alt

opinion » editorial

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

: বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নারী ও শিশু নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। প্রথম ছয় মাসে ধর্ষণের ঘটনা গত বছরের মোট ঘটনার প্রায় সমান হয়ে গেছে। যৌন নিপীড়ন, বাল্যবিয়ে এবং যৌতুকের মতো ঘটনা গত বছরের তুলনায় ইতোমধ্যেই বেড়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৮ বছরের কম বয়সী কন্যাশিশুরা ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও বাল্যবিয়ের মতো নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বেশি।

নারী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণরা বেশি। এটা উদ্বেগজনক তথ্য। সমাজের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার ঘাটতি রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। অপরাধীদের বারবার অপরাধে জড়ানোর প্রবণতা লক্ষণীয়। অনেক ক্ষেত্রে অপরাধীদের রাজনৈতিক মদদ দেওয়া হয়। এসব সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা নারীবিদ্বেষী মনোভাব এবং অপরাধীদের প্রতি শাস্তিহীনতার অপসংস্কৃতির একটি প্রতিচ্ছবি।

দেশে নারী নির্যাতন বন্ধে আইন রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, আইনের কঠোর প্রয়োগ হয় না প্রায়ই। অপরাধীদের বিচার নিশ্চিবত করা না গেলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে পড়ে। অনেক নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়। সমস্যা হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ন্যায়বিচারের পথে বড় বাধা। পারিবারিক সহিংসতার মতো গুরুতর ঘটনাগুলো গণমাধ্যমে কম প্রকাশ পায়। যে কারণে নির্যাতনের প্রকৃত চিত্র জানা সম্ভব হয় না।

নারী নির্যাতন বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে। বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার অবসান ঘটাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিচার ব্যবস্থার দ্রুততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা দরকার। পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। সচেতনতা সৃষ্টি এবং নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। অপরাধীদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। সমাজের সব স্তরের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া নারী নির্যাতন বন্ধ করা কঠিন হবে।

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

tab

opinion » editorial

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নারী ও শিশু নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। প্রথম ছয় মাসে ধর্ষণের ঘটনা গত বছরের মোট ঘটনার প্রায় সমান হয়ে গেছে। যৌন নিপীড়ন, বাল্যবিয়ে এবং যৌতুকের মতো ঘটনা গত বছরের তুলনায় ইতোমধ্যেই বেড়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৮ বছরের কম বয়সী কন্যাশিশুরা ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও বাল্যবিয়ের মতো নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বেশি।

নারী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণরা বেশি। এটা উদ্বেগজনক তথ্য। সমাজের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার ঘাটতি রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। অপরাধীদের বারবার অপরাধে জড়ানোর প্রবণতা লক্ষণীয়। অনেক ক্ষেত্রে অপরাধীদের রাজনৈতিক মদদ দেওয়া হয়। এসব সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা নারীবিদ্বেষী মনোভাব এবং অপরাধীদের প্রতি শাস্তিহীনতার অপসংস্কৃতির একটি প্রতিচ্ছবি।

দেশে নারী নির্যাতন বন্ধে আইন রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, আইনের কঠোর প্রয়োগ হয় না প্রায়ই। অপরাধীদের বিচার নিশ্চিবত করা না গেলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে পড়ে। অনেক নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়। সমস্যা হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ন্যায়বিচারের পথে বড় বাধা। পারিবারিক সহিংসতার মতো গুরুতর ঘটনাগুলো গণমাধ্যমে কম প্রকাশ পায়। যে কারণে নির্যাতনের প্রকৃত চিত্র জানা সম্ভব হয় না।

নারী নির্যাতন বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে। বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার অবসান ঘটাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিচার ব্যবস্থার দ্রুততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা দরকার। পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। সচেতনতা সৃষ্টি এবং নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। অপরাধীদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। সমাজের সব স্তরের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া নারী নির্যাতন বন্ধ করা কঠিন হবে।

back to top