‘জুলাই জাতীয় সনদ’র সমন্বিত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতা থাকলে সে ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশই প্রাধান্য পাবে।
খসড়া সনদের কোনো কোনো বিষয় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল। বিএনপি বলেছে, কোনো রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল সংবিধানের ঊর্ধ্বে স্থান পেতে পারে না। যদি জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দেয়া হয়, তবে তা ভবিষ্যতের জন্য একটি খারাপ নজির সৃষ্টি করবে। সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন না তোলার যে বিধান সমন্বিত খসড়ায় রাখা হয়েছে সেটারও বিরোধিতা করেছে বিএনপি।
আমরা বলতে চাই, সংবিধান হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আইন। রাষ্ট্রের কোনো আইন বা সনদ সংবিধানের চেয়ে বড় হতে পারে না।
খসড়ার আরেকটি দফায় বলা হয়েছে, জুলাই সনদের প্রতিটি বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসেবে গণ্য হবে, তাই এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা কিংবা কর্তৃত্ব নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
আমরা বলব, নাগরিকদের প্রশ্ন তোলার অধিকার গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন কোনো ব্যবস্থা থাকতে পারে না যেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না, যাকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। সংবিধান নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়, প্রশ্ন উঠেছেও। দেশের সংবিধান অনেকবার সংশোধন-সংযোজন-বিয়োজনের ভেতর দিয়ে গেছে। অথচ বলা হচ্ছে, জুলাই সনদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। এ ধরনের ব্যবস্থা শুধু একটি স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী শাসন কাঠামোতেই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। কোনো গণতান্ত্রিক শাসন কাঠামোতে এমন ব্যবস্থায় প্রণয়ন বা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
প্রশ্ন হচ্ছে জুলাই সনদকে কেন ইনডেমনিটি দিতে হবে? কাদের মাথা থেকে এই ধারণা এসেছে? তারা আসলে কী চান? দেশটাকে তারা কোথায় নিয়ে যেতে চান? রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণ কেন এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না, জানতে চাইতে পারবে না? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কখনোই কোনো বিষয়ে জনগণের প্রশ্ন তোলার, চ্যালেঞ্জ জানাবার অধিকারকে খর্ব করা হয় না। শুধু স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী শাসন কাঠামোরই জনগণকে চুপ করিয়ে দেয়ার লক্ষ্য থাকে।
জুলাই সনদ মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি অঙ্গীকার। প্রশ্ন হচ্ছে, কোনো সনদ তৈরি করে কাউকে সেটা মানতে বাধ্য করা যায় কি না। সনদের অনেক বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়নি, সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে? কোনো কিছু মেনে নিতে বাধ্য করার প্রচেষ্টাও শুভ লক্ষণ নয়। সনদকে ‘ধ্রুব সত্য’ হিসেবে গণ্য করা এবং অন্যদেরকেও সেটা মেনে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা প্রবল কর্তৃত্ববাদী ও বলপ্রয়োগকারী শাসন কাঠামোর বৈশিষ্ট্য।
আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার এমন পদক্ষেপ নেবে যাতে করে দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফেরার পথ সুগম হয়। জুলাই সনদ হতে পারে। তবে সেটা হতে হবে দেশের সর্ব্বোচ্চ আইন সংবিধান ও আইনি কাঠামোর ভেতর থেকে।
বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
‘জুলাই জাতীয় সনদ’র সমন্বিত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতা থাকলে সে ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশই প্রাধান্য পাবে।
খসড়া সনদের কোনো কোনো বিষয় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল। বিএনপি বলেছে, কোনো রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল সংবিধানের ঊর্ধ্বে স্থান পেতে পারে না। যদি জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দেয়া হয়, তবে তা ভবিষ্যতের জন্য একটি খারাপ নজির সৃষ্টি করবে। সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন না তোলার যে বিধান সমন্বিত খসড়ায় রাখা হয়েছে সেটারও বিরোধিতা করেছে বিএনপি।
আমরা বলতে চাই, সংবিধান হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আইন। রাষ্ট্রের কোনো আইন বা সনদ সংবিধানের চেয়ে বড় হতে পারে না।
খসড়ার আরেকটি দফায় বলা হয়েছে, জুলাই সনদের প্রতিটি বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসেবে গণ্য হবে, তাই এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা কিংবা কর্তৃত্ব নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
আমরা বলব, নাগরিকদের প্রশ্ন তোলার অধিকার গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন কোনো ব্যবস্থা থাকতে পারে না যেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না, যাকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। সংবিধান নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়, প্রশ্ন উঠেছেও। দেশের সংবিধান অনেকবার সংশোধন-সংযোজন-বিয়োজনের ভেতর দিয়ে গেছে। অথচ বলা হচ্ছে, জুলাই সনদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। এ ধরনের ব্যবস্থা শুধু একটি স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী শাসন কাঠামোতেই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। কোনো গণতান্ত্রিক শাসন কাঠামোতে এমন ব্যবস্থায় প্রণয়ন বা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
প্রশ্ন হচ্ছে জুলাই সনদকে কেন ইনডেমনিটি দিতে হবে? কাদের মাথা থেকে এই ধারণা এসেছে? তারা আসলে কী চান? দেশটাকে তারা কোথায় নিয়ে যেতে চান? রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণ কেন এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না, জানতে চাইতে পারবে না? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কখনোই কোনো বিষয়ে জনগণের প্রশ্ন তোলার, চ্যালেঞ্জ জানাবার অধিকারকে খর্ব করা হয় না। শুধু স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী শাসন কাঠামোরই জনগণকে চুপ করিয়ে দেয়ার লক্ষ্য থাকে।
জুলাই সনদ মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি অঙ্গীকার। প্রশ্ন হচ্ছে, কোনো সনদ তৈরি করে কাউকে সেটা মানতে বাধ্য করা যায় কি না। সনদের অনেক বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়নি, সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে? কোনো কিছু মেনে নিতে বাধ্য করার প্রচেষ্টাও শুভ লক্ষণ নয়। সনদকে ‘ধ্রুব সত্য’ হিসেবে গণ্য করা এবং অন্যদেরকেও সেটা মেনে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা প্রবল কর্তৃত্ববাদী ও বলপ্রয়োগকারী শাসন কাঠামোর বৈশিষ্ট্য।
আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার এমন পদক্ষেপ নেবে যাতে করে দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফেরার পথ সুগম হয়। জুলাই সনদ হতে পারে। তবে সেটা হতে হবে দেশের সর্ব্বোচ্চ আইন সংবিধান ও আইনি কাঠামোর ভেতর থেকে।