alt

opinion » editorial

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

: বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উপকারভোগীদের অভিযোগ, কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণের নামে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। প্রত্যেক কার্ডধারীর কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল দরিদ্র মানুষের হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু স্থানীয় ডিলারদের কারসাজিতে এই উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানে ডিলাররা কার্ডধারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুরনো কার্ড জমা রেখে নতুন কার্ড দিচ্ছে। উপকারভোগীরা অভিযোগ করেছেন, টাকা না দিলে কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করা হয়।

ডিলারদের দাবি, নতুন কার্ড দেওয়ার খরচ হিসেবে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, অনলাইন কার্ডের ফটোকপি ব্যবহার করে একাধিকবার চাল নেওয়ার প্রবণতা রোধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কার্ড দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কোনো নির্দেশনা কি সরকার দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের অর্থ আদায় অবৈধ।

এমন ঘটনা যে শুধু গোয়ালন্দে ঘটছে তা নয়। দেশের অনেক স্থানেই রাষ্ট্রের নানান কর্মসূচি ঘিরে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত সুবিধা যদি দুর্নীতির কারণে তাদের কাছে যথাযথবাবে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তবে সেই কর্মসূচির উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যায়।

আমরা বলতে চাই, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ডিলারদের দৌরাত্ম্য কমাতে এবং দুর্নীতিমুক্ত বিতরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কঠোর তদারকি থাকতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানানোর জন্য নিরাপদ ও সহজ পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন, যাতে তারা ভয়মুক্তভাবে তাদের কথা বলতে পারেন। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে।

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

tab

opinion » editorial

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উপকারভোগীদের অভিযোগ, কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণের নামে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। প্রত্যেক কার্ডধারীর কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল দরিদ্র মানুষের হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু স্থানীয় ডিলারদের কারসাজিতে এই উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানে ডিলাররা কার্ডধারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুরনো কার্ড জমা রেখে নতুন কার্ড দিচ্ছে। উপকারভোগীরা অভিযোগ করেছেন, টাকা না দিলে কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করা হয়।

ডিলারদের দাবি, নতুন কার্ড দেওয়ার খরচ হিসেবে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, অনলাইন কার্ডের ফটোকপি ব্যবহার করে একাধিকবার চাল নেওয়ার প্রবণতা রোধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কার্ড দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কোনো নির্দেশনা কি সরকার দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের অর্থ আদায় অবৈধ।

এমন ঘটনা যে শুধু গোয়ালন্দে ঘটছে তা নয়। দেশের অনেক স্থানেই রাষ্ট্রের নানান কর্মসূচি ঘিরে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত সুবিধা যদি দুর্নীতির কারণে তাদের কাছে যথাযথবাবে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তবে সেই কর্মসূচির উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যায়।

আমরা বলতে চাই, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ডিলারদের দৌরাত্ম্য কমাতে এবং দুর্নীতিমুক্ত বিতরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কঠোর তদারকি থাকতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানানোর জন্য নিরাপদ ও সহজ পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন, যাতে তারা ভয়মুক্তভাবে তাদের কথা বলতে পারেন। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top