আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে তাদের জন্য আলাদা বুথ স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তরুণদের ভোটদানে উৎসাহিত করার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আমরা প্রথমেই জানতে চাইবো যে, ভোটের ব্যাবস্থাপনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার কর্তৃপক্ষ কে? কোথায় কোন বুথ হবে, কার জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে সেই এখতিয়ার কার? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বা নির্বাহী বিভাগ নাকি নির্বাচন কমিশনের?
নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন প্রক্রিয়ার সকল দিক নির্ধারণ করার দায়িত্ব তাদের। কারও জন্য আলাদা বুথ স্থাপনের মতো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এ ধরনের ঘোষণা জনমনে এই ধারণা জাগাতে পারে যে, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করছে।
তরুণদের জন্য আলাদ বুথ করার প্রয়োজনীয়তা কেন পড়ল? আলাদা বুথ থাকা না-থাকার সঙ্গে তরুণদের ভোট দেওয়ায় উৎসাহ বাড়া বা কমার কী সম্পর্ক সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।
কোনো ভোটার গোষ্ঠীর জন্য আলাদা বুথ থাকবে কি থাকবে না সেটা ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এ বিষয়ে কোনো কথা বলবার কথা নয়। এতে মানুষের মনে সন্দেহ-সংশয় দেখা দিচ্ছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবে আগামী নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে কিনা।
প্রধান উপদেষ্টা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলছেন, আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা নির্বাচন। এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হলে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং জনগণের আস্থা অর্জন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রেক্ষাপটে, সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এমন কোনো বক্তব্য দেওয়া উচিত নয়, যা জনমনে সন্দেহ বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
তরুণদের ভোটদানে উৎসাহিত করা খারাপ কিছু নয়। তরুণরা দেশের ভবিষ্যৎ, এবং তাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ততা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য আলাদা বুথের ব্যাবস্থা করতে হবে এই চিন্তা কোথা থেকে আসলো?
অনেক বিশ্লেষকের মতে, আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে তরুণরা মুখিয়ে আছেন। আইন-শৃঙ্খলা ঠিক থাকলে, নির্বাচনের সামগ্রিক পরিবেশ ঠিক থাকলে অনেকেই ভোটকেন্দ্রে এমনিতেই যাবেন। সেটা শুধু তরুণরা নন, সব বয়সের ভোটারই আগ্রহী হবেন ভোট দিতে যদি প্রাক নির্বাচনী প্রক্রিয়া আইনসম্মত ও সুষ্ঠু থাকে।
এর বাইরে আলাদা বুথ স্থাপনের মতো যদি কিছু করার প্রয়োজন অনুভূত হয় সেটা যেন সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়। এবং কোন বয়সীদের জন্য এটা বেশী প্রয়োজন সেটাও ভাববার বিষয়। প্রবীন, শারীরিকভাবে অসুস্থ্য ভোটারদের জন্যই বরং বিশেষ ব্যাবস্থার প্রয়োজন হবে।
ভোটের আগে মানুষের মনে বিশ্বাস তৈরী করতে হবে যে পুরো প্রক্রিয়া আইনমাফিক এগোচ্ছে এবং নির্বাচন অবাধ এ সুষ্ঠু হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতা অক্ষুণœ রাখা এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে জনগণ নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারে। উপদেষ্টাদের বাগাড়ম্বর ভোটারদের সন্দিহান করে তুলতে পারে।
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে তাদের জন্য আলাদা বুথ স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তরুণদের ভোটদানে উৎসাহিত করার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আমরা প্রথমেই জানতে চাইবো যে, ভোটের ব্যাবস্থাপনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার কর্তৃপক্ষ কে? কোথায় কোন বুথ হবে, কার জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে সেই এখতিয়ার কার? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বা নির্বাহী বিভাগ নাকি নির্বাচন কমিশনের?
নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন প্রক্রিয়ার সকল দিক নির্ধারণ করার দায়িত্ব তাদের। কারও জন্য আলাদা বুথ স্থাপনের মতো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এ ধরনের ঘোষণা জনমনে এই ধারণা জাগাতে পারে যে, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করছে।
তরুণদের জন্য আলাদ বুথ করার প্রয়োজনীয়তা কেন পড়ল? আলাদা বুথ থাকা না-থাকার সঙ্গে তরুণদের ভোট দেওয়ায় উৎসাহ বাড়া বা কমার কী সম্পর্ক সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।
কোনো ভোটার গোষ্ঠীর জন্য আলাদা বুথ থাকবে কি থাকবে না সেটা ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এ বিষয়ে কোনো কথা বলবার কথা নয়। এতে মানুষের মনে সন্দেহ-সংশয় দেখা দিচ্ছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবে আগামী নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে কিনা।
প্রধান উপদেষ্টা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলছেন, আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা নির্বাচন। এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হলে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং জনগণের আস্থা অর্জন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রেক্ষাপটে, সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এমন কোনো বক্তব্য দেওয়া উচিত নয়, যা জনমনে সন্দেহ বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
তরুণদের ভোটদানে উৎসাহিত করা খারাপ কিছু নয়। তরুণরা দেশের ভবিষ্যৎ, এবং তাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ততা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য আলাদা বুথের ব্যাবস্থা করতে হবে এই চিন্তা কোথা থেকে আসলো?
অনেক বিশ্লেষকের মতে, আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে তরুণরা মুখিয়ে আছেন। আইন-শৃঙ্খলা ঠিক থাকলে, নির্বাচনের সামগ্রিক পরিবেশ ঠিক থাকলে অনেকেই ভোটকেন্দ্রে এমনিতেই যাবেন। সেটা শুধু তরুণরা নন, সব বয়সের ভোটারই আগ্রহী হবেন ভোট দিতে যদি প্রাক নির্বাচনী প্রক্রিয়া আইনসম্মত ও সুষ্ঠু থাকে।
এর বাইরে আলাদা বুথ স্থাপনের মতো যদি কিছু করার প্রয়োজন অনুভূত হয় সেটা যেন সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়। এবং কোন বয়সীদের জন্য এটা বেশী প্রয়োজন সেটাও ভাববার বিষয়। প্রবীন, শারীরিকভাবে অসুস্থ্য ভোটারদের জন্যই বরং বিশেষ ব্যাবস্থার প্রয়োজন হবে।
ভোটের আগে মানুষের মনে বিশ্বাস তৈরী করতে হবে যে পুরো প্রক্রিয়া আইনমাফিক এগোচ্ছে এবং নির্বাচন অবাধ এ সুষ্ঠু হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতা অক্ষুণœ রাখা এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে জনগণ নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারে। উপদেষ্টাদের বাগাড়ম্বর ভোটারদের সন্দিহান করে তুলতে পারে।