সিলেটের ভোলাগঞ্জের ‘সাদা পাথর’ লুট হচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে পাথর ও বালু তোলা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে অভিযান চালানো হয়েছে, মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তারও হয়েছে কেউ কেউ। তবু পাথর লুট বন্ধ হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পাথর উত্তোলনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। এরপরও পাথর তোলা হচ্ছে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, এমনকি প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে এই লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। সিলেট জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতা থেকে যুবদলের কয়েকজন নেতা এই অপকর্মে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল, পাথর কোয়ারি ভাড়া দেয়া ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে এই ব্যবস্থা কতটা কার্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ, প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপের পরিবর্তে শুধু লোক দেখানো অভিযানই চলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেনÑনদীর স্র্রোতের গতি নিয়ন্ত্রণে, তীর রক্ষায় পাথরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বিচারে পাথর তুললে নদীর স্রোত বাড়ে, তলদেশ ক্ষয় হয়, ভাঙন বাড়ে, পানির গুণগত মানও খারাপ হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। পাথর তুললে শুধু একটি পর্যটন স্থানের সৌন্দর্যই নষ্ট হয় না, পরিবেশ-প্রতিবেশেরও ক্ষতি হয়।
নির্বিচারে বালু তোলার কারণে ঝুঁকির মুখে পড়েছে ধলাই সেতু। এই সেতু বহু মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। কোনো কারণে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগ বিঘিœত হতে পারে।
সাদা পাথর ও ধলাই সেতুর ধ্বংসযজ্ঞ শুধু পরিবেশগত বিপর্যয় নয়, এটি আমাদের সমাজের লোভ, দুর্নীতি ও দায়িত্বহীনতার প্রতিফলন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কঠোর পদক্ষেপ জরুরি। পাথর ও বালু লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় হতে হবে।
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
সিলেটের ভোলাগঞ্জের ‘সাদা পাথর’ লুট হচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে পাথর ও বালু তোলা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে অভিযান চালানো হয়েছে, মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তারও হয়েছে কেউ কেউ। তবু পাথর লুট বন্ধ হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পাথর উত্তোলনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। এরপরও পাথর তোলা হচ্ছে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, এমনকি প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে এই লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। সিলেট জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতা থেকে যুবদলের কয়েকজন নেতা এই অপকর্মে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল, পাথর কোয়ারি ভাড়া দেয়া ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে এই ব্যবস্থা কতটা কার্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ, প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপের পরিবর্তে শুধু লোক দেখানো অভিযানই চলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেনÑনদীর স্র্রোতের গতি নিয়ন্ত্রণে, তীর রক্ষায় পাথরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বিচারে পাথর তুললে নদীর স্রোত বাড়ে, তলদেশ ক্ষয় হয়, ভাঙন বাড়ে, পানির গুণগত মানও খারাপ হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। পাথর তুললে শুধু একটি পর্যটন স্থানের সৌন্দর্যই নষ্ট হয় না, পরিবেশ-প্রতিবেশেরও ক্ষতি হয়।
নির্বিচারে বালু তোলার কারণে ঝুঁকির মুখে পড়েছে ধলাই সেতু। এই সেতু বহু মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। কোনো কারণে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগ বিঘিœত হতে পারে।
সাদা পাথর ও ধলাই সেতুর ধ্বংসযজ্ঞ শুধু পরিবেশগত বিপর্যয় নয়, এটি আমাদের সমাজের লোভ, দুর্নীতি ও দায়িত্বহীনতার প্রতিফলন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কঠোর পদক্ষেপ জরুরি। পাথর ও বালু লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় হতে হবে।