alt

opinion » editorial

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

: বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫

‘জুলাই জাতীয় সনদ’র সমন্বিত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতা থাকলে সে ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশই প্রাধান্য পাবে।

খসড়া সনদের কোনো কোনো বিষয় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল। বিএনপি বলেছে, কোনো রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল সংবিধানের ঊর্ধ্বে স্থান পেতে পারে না। যদি জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দেয়া হয়, তবে তা ভবিষ্যতের জন্য একটি খারাপ নজির সৃষ্টি করবে। সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন না তোলার যে বিধান সমন্বিত খসড়ায় রাখা হয়েছে সেটারও বিরোধিতা করেছে বিএনপি।

আমরা বলতে চাই, সংবিধান হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আইন। রাষ্ট্রের কোনো আইন বা সনদ সংবিধানের চেয়ে বড় হতে পারে না।

খসড়ার আরেকটি দফায় বলা হয়েছে, জুলাই সনদের প্রতিটি বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসেবে গণ্য হবে, তাই এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা কিংবা কর্তৃত্ব নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।

আমরা বলব, নাগরিকদের প্রশ্ন তোলার অধিকার গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন কোনো ব্যবস্থা থাকতে পারে না যেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না, যাকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। সংবিধান নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়, প্রশ্ন উঠেছেও। দেশের সংবিধান অনেকবার সংশোধন-সংযোজন-বিয়োজনের ভেতর দিয়ে গেছে। অথচ বলা হচ্ছে, জুলাই সনদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। এ ধরনের ব্যবস্থা শুধু একটি স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী শাসন কাঠামোতেই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। কোনো গণতান্ত্রিক শাসন কাঠামোতে এমন ব্যবস্থায় প্রণয়ন বা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।

প্রশ্ন হচ্ছে জুলাই সনদকে কেন ইনডেমনিটি দিতে হবে? কাদের মাথা থেকে এই ধারণা এসেছে? তারা আসলে কী চান? দেশটাকে তারা কোথায় নিয়ে যেতে চান? রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণ কেন এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না, জানতে চাইতে পারবে না? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কখনোই কোনো বিষয়ে জনগণের প্রশ্ন তোলার, চ্যালেঞ্জ জানাবার অধিকারকে খর্ব করা হয় না। শুধু স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী শাসন কাঠামোরই জনগণকে চুপ করিয়ে দেয়ার লক্ষ্য থাকে।

জুলাই সনদ মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি অঙ্গীকার। প্রশ্ন হচ্ছে, কোনো সনদ তৈরি করে কাউকে সেটা মানতে বাধ্য করা যায় কি না। সনদের অনেক বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়নি, সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে? কোনো কিছু মেনে নিতে বাধ্য করার প্রচেষ্টাও শুভ লক্ষণ নয়। সনদকে ‘ধ্রুব সত্য’ হিসেবে গণ্য করা এবং অন্যদেরকেও সেটা মেনে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা প্রবল কর্তৃত্ববাদী ও বলপ্রয়োগকারী শাসন কাঠামোর বৈশিষ্ট্য।

আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার এমন পদক্ষেপ নেবে যাতে করে দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফেরার পথ সুগম হয়। জুলাই সনদ হতে পারে। তবে সেটা হতে হবে দেশের সর্ব্বোচ্চ আইন সংবিধান ও আইনি কাঠামোর ভেতর থেকে।

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

অজগর হত্যা : বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় চাই জনসচেতনতা

লেভেল ক্রসিংয়ে প্রাণহানি : অব্যবস্থাপনার দুর্ভাগ্যজনক চিত্র

ঠাকুরগাঁওয়ে জলাতঙ্ক টিকার সংকট দূর করুন

পাহাড় কাটা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

বনমালীনগরে পাকা সড়কের জন্য আর কত অপেক্ষা

সার বিতরণ ব্যবস্থায় অনিয়ম বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

গাবতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংকট দূর করুন

গ্যাস অপচয় ও অব্যবস্থাপনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই

সুন্দরবনের বাঘ : সাফল্যের পরিসংখ্যান, চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হামলা : প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসনের ভূমিকা

পীরগঞ্জে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ

তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর হোন

রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

tab

opinion » editorial

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫

‘জুলাই জাতীয় সনদ’র সমন্বিত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতা থাকলে সে ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশই প্রাধান্য পাবে।

খসড়া সনদের কোনো কোনো বিষয় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল। বিএনপি বলেছে, কোনো রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল সংবিধানের ঊর্ধ্বে স্থান পেতে পারে না। যদি জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দেয়া হয়, তবে তা ভবিষ্যতের জন্য একটি খারাপ নজির সৃষ্টি করবে। সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন না তোলার যে বিধান সমন্বিত খসড়ায় রাখা হয়েছে সেটারও বিরোধিতা করেছে বিএনপি।

আমরা বলতে চাই, সংবিধান হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আইন। রাষ্ট্রের কোনো আইন বা সনদ সংবিধানের চেয়ে বড় হতে পারে না।

খসড়ার আরেকটি দফায় বলা হয়েছে, জুলাই সনদের প্রতিটি বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসেবে গণ্য হবে, তাই এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা কিংবা কর্তৃত্ব নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।

আমরা বলব, নাগরিকদের প্রশ্ন তোলার অধিকার গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন কোনো ব্যবস্থা থাকতে পারে না যেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না, যাকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। সংবিধান নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়, প্রশ্ন উঠেছেও। দেশের সংবিধান অনেকবার সংশোধন-সংযোজন-বিয়োজনের ভেতর দিয়ে গেছে। অথচ বলা হচ্ছে, জুলাই সনদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। এ ধরনের ব্যবস্থা শুধু একটি স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী শাসন কাঠামোতেই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। কোনো গণতান্ত্রিক শাসন কাঠামোতে এমন ব্যবস্থায় প্রণয়ন বা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।

প্রশ্ন হচ্ছে জুলাই সনদকে কেন ইনডেমনিটি দিতে হবে? কাদের মাথা থেকে এই ধারণা এসেছে? তারা আসলে কী চান? দেশটাকে তারা কোথায় নিয়ে যেতে চান? রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণ কেন এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না, জানতে চাইতে পারবে না? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কখনোই কোনো বিষয়ে জনগণের প্রশ্ন তোলার, চ্যালেঞ্জ জানাবার অধিকারকে খর্ব করা হয় না। শুধু স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী শাসন কাঠামোরই জনগণকে চুপ করিয়ে দেয়ার লক্ষ্য থাকে।

জুলাই সনদ মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি অঙ্গীকার। প্রশ্ন হচ্ছে, কোনো সনদ তৈরি করে কাউকে সেটা মানতে বাধ্য করা যায় কি না। সনদের অনেক বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়নি, সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে? কোনো কিছু মেনে নিতে বাধ্য করার প্রচেষ্টাও শুভ লক্ষণ নয়। সনদকে ‘ধ্রুব সত্য’ হিসেবে গণ্য করা এবং অন্যদেরকেও সেটা মেনে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা প্রবল কর্তৃত্ববাদী ও বলপ্রয়োগকারী শাসন কাঠামোর বৈশিষ্ট্য।

আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার এমন পদক্ষেপ নেবে যাতে করে দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফেরার পথ সুগম হয়। জুলাই সনদ হতে পারে। তবে সেটা হতে হবে দেশের সর্ব্বোচ্চ আইন সংবিধান ও আইনি কাঠামোর ভেতর থেকে।

back to top