alt

opinion » editorial

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

: রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫

প্রতিবছর ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ ধরা, পর্যটক ও বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকে। এই সময়টি মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শুধু ‘কাগজে-কলমে’ সীমাবদ্ধ থাকছে। কিছু প্রভাবশালী মাছ ব্যবসায়ী বা ‘কোম্পানি মহাজন’ এবং অসাধু বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার অব্যাহত রয়েছে। নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে চিংড়ির পোনা ধরা হচ্ছে। এর প্রভাবে মাছের রেণু, ডিমওয়ালা মা মাছ ও জলজ প্রাণীর লার্ভা ধ্বংস হচ্ছে। ফলে বনের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ হুমকির মুখে পড়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দুর্বলতা এই সংকটকে আরও গভীর করছে। জনবল সংকট, নাজুক টহল ফাঁড়ি, আধুনিক সরঞ্জাম ও নৌযানের অভাব রয়েছে। বন রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ আছে, কিছু ক্ষেত্রে তারা অপরাধী চক্রের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে। এক শ্রেণীর মহাজন বনের নদী-খাল ইজারা নিয়ে জেলেদের বিষ প্রয়োগে মাছ ধরতে প্ররোচিত করছে। এমনকি বিষ দিয়ে ধরা মাছ শুঁটকি করে বিক্রি হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, বিষ প্রয়োগ শুধু মাছ ও জলজ প্রাণী নয়, বনের পুরো খাদ্যচক্র ও জীববৈচিত্র্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বিষাক্ত পানি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ, যা কিডনি, লিভারের ক্ষতি এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

সমস্যা হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বনজীবীদের জীবিকার বিকল্প ব্যবস্থা করা হয় না। এ কারণে অনেকে নিষেধাজ্ঞা ভাঙতে বাধ্য হচ্ছেন।

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে। বন বিভাগের জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়াতে হবে। অসাধু কর্মকর্তা ও মহাজনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। কমিউনিটিভিত্তিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এবং তাদের জন্য বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি।

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

অজগর হত্যা : বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় চাই জনসচেতনতা

লেভেল ক্রসিংয়ে প্রাণহানি : অব্যবস্থাপনার দুর্ভাগ্যজনক চিত্র

ঠাকুরগাঁওয়ে জলাতঙ্ক টিকার সংকট দূর করুন

পাহাড় কাটা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

বনমালীনগরে পাকা সড়কের জন্য আর কত অপেক্ষা

সার বিতরণ ব্যবস্থায় অনিয়ম বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

গাবতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংকট দূর করুন

গ্যাস অপচয় ও অব্যবস্থাপনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই

সুন্দরবনের বাঘ : সাফল্যের পরিসংখ্যান, চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হামলা : প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসনের ভূমিকা

পীরগঞ্জে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ

তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর হোন

রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

tab

opinion » editorial

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫

প্রতিবছর ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ ধরা, পর্যটক ও বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকে। এই সময়টি মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শুধু ‘কাগজে-কলমে’ সীমাবদ্ধ থাকছে। কিছু প্রভাবশালী মাছ ব্যবসায়ী বা ‘কোম্পানি মহাজন’ এবং অসাধু বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার অব্যাহত রয়েছে। নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে চিংড়ির পোনা ধরা হচ্ছে। এর প্রভাবে মাছের রেণু, ডিমওয়ালা মা মাছ ও জলজ প্রাণীর লার্ভা ধ্বংস হচ্ছে। ফলে বনের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ হুমকির মুখে পড়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দুর্বলতা এই সংকটকে আরও গভীর করছে। জনবল সংকট, নাজুক টহল ফাঁড়ি, আধুনিক সরঞ্জাম ও নৌযানের অভাব রয়েছে। বন রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ আছে, কিছু ক্ষেত্রে তারা অপরাধী চক্রের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে। এক শ্রেণীর মহাজন বনের নদী-খাল ইজারা নিয়ে জেলেদের বিষ প্রয়োগে মাছ ধরতে প্ররোচিত করছে। এমনকি বিষ দিয়ে ধরা মাছ শুঁটকি করে বিক্রি হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, বিষ প্রয়োগ শুধু মাছ ও জলজ প্রাণী নয়, বনের পুরো খাদ্যচক্র ও জীববৈচিত্র্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বিষাক্ত পানি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ, যা কিডনি, লিভারের ক্ষতি এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

সমস্যা হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বনজীবীদের জীবিকার বিকল্প ব্যবস্থা করা হয় না। এ কারণে অনেকে নিষেধাজ্ঞা ভাঙতে বাধ্য হচ্ছেন।

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে। বন বিভাগের জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়াতে হবে। অসাধু কর্মকর্তা ও মহাজনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। কমিউনিটিভিত্তিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এবং তাদের জন্য বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি।

back to top