alt

opinion » editorial

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

: রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫

গত ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুলের তোড়া নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। গণপিটুনির শিকার রিকশাচালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে, আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে এক বছর আগের হত্যাচেষ্টা মামলা দেওয়া হয়। আদালত অবশ্য পরে তাকে জামিন দিয়েছে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একজন সাধারণ নাগরিককে গ্রেপ্তার ও মামলা দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশে চলমান মামলা, গ্রেপ্তার ও জামিন প্রক্রিয়ার একটি নজির এই ঘটনা। গত বছর পাঁচ আগস্টের পর থেকে বহু মানুষকে হত্যা মামলা কিংবা বিস্ফোরণ মামলায় আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে কেবল সাবেক মন্ত্রী-এমপি বা নির্বাহী ক্ষমতার ব্যাক্তিই নন বিচারপতি থেকে শুরু করে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন।

অভ্যুত্থানের পর কেবল রাজধানীতেই মামলা হয়েছে ৭০৭টি। আর গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫,০৭৯ জন। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। ব্যাক্তিগত রেষারেষির জেরে মামলার কথাও শোনা যায়। আসামি করার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি এবং নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানির অনেক ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

গ্রেপ্তার ও জামিনের ক্ষেত্রে ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ বা পছন্দ-অপছন্দের অভিযোগ উঠেছে। কোনো কোনো আসামীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। কেউ দ্রুত জামিন পাচ্ছেন, কেউ দীর্ঘদিন ধরে বিনা বিচারে আটক রয়েছেন। এটা কি আইনের শাসন? আগের ব্যবস্থা থেকে পরিবর্তনটা কী হলো?

পুলিশের পক্ষ থেকে এর আগে বলা হয়েছে, কাউকে গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে এবং যথাযথ প্রমাণ হাজির করতে হবে। সিআরপিসি আইনের ধারা সংশোধন করা হয়েছে। তবে সুফল কতটা মিলেছে সেটা একটা প্রশ্ন।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে মামলা, গ্রেপ্তার এবং জামিনের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাব নয়, বরং তথ্য-প্রমাণ ও আইনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদেরকে কাজ করতে হবে। তাহলেই আজিজুরদের মতো সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত হতে পারবেন যে, রাষ্ট্র তাদের পাশে আছে। সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ নীতি এবং মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ বন্ধ না হলে জনগণের আস্থা ফিরবে না। আইনের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রতিটি মামলা ও গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

অজগর হত্যা : বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় চাই জনসচেতনতা

লেভেল ক্রসিংয়ে প্রাণহানি : অব্যবস্থাপনার দুর্ভাগ্যজনক চিত্র

ঠাকুরগাঁওয়ে জলাতঙ্ক টিকার সংকট দূর করুন

পাহাড় কাটা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

বনমালীনগরে পাকা সড়কের জন্য আর কত অপেক্ষা

সার বিতরণ ব্যবস্থায় অনিয়ম বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

গাবতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংকট দূর করুন

গ্যাস অপচয় ও অব্যবস্থাপনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই

সুন্দরবনের বাঘ : সাফল্যের পরিসংখ্যান, চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হামলা : প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসনের ভূমিকা

পীরগঞ্জে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ

তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর হোন

রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

tab

opinion » editorial

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫

গত ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুলের তোড়া নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। গণপিটুনির শিকার রিকশাচালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে, আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে এক বছর আগের হত্যাচেষ্টা মামলা দেওয়া হয়। আদালত অবশ্য পরে তাকে জামিন দিয়েছে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একজন সাধারণ নাগরিককে গ্রেপ্তার ও মামলা দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশে চলমান মামলা, গ্রেপ্তার ও জামিন প্রক্রিয়ার একটি নজির এই ঘটনা। গত বছর পাঁচ আগস্টের পর থেকে বহু মানুষকে হত্যা মামলা কিংবা বিস্ফোরণ মামলায় আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে কেবল সাবেক মন্ত্রী-এমপি বা নির্বাহী ক্ষমতার ব্যাক্তিই নন বিচারপতি থেকে শুরু করে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন।

অভ্যুত্থানের পর কেবল রাজধানীতেই মামলা হয়েছে ৭০৭টি। আর গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫,০৭৯ জন। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। ব্যাক্তিগত রেষারেষির জেরে মামলার কথাও শোনা যায়। আসামি করার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি এবং নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানির অনেক ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

গ্রেপ্তার ও জামিনের ক্ষেত্রে ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ বা পছন্দ-অপছন্দের অভিযোগ উঠেছে। কোনো কোনো আসামীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। কেউ দ্রুত জামিন পাচ্ছেন, কেউ দীর্ঘদিন ধরে বিনা বিচারে আটক রয়েছেন। এটা কি আইনের শাসন? আগের ব্যবস্থা থেকে পরিবর্তনটা কী হলো?

পুলিশের পক্ষ থেকে এর আগে বলা হয়েছে, কাউকে গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে এবং যথাযথ প্রমাণ হাজির করতে হবে। সিআরপিসি আইনের ধারা সংশোধন করা হয়েছে। তবে সুফল কতটা মিলেছে সেটা একটা প্রশ্ন।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে মামলা, গ্রেপ্তার এবং জামিনের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাব নয়, বরং তথ্য-প্রমাণ ও আইনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদেরকে কাজ করতে হবে। তাহলেই আজিজুরদের মতো সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত হতে পারবেন যে, রাষ্ট্র তাদের পাশে আছে। সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ নীতি এবং মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ বন্ধ না হলে জনগণের আস্থা ফিরবে না। আইনের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রতিটি মামলা ও গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।

back to top