alt

opinion » editorial

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

: বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডাকসু নির্বাচনে একটি রিটের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে সামাজিক মাধ্যমে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দিয়েছেন সেখানকারই এক পুরুষ শিক্ষার্থী। কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। নারী সহপাঠীকে একজন পুরুষ সহপাঠীর ধর্ষণের এই হুমকির ঘটনা কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আমরা এটা ভেবে বিস্মিত হই যে, দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠে পড়–য়া একজন ব্যক্তির এমন মানসিকতা কী করে হয় যিনি তার সহপাঠীকেই ধর্ষণের হুমকি দেন? বোঝা যাচ্ছে, শিক্ষা তাকে আলোকিত করতে পারেনি। একজন পুরুষ শিক্ষার্থী যদি নারী সহপাঠির প্রতি নূন্যতম সম্মান প্রদর্শন করতে না জানেন, তিনি যদি তার নারী সহপাঠীর নিরাপত্তার হুমকির কারণ হয়ে ওঠেন তাহলে তার শিক্ষাজীবনের মূল্য কী?

সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়–য়া একজন ব্যক্তির এমন মানস-গড়নের জন্য দায়ী কে সেটা একটা প্রশ্ন। বিদ্যমান সমাজব্যবস্থার জন্যই কি অভিযুক্ত ব্যক্তি এভাবে গড়ে উঠেছেন? নাকি তার পারিপার্শ্বিকতা তার ওপর প্রভাব ফেলেছে? নাকি তার রাজনৈতিক বিশ্বাস তার এই মনোজগৎ নির্মাণ করেছে?

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি সামনে এসেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে সব নারী প্রার্থীই কমবেশি সাইবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নারী প্রার্থীরা এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। পুরুষ প্রার্থীরাও বলছেন যে, নারী প্রার্থীরা সাইবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

সাইবার হয়রানির আশঙ্কায় নারী শিক্ষার্থীরা প্রার্থী হতে আগ্রহী হচ্ছেন না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে নারী প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না, এমনকি নারী শিক্ষার্থীদের হলেও প্রার্থী সংকট দেখা দিয়েছে। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষার্থী সংসদের নির্বাচন হচ্ছে। অনেক স্থানেই নারী প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আবার অনেক জায়গায় কোনো মনোনয়নপত্রই জমা পড়েনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি নারী হলের অনেক পদ ফাঁকাই থাকবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, নারীরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে নিরাপদ বোধ করছেন না? সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের অবস্থা যদি এই হয় তাহলে এই সমাজের অবস্থা কী হবে? কেমন সমাজ নির্মাণ করলাম আমরা? জুলাই অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধিতার কথা বলা হয়েছিলো। তারপরও এই চিত্র। পরিস্থিতির উন্নতি হলো না অবনতি?

সমাজ-গবেষকরা এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন; রাষ্ট্র তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে- এটা আমাদের আশা। আমরা এমন বিদ্যাপীঠ চাই, এমন সমাজ চাই যেখানে নারীরা নিরাপদ বোধ করবেন, তাদের সব অধিকার নির্বিঘেœ ভোগ করবেন।

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

অজগর হত্যা : বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় চাই জনসচেতনতা

লেভেল ক্রসিংয়ে প্রাণহানি : অব্যবস্থাপনার দুর্ভাগ্যজনক চিত্র

ঠাকুরগাঁওয়ে জলাতঙ্ক টিকার সংকট দূর করুন

পাহাড় কাটা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

বনমালীনগরে পাকা সড়কের জন্য আর কত অপেক্ষা

tab

opinion » editorial

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডাকসু নির্বাচনে একটি রিটের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে সামাজিক মাধ্যমে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দিয়েছেন সেখানকারই এক পুরুষ শিক্ষার্থী। কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। নারী সহপাঠীকে একজন পুরুষ সহপাঠীর ধর্ষণের এই হুমকির ঘটনা কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আমরা এটা ভেবে বিস্মিত হই যে, দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠে পড়–য়া একজন ব্যক্তির এমন মানসিকতা কী করে হয় যিনি তার সহপাঠীকেই ধর্ষণের হুমকি দেন? বোঝা যাচ্ছে, শিক্ষা তাকে আলোকিত করতে পারেনি। একজন পুরুষ শিক্ষার্থী যদি নারী সহপাঠির প্রতি নূন্যতম সম্মান প্রদর্শন করতে না জানেন, তিনি যদি তার নারী সহপাঠীর নিরাপত্তার হুমকির কারণ হয়ে ওঠেন তাহলে তার শিক্ষাজীবনের মূল্য কী?

সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়–য়া একজন ব্যক্তির এমন মানস-গড়নের জন্য দায়ী কে সেটা একটা প্রশ্ন। বিদ্যমান সমাজব্যবস্থার জন্যই কি অভিযুক্ত ব্যক্তি এভাবে গড়ে উঠেছেন? নাকি তার পারিপার্শ্বিকতা তার ওপর প্রভাব ফেলেছে? নাকি তার রাজনৈতিক বিশ্বাস তার এই মনোজগৎ নির্মাণ করেছে?

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি সামনে এসেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে সব নারী প্রার্থীই কমবেশি সাইবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নারী প্রার্থীরা এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। পুরুষ প্রার্থীরাও বলছেন যে, নারী প্রার্থীরা সাইবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

সাইবার হয়রানির আশঙ্কায় নারী শিক্ষার্থীরা প্রার্থী হতে আগ্রহী হচ্ছেন না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে নারী প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না, এমনকি নারী শিক্ষার্থীদের হলেও প্রার্থী সংকট দেখা দিয়েছে। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষার্থী সংসদের নির্বাচন হচ্ছে। অনেক স্থানেই নারী প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আবার অনেক জায়গায় কোনো মনোনয়নপত্রই জমা পড়েনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি নারী হলের অনেক পদ ফাঁকাই থাকবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, নারীরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে নিরাপদ বোধ করছেন না? সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের অবস্থা যদি এই হয় তাহলে এই সমাজের অবস্থা কী হবে? কেমন সমাজ নির্মাণ করলাম আমরা? জুলাই অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধিতার কথা বলা হয়েছিলো। তারপরও এই চিত্র। পরিস্থিতির উন্নতি হলো না অবনতি?

সমাজ-গবেষকরা এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন; রাষ্ট্র তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে- এটা আমাদের আশা। আমরা এমন বিদ্যাপীঠ চাই, এমন সমাজ চাই যেখানে নারীরা নিরাপদ বোধ করবেন, তাদের সব অধিকার নির্বিঘেœ ভোগ করবেন।

back to top