alt

opinion » editorial

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

: শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে তিন কিশোরকে চোর সন্দেহে বেঁধে বেধড়ক মারধরের ঘটনা আমাদের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। সেই নৃশংসতায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত হয়েছে বাকি দুই কিশোর। পুলিশ ধারণা করছে, পূর্ববিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে ‘মব’ তৈরি করে এই হামলা চালানো হতে পারে। ফটিকছড়িতে নির্মম গণপিটুনির আরেকটি মন্দ উদাহরণ তৈরি হল। দেশে এ ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েই চলেছে।

মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কেবল জুলাই মাসেই গণপিটুনিতে ১৬ জন মরা গেছেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত মবের হাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আইনকে পাশ কাটিয়ে মুহূর্তের আবেগে কিংবা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ‘মব’ তৈরি করে মানুষের প্রাণ হরণ করা এখন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আইনের শাসন ও সামাজিক নিরাপত্তার প্রশ্নে এটা কোনো শুভ ইঙ্গিত দেয় না।

গণপিটুনি কোনো সমস্যার সমাধান নয়। বরং তা নতুন অপরাধ জন্ম দেয়। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকতে পারে। অভিযোগ থাকলে আইন-আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে। সন্দেহভাজনকে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার পরিবর্তে নিজেরাই বিচারক সেজে হত্যা করা কেবল অমানবিকই নয়, এটি আইনের প্রতি অবমাননা। এ ধরনের ঘটনা সমাজে নৈরাজ্য ও বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি আরও পাকাপোক্ত করছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কি এ ঘটনার দায় এড়াতে পারে? ঘটনার আগাম উত্তেজনা প্রশমনে স্থানীয় নেতৃত্ব ও সমাজের ভূমিকাইবা কী? একটি এলাকার কিছু লোক তিন কিশোরকে পিটুনি দিল, তাদের একজনকে হত্যা করল, অথচ কেউ তা ঠেকাতে এগিয়ে এল না! বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

গণপিটুনির এই প্রবণতা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজ যদি এ প্রবণতা রুখে না দাঁড়ায়, তবে আইনের শাসনের ভিত্তি ভেঙে পড়বে, আর নিরাপত্তাহীনতা গ্রাস করবে পুরো সমাজকে।

ফটিকছড়ির ঘটনাসহ সাম্প্রতিক সব গণপিটুনির ঘটনার বিচার করতে হবে। এসব ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারীদের আইনের আওতায় আনা না হলে এই অপসংস্কৃতি থামবে না। আইনের শাসনের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। সমাজকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে তিন কিশোরকে চোর সন্দেহে বেঁধে বেধড়ক মারধরের ঘটনা আমাদের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। সেই নৃশংসতায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত হয়েছে বাকি দুই কিশোর। পুলিশ ধারণা করছে, পূর্ববিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে ‘মব’ তৈরি করে এই হামলা চালানো হতে পারে। ফটিকছড়িতে নির্মম গণপিটুনির আরেকটি মন্দ উদাহরণ তৈরি হল। দেশে এ ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েই চলেছে।

মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কেবল জুলাই মাসেই গণপিটুনিতে ১৬ জন মরা গেছেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত মবের হাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আইনকে পাশ কাটিয়ে মুহূর্তের আবেগে কিংবা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ‘মব’ তৈরি করে মানুষের প্রাণ হরণ করা এখন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আইনের শাসন ও সামাজিক নিরাপত্তার প্রশ্নে এটা কোনো শুভ ইঙ্গিত দেয় না।

গণপিটুনি কোনো সমস্যার সমাধান নয়। বরং তা নতুন অপরাধ জন্ম দেয়। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকতে পারে। অভিযোগ থাকলে আইন-আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে। সন্দেহভাজনকে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার পরিবর্তে নিজেরাই বিচারক সেজে হত্যা করা কেবল অমানবিকই নয়, এটি আইনের প্রতি অবমাননা। এ ধরনের ঘটনা সমাজে নৈরাজ্য ও বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি আরও পাকাপোক্ত করছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কি এ ঘটনার দায় এড়াতে পারে? ঘটনার আগাম উত্তেজনা প্রশমনে স্থানীয় নেতৃত্ব ও সমাজের ভূমিকাইবা কী? একটি এলাকার কিছু লোক তিন কিশোরকে পিটুনি দিল, তাদের একজনকে হত্যা করল, অথচ কেউ তা ঠেকাতে এগিয়ে এল না! বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

গণপিটুনির এই প্রবণতা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজ যদি এ প্রবণতা রুখে না দাঁড়ায়, তবে আইনের শাসনের ভিত্তি ভেঙে পড়বে, আর নিরাপত্তাহীনতা গ্রাস করবে পুরো সমাজকে।

ফটিকছড়ির ঘটনাসহ সাম্প্রতিক সব গণপিটুনির ঘটনার বিচার করতে হবে। এসব ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারীদের আইনের আওতায় আনা না হলে এই অপসংস্কৃতি থামবে না। আইনের শাসনের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। সমাজকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

back to top