পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের বিসিআইসি অনুমোদিত এক ডিলারের বিরুদ্ধে সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকরা সার কিনতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও প্রয়োজনীয় সার পাননি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, আগস্ট মাসে উক্ত ডিলার ১২৮ টন ইউরিয়া, ৩.২০ টন টিএসপি, ৮.৯৫ টন এমওপি এবং ৫.৪ টন ডিএপি সার বরাদ্দ পেয়েছে। সার থাকা সত্ত্বেও কৃষকরা সঠিক সময়ে সার পাচ্ছেন না। কৃষকদের অভিযোগ, গোডাউন থেকে সার অন্যত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। সরকারি মূল্যে সার বিক্রির বদলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খুচরা কীটনাশক দোকানদারদের কাছে সার বিক্রি করা হচ্ছে, যারা পরে কৃষকদের কাছে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন। ফলে সার কিনতে গিয়ে কৃষকদের বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে। ১৩৫০ টাকার বস্তা ১৭০০-১৯০০ টাকায় এবং ১০৫০ টাকার বস্তা ১২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং সার বিতরণ ব্যবস্থার বৃহত্তর সমস্যার একটি উদাহরণ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এই আশ্বাস কৃষকদের কিছুটা সান্ত¡না দিলেও, সমস্যার মূল কারণ নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
সার বিতরণে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা কৃষি খাতের জন্য অপরিহার্য। কৃষকরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার মূল স্তম্ভ। তাদের অতিরিক্ত মূল্যে সার কিনতে বাধ্য করা শুধু তাদের জীবিকার ওপর আঘাত নয়, বরং দেশের কৃষি উৎপাদনের জন্যও হুমকি। স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগকে এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি বাড়াতে হবে। সার বিতরণে সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেয়ার জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের বিসিআইসি অনুমোদিত এক ডিলারের বিরুদ্ধে সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকরা সার কিনতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও প্রয়োজনীয় সার পাননি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, আগস্ট মাসে উক্ত ডিলার ১২৮ টন ইউরিয়া, ৩.২০ টন টিএসপি, ৮.৯৫ টন এমওপি এবং ৫.৪ টন ডিএপি সার বরাদ্দ পেয়েছে। সার থাকা সত্ত্বেও কৃষকরা সঠিক সময়ে সার পাচ্ছেন না। কৃষকদের অভিযোগ, গোডাউন থেকে সার অন্যত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। সরকারি মূল্যে সার বিক্রির বদলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খুচরা কীটনাশক দোকানদারদের কাছে সার বিক্রি করা হচ্ছে, যারা পরে কৃষকদের কাছে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন। ফলে সার কিনতে গিয়ে কৃষকদের বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে। ১৩৫০ টাকার বস্তা ১৭০০-১৯০০ টাকায় এবং ১০৫০ টাকার বস্তা ১২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং সার বিতরণ ব্যবস্থার বৃহত্তর সমস্যার একটি উদাহরণ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এই আশ্বাস কৃষকদের কিছুটা সান্ত¡না দিলেও, সমস্যার মূল কারণ নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
সার বিতরণে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা কৃষি খাতের জন্য অপরিহার্য। কৃষকরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার মূল স্তম্ভ। তাদের অতিরিক্ত মূল্যে সার কিনতে বাধ্য করা শুধু তাদের জীবিকার ওপর আঘাত নয়, বরং দেশের কৃষি উৎপাদনের জন্যও হুমকি। স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগকে এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি বাড়াতে হবে। সার বিতরণে সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেয়ার জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।