জন্ম নিবন্ধন আজ নাগরিক জীবনের একটি অপরিহার্য নথি। স্কুল-কলেজে ভর্তি, চাকরি, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ১৯টি সরকারি ও বেসরকারি কাজে এটি বাধ্যতামূলক। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সনদ পেতে দেশের অসংখ্য মানুষকে নানা হয়রানি ও জটিলতার মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে যৌনকর্মী, পথশিশু ও অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য জন্ম নিবন্ধন পাওয়া অনেক কঠিন। এর ফলে তারা শিক্ষার সুযোগ, সামাজিক সুরক্ষা ও আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গত সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, জন্ম নিবন্ধনের আইনি বিধান থাকলেও বাস্তবে তার সঠিক প্রয়োগ নেই। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ১৪ ক্যাটাগরির সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে বিনামূল্যে নিবন্ধন দেয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদাসীনতা এই প্রক্রিয়াকে প্রায় অকার্যকর করে তুলেছে। একই সঙ্গে ভুয়া নিবন্ধনের বিস্তার, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য এবং যাচাই-প্রক্রিয়ার দুর্বলতা একটি ভয়াবহ অনিয়মের সংস্কৃতি তৈরি করেছে।
এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে সহজ ও সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। ভুয়া নিবন্ধন যাচাইয়ের জন্য শক্তিশালী ও সহজ প্রযুক্তিগত পদ্ধতি তৈরি করতে হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধনকে সহজলভ্য করাও জরুরি।
জন্ম নিবন্ধন শুধু একটি নথি নয়, এটি একজন নাগরিকের পরিচয় ও অধিকার রক্ষার মৌলিক ভিত্তি। জন্ম নিবন্ধনের জটিলতা দূর করা মানে শুধু প্রশাসনিক উন্নতি নয়, বরং ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের পথে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ।
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
জন্ম নিবন্ধন আজ নাগরিক জীবনের একটি অপরিহার্য নথি। স্কুল-কলেজে ভর্তি, চাকরি, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ১৯টি সরকারি ও বেসরকারি কাজে এটি বাধ্যতামূলক। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সনদ পেতে দেশের অসংখ্য মানুষকে নানা হয়রানি ও জটিলতার মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে যৌনকর্মী, পথশিশু ও অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য জন্ম নিবন্ধন পাওয়া অনেক কঠিন। এর ফলে তারা শিক্ষার সুযোগ, সামাজিক সুরক্ষা ও আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গত সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, জন্ম নিবন্ধনের আইনি বিধান থাকলেও বাস্তবে তার সঠিক প্রয়োগ নেই। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ১৪ ক্যাটাগরির সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে বিনামূল্যে নিবন্ধন দেয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদাসীনতা এই প্রক্রিয়াকে প্রায় অকার্যকর করে তুলেছে। একই সঙ্গে ভুয়া নিবন্ধনের বিস্তার, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য এবং যাচাই-প্রক্রিয়ার দুর্বলতা একটি ভয়াবহ অনিয়মের সংস্কৃতি তৈরি করেছে।
এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে সহজ ও সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। ভুয়া নিবন্ধন যাচাইয়ের জন্য শক্তিশালী ও সহজ প্রযুক্তিগত পদ্ধতি তৈরি করতে হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধনকে সহজলভ্য করাও জরুরি।
জন্ম নিবন্ধন শুধু একটি নথি নয়, এটি একজন নাগরিকের পরিচয় ও অধিকার রক্ষার মৌলিক ভিত্তি। জন্ম নিবন্ধনের জটিলতা দূর করা মানে শুধু প্রশাসনিক উন্নতি নয়, বরং ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের পথে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ।