alt

opinion » editorial

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫

ভারতের গজল ডোবা ব্রিজের সব জলকপাট খুলে দেয়া, উজানের পাহাড়ি ঢল এবং টানা ভারি বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোতে পানি বেড়েছে। তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমারের পানি ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, চরাঞ্চলের কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে গেছে এবং বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

তিস্তা তীরবর্তী লালমনিরহাটের হাতিবান্দায় পানি বাড়ার ফলে বাড়িঘরে পানি উঠছে। সেখানকার অনেক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, সোলার প্যানেল স্থাপনের কারণে নদীর স্রোতের গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে লোকালয়ে পানির চাপ বেড়েছে। কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে ১০ হাজার একর আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। সেখানে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায়ও একইভাবে চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে।

এ পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন বন্যাপ্রবণ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে এবং স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, ত্রাণ বা সহায়তা এখনও তাদের কাছে পৌঁছায়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে তিস্তার পানি চতুর্থবারের মতো বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর নদীর পানি কমতে পারে, তবে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি আগামী তিন দিন পর্যন্ত বাড়তে পারে। এ পরিস্থিতিতে বড় বন্যার সম্ভাবনা না থাকলেও নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে টানা বৃষ্টিতে শত শত একর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। কৃষকরা ধার-দেনা করে ফসল লাগিয়েছিলেন, কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে তারা এখন দিশেহারা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খাল খননের অভাবে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে, যা ফসলের ক্ষতির অন্যতম কারণ।

এ সংকট মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট এলকার ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণ সহায়তা দ্রুত পৌঁছাতে হবে। নদী ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। খাল খনন ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি করার বিকল্প নেই।

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

tab

opinion » editorial

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫

ভারতের গজল ডোবা ব্রিজের সব জলকপাট খুলে দেয়া, উজানের পাহাড়ি ঢল এবং টানা ভারি বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোতে পানি বেড়েছে। তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমারের পানি ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, চরাঞ্চলের কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে গেছে এবং বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

তিস্তা তীরবর্তী লালমনিরহাটের হাতিবান্দায় পানি বাড়ার ফলে বাড়িঘরে পানি উঠছে। সেখানকার অনেক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, সোলার প্যানেল স্থাপনের কারণে নদীর স্রোতের গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে লোকালয়ে পানির চাপ বেড়েছে। কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে ১০ হাজার একর আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। সেখানে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায়ও একইভাবে চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে।

এ পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন বন্যাপ্রবণ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে এবং স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, ত্রাণ বা সহায়তা এখনও তাদের কাছে পৌঁছায়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে তিস্তার পানি চতুর্থবারের মতো বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর নদীর পানি কমতে পারে, তবে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি আগামী তিন দিন পর্যন্ত বাড়তে পারে। এ পরিস্থিতিতে বড় বন্যার সম্ভাবনা না থাকলেও নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে টানা বৃষ্টিতে শত শত একর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। কৃষকরা ধার-দেনা করে ফসল লাগিয়েছিলেন, কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে তারা এখন দিশেহারা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খাল খননের অভাবে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে, যা ফসলের ক্ষতির অন্যতম কারণ।

এ সংকট মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট এলকার ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণ সহায়তা দ্রুত পৌঁছাতে হবে। নদী ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। খাল খনন ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি করার বিকল্প নেই।

back to top