবাদিকের কাজ। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক নিপীড়ন কাম্য নয়। মুক্ত গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। অবাধ ও মুক্ত পরিবেশে সাংবাদিকতা করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার সব ঘটনার বিচার করা সরকারের অন্যতম কর্তব্য।

back to top