নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে একটি কারখানা বন্ধ ও ছাঁটাইয়ের জেরে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনায় একজন শ্রমিক মারা গেছেন, আহত হয়েছেন অনেকে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ইপিজেডের এভারগ্রিন কারখানা থেকে সম্প্রতি ৫১ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয় এবং বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানা বন্ধের নোটিস দেখে কারখানার সামনে অবস্থান নেন। যার ফলে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন শ্রমিক প্রাণ হারান।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করতে পারেন কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। কোনো কোনো কারখানা মালিকের ভূমিকা শ্রমিকদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। যা পরে অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। শ্রমিকদের বিক্ষোভ কেন সংঘাত-সহিংসতায় গড়াল? আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কেন বলপ্রয়োগ করতে হল, গুলি ছুঁড়তে হল?
শ্রমিক হতাহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। সেখানে বলপ্রয়োগের প্রয়োজন ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। কেউ বাড়াবাড়ি করে থাকলে তাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও শ্রমিকদের কেন দাবি আদায়ের জন্য প্রাণ দিতে হবে সেটা আমরা জানতে চাইব।
নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদিও জীবনের কোনো ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবির দ্রুত সুরাহা করা জরুরি।
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে একটি কারখানা বন্ধ ও ছাঁটাইয়ের জেরে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনায় একজন শ্রমিক মারা গেছেন, আহত হয়েছেন অনেকে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ইপিজেডের এভারগ্রিন কারখানা থেকে সম্প্রতি ৫১ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয় এবং বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানা বন্ধের নোটিস দেখে কারখানার সামনে অবস্থান নেন। যার ফলে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন শ্রমিক প্রাণ হারান।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করতে পারেন কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। কোনো কোনো কারখানা মালিকের ভূমিকা শ্রমিকদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। যা পরে অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। শ্রমিকদের বিক্ষোভ কেন সংঘাত-সহিংসতায় গড়াল? আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কেন বলপ্রয়োগ করতে হল, গুলি ছুঁড়তে হল?
শ্রমিক হতাহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। সেখানে বলপ্রয়োগের প্রয়োজন ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। কেউ বাড়াবাড়ি করে থাকলে তাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও শ্রমিকদের কেন দাবি আদায়ের জন্য প্রাণ দিতে হবে সেটা আমরা জানতে চাইব।
নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদিও জীবনের কোনো ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবির দ্রুত সুরাহা করা জরুরি।