সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ ইউনিয়নের চরনাটিপাড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি পাকা সেতুর পাশ দিয়ে মাটি ধসে যাওয়ায় সেতুটি চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থী, কৃষক এবং সাধারণ মানুষের চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ও সংগৃহীত অর্থে বাঁশ, কাঠ, পেরেক, এবং সিমেন্টের খুঁটি ব্যবহার করে একটি সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এই উদ্যোগ শুধু স্থানীয়দের চলাচলের সমস্যার সমাধানই করেনি, বরং তরুণ প্রজন্মের ঐক্য, দায়িত্ববোধ এবং সমাজসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শিক্ষার্থীরা দেখিয়েছে যে, সংকট মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ কতটা কার্যকর হতে পারে।
এ ঘটনা কেবল একটি সাঁকো নির্মাণের গল্প নয়; এটি দায়িত্ববোধ, নেতৃত্ব এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। দেশে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায়ই সময়ক্ষেপণ হয়, বাজেট বরাদ্দের বিলম্বে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। অথচ স্থানীয় বাসিন্দারা, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম, যদি উদ্যোগী হয় তাহলে অনেক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব। শিক্ষার্থীদের এই কর্মপ্রচেষ্টা প্রমাণ করেছে, সামাজিক দায়বদ্ধতা শুধু সরকারি বা রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; সচেতন নাগরিকরাও পরিবর্তনের শক্তি হয়ে উঠতে পারে।
তবে এটি মূল সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়। একটি সাঁকো আপৎকালীন স্বস্তি দিলেও নিরাপদ, টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব সরকারেরই। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি মেরামতের উদ্যোগ নেবে বলে আশা করি। পাশাপাশি, এমন উদাহরণ যেন অন্য অঞ্চলেও অনুপ্রেরণা হয়ে ছড়িয়ে পড়ে, সে জন্য শিক্ষার্থীদের এ অবদানকে সামাজিক স্বীকৃতি ও প্রণোদনা দেওয়া জরুরি।
যে সমাজের তরুণরা শুধু অভিযোগ না করে হাতে-কলমে সমস্যার সমাধানে নামতে পারে, সেই সমাজই উন্নতির পথে এগোয়। কাজিপুরের শিক্ষার্থীরা আমাদের সেই আশার আলো দেখিয়েছে।
শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ ইউনিয়নের চরনাটিপাড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি পাকা সেতুর পাশ দিয়ে মাটি ধসে যাওয়ায় সেতুটি চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থী, কৃষক এবং সাধারণ মানুষের চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ও সংগৃহীত অর্থে বাঁশ, কাঠ, পেরেক, এবং সিমেন্টের খুঁটি ব্যবহার করে একটি সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এই উদ্যোগ শুধু স্থানীয়দের চলাচলের সমস্যার সমাধানই করেনি, বরং তরুণ প্রজন্মের ঐক্য, দায়িত্ববোধ এবং সমাজসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শিক্ষার্থীরা দেখিয়েছে যে, সংকট মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ কতটা কার্যকর হতে পারে।
এ ঘটনা কেবল একটি সাঁকো নির্মাণের গল্প নয়; এটি দায়িত্ববোধ, নেতৃত্ব এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। দেশে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায়ই সময়ক্ষেপণ হয়, বাজেট বরাদ্দের বিলম্বে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। অথচ স্থানীয় বাসিন্দারা, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম, যদি উদ্যোগী হয় তাহলে অনেক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব। শিক্ষার্থীদের এই কর্মপ্রচেষ্টা প্রমাণ করেছে, সামাজিক দায়বদ্ধতা শুধু সরকারি বা রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; সচেতন নাগরিকরাও পরিবর্তনের শক্তি হয়ে উঠতে পারে।
তবে এটি মূল সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়। একটি সাঁকো আপৎকালীন স্বস্তি দিলেও নিরাপদ, টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব সরকারেরই। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি মেরামতের উদ্যোগ নেবে বলে আশা করি। পাশাপাশি, এমন উদাহরণ যেন অন্য অঞ্চলেও অনুপ্রেরণা হয়ে ছড়িয়ে পড়ে, সে জন্য শিক্ষার্থীদের এ অবদানকে সামাজিক স্বীকৃতি ও প্রণোদনা দেওয়া জরুরি।
যে সমাজের তরুণরা শুধু অভিযোগ না করে হাতে-কলমে সমস্যার সমাধানে নামতে পারে, সেই সমাজই উন্নতির পথে এগোয়। কাজিপুরের শিক্ষার্থীরা আমাদের সেই আশার আলো দেখিয়েছে।