ডাকসু নির্বাচনে একটি রিটের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে সামাজিক মাধ্যমে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দিয়েছেন সেখানকারই এক পুরুষ শিক্ষার্থী। কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। নারী সহপাঠীকে একজন পুরুষ সহপাঠীর ধর্ষণের এই হুমকির ঘটনা কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আমরা এটা ভেবে বিস্মিত হই যে, দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠে পড়–য়া একজন ব্যক্তির এমন মানসিকতা কী করে হয় যিনি তার সহপাঠীকেই ধর্ষণের হুমকি দেন? বোঝা যাচ্ছে, শিক্ষা তাকে আলোকিত করতে পারেনি। একজন পুরুষ শিক্ষার্থী যদি নারী সহপাঠির প্রতি নূন্যতম সম্মান প্রদর্শন করতে না জানেন, তিনি যদি তার নারী সহপাঠীর নিরাপত্তার হুমকির কারণ হয়ে ওঠেন তাহলে তার শিক্ষাজীবনের মূল্য কী?
সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়–য়া একজন ব্যক্তির এমন মানস-গড়নের জন্য দায়ী কে সেটা একটা প্রশ্ন। বিদ্যমান সমাজব্যবস্থার জন্যই কি অভিযুক্ত ব্যক্তি এভাবে গড়ে উঠেছেন? নাকি তার পারিপার্শ্বিকতা তার ওপর প্রভাব ফেলেছে? নাকি তার রাজনৈতিক বিশ্বাস তার এই মনোজগৎ নির্মাণ করেছে?
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি সামনে এসেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে সব নারী প্রার্থীই কমবেশি সাইবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নারী প্রার্থীরা এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। পুরুষ প্রার্থীরাও বলছেন যে, নারী প্রার্থীরা সাইবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সাইবার হয়রানির আশঙ্কায় নারী শিক্ষার্থীরা প্রার্থী হতে আগ্রহী হচ্ছেন না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে নারী প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না, এমনকি নারী শিক্ষার্থীদের হলেও প্রার্থী সংকট দেখা দিয়েছে। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষার্থী সংসদের নির্বাচন হচ্ছে। অনেক স্থানেই নারী প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আবার অনেক জায়গায় কোনো মনোনয়নপত্রই জমা পড়েনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি নারী হলের অনেক পদ ফাঁকাই থাকবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, নারীরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে নিরাপদ বোধ করছেন না? সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের অবস্থা যদি এই হয় তাহলে এই সমাজের অবস্থা কী হবে? কেমন সমাজ নির্মাণ করলাম আমরা? জুলাই অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধিতার কথা বলা হয়েছিলো। তারপরও এই চিত্র। পরিস্থিতির উন্নতি হলো না অবনতি?
সমাজ-গবেষকরা এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন; রাষ্ট্র তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে- এটা আমাদের আশা। আমরা এমন বিদ্যাপীঠ চাই, এমন সমাজ চাই যেখানে নারীরা নিরাপদ বোধ করবেন, তাদের সব অধিকার নির্বিঘেœ ভোগ করবেন।
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডাকসু নির্বাচনে একটি রিটের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে সামাজিক মাধ্যমে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দিয়েছেন সেখানকারই এক পুরুষ শিক্ষার্থী। কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। নারী সহপাঠীকে একজন পুরুষ সহপাঠীর ধর্ষণের এই হুমকির ঘটনা কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আমরা এটা ভেবে বিস্মিত হই যে, দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠে পড়–য়া একজন ব্যক্তির এমন মানসিকতা কী করে হয় যিনি তার সহপাঠীকেই ধর্ষণের হুমকি দেন? বোঝা যাচ্ছে, শিক্ষা তাকে আলোকিত করতে পারেনি। একজন পুরুষ শিক্ষার্থী যদি নারী সহপাঠির প্রতি নূন্যতম সম্মান প্রদর্শন করতে না জানেন, তিনি যদি তার নারী সহপাঠীর নিরাপত্তার হুমকির কারণ হয়ে ওঠেন তাহলে তার শিক্ষাজীবনের মূল্য কী?
সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়–য়া একজন ব্যক্তির এমন মানস-গড়নের জন্য দায়ী কে সেটা একটা প্রশ্ন। বিদ্যমান সমাজব্যবস্থার জন্যই কি অভিযুক্ত ব্যক্তি এভাবে গড়ে উঠেছেন? নাকি তার পারিপার্শ্বিকতা তার ওপর প্রভাব ফেলেছে? নাকি তার রাজনৈতিক বিশ্বাস তার এই মনোজগৎ নির্মাণ করেছে?
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি সামনে এসেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে সব নারী প্রার্থীই কমবেশি সাইবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নারী প্রার্থীরা এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। পুরুষ প্রার্থীরাও বলছেন যে, নারী প্রার্থীরা সাইবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সাইবার হয়রানির আশঙ্কায় নারী শিক্ষার্থীরা প্রার্থী হতে আগ্রহী হচ্ছেন না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে নারী প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না, এমনকি নারী শিক্ষার্থীদের হলেও প্রার্থী সংকট দেখা দিয়েছে। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষার্থী সংসদের নির্বাচন হচ্ছে। অনেক স্থানেই নারী প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আবার অনেক জায়গায় কোনো মনোনয়নপত্রই জমা পড়েনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি নারী হলের অনেক পদ ফাঁকাই থাকবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, নারীরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে নিরাপদ বোধ করছেন না? সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের অবস্থা যদি এই হয় তাহলে এই সমাজের অবস্থা কী হবে? কেমন সমাজ নির্মাণ করলাম আমরা? জুলাই অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধিতার কথা বলা হয়েছিলো। তারপরও এই চিত্র। পরিস্থিতির উন্নতি হলো না অবনতি?
সমাজ-গবেষকরা এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন; রাষ্ট্র তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে- এটা আমাদের আশা। আমরা এমন বিদ্যাপীঠ চাই, এমন সমাজ চাই যেখানে নারীরা নিরাপদ বোধ করবেন, তাদের সব অধিকার নির্বিঘেœ ভোগ করবেন।