বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নারী ও শিশু নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। প্রথম ছয় মাসে ধর্ষণের ঘটনা গত বছরের মোট ঘটনার প্রায় সমান হয়ে গেছে। যৌন নিপীড়ন, বাল্যবিয়ে এবং যৌতুকের মতো ঘটনা গত বছরের তুলনায় ইতোমধ্যেই বেড়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৮ বছরের কম বয়সী কন্যাশিশুরা ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও বাল্যবিয়ের মতো নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বেশি।
নারী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণরা বেশি। এটা উদ্বেগজনক তথ্য। সমাজের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার ঘাটতি রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। অপরাধীদের বারবার অপরাধে জড়ানোর প্রবণতা লক্ষণীয়। অনেক ক্ষেত্রে অপরাধীদের রাজনৈতিক মদদ দেওয়া হয়। এসব সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা নারীবিদ্বেষী মনোভাব এবং অপরাধীদের প্রতি শাস্তিহীনতার অপসংস্কৃতির একটি প্রতিচ্ছবি।
দেশে নারী নির্যাতন বন্ধে আইন রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, আইনের কঠোর প্রয়োগ হয় না প্রায়ই। অপরাধীদের বিচার নিশ্চিবত করা না গেলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে পড়ে। অনেক নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়। সমস্যা হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ন্যায়বিচারের পথে বড় বাধা। পারিবারিক সহিংসতার মতো গুরুতর ঘটনাগুলো গণমাধ্যমে কম প্রকাশ পায়। যে কারণে নির্যাতনের প্রকৃত চিত্র জানা সম্ভব হয় না।
নারী নির্যাতন বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে। বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার অবসান ঘটাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিচার ব্যবস্থার দ্রুততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা দরকার। পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। সচেতনতা সৃষ্টি এবং নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। অপরাধীদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। সমাজের সব স্তরের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া নারী নির্যাতন বন্ধ করা কঠিন হবে।
বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নারী ও শিশু নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। প্রথম ছয় মাসে ধর্ষণের ঘটনা গত বছরের মোট ঘটনার প্রায় সমান হয়ে গেছে। যৌন নিপীড়ন, বাল্যবিয়ে এবং যৌতুকের মতো ঘটনা গত বছরের তুলনায় ইতোমধ্যেই বেড়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৮ বছরের কম বয়সী কন্যাশিশুরা ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও বাল্যবিয়ের মতো নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বেশি।
নারী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণরা বেশি। এটা উদ্বেগজনক তথ্য। সমাজের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার ঘাটতি রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। অপরাধীদের বারবার অপরাধে জড়ানোর প্রবণতা লক্ষণীয়। অনেক ক্ষেত্রে অপরাধীদের রাজনৈতিক মদদ দেওয়া হয়। এসব সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা নারীবিদ্বেষী মনোভাব এবং অপরাধীদের প্রতি শাস্তিহীনতার অপসংস্কৃতির একটি প্রতিচ্ছবি।
দেশে নারী নির্যাতন বন্ধে আইন রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, আইনের কঠোর প্রয়োগ হয় না প্রায়ই। অপরাধীদের বিচার নিশ্চিবত করা না গেলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে পড়ে। অনেক নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়। সমস্যা হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ন্যায়বিচারের পথে বড় বাধা। পারিবারিক সহিংসতার মতো গুরুতর ঘটনাগুলো গণমাধ্যমে কম প্রকাশ পায়। যে কারণে নির্যাতনের প্রকৃত চিত্র জানা সম্ভব হয় না।
নারী নির্যাতন বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে। বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার অবসান ঘটাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিচার ব্যবস্থার দ্রুততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা দরকার। পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। সচেতনতা সৃষ্টি এবং নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। অপরাধীদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। সমাজের সব স্তরের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া নারী নির্যাতন বন্ধ করা কঠিন হবে।