alt

opinion » editorial

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

: বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে একটি কারখানা বন্ধ ও ছাঁটাইয়ের জেরে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনায় একজন শ্রমিক মারা গেছেন, আহত হয়েছেন অনেকে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ইপিজেডের এভারগ্রিন কারখানা থেকে সম্প্রতি ৫১ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয় এবং বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানা বন্ধের নোটিস দেখে কারখানার সামনে অবস্থান নেন। যার ফলে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন শ্রমিক প্রাণ হারান।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করতে পারেন কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। কোনো কোনো কারখানা মালিকের ভূমিকা শ্রমিকদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। যা পরে অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। শ্রমিকদের বিক্ষোভ কেন সংঘাত-সহিংসতায় গড়াল? আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কেন বলপ্রয়োগ করতে হল, গুলি ছুঁড়তে হল?

শ্রমিক হতাহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। সেখানে বলপ্রয়োগের প্রয়োজন ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। কেউ বাড়াবাড়ি করে থাকলে তাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও শ্রমিকদের কেন দাবি আদায়ের জন্য প্রাণ দিতে হবে সেটা আমরা জানতে চাইব।

নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদিও জীবনের কোনো ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবির দ্রুত সুরাহা করা জরুরি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

অজগর হত্যা : বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় চাই জনসচেতনতা

লেভেল ক্রসিংয়ে প্রাণহানি : অব্যবস্থাপনার দুর্ভাগ্যজনক চিত্র

ঠাকুরগাঁওয়ে জলাতঙ্ক টিকার সংকট দূর করুন

পাহাড় কাটা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

বনমালীনগরে পাকা সড়কের জন্য আর কত অপেক্ষা

tab

opinion » editorial

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে একটি কারখানা বন্ধ ও ছাঁটাইয়ের জেরে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনায় একজন শ্রমিক মারা গেছেন, আহত হয়েছেন অনেকে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ইপিজেডের এভারগ্রিন কারখানা থেকে সম্প্রতি ৫১ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয় এবং বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানা বন্ধের নোটিস দেখে কারখানার সামনে অবস্থান নেন। যার ফলে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন শ্রমিক প্রাণ হারান।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করতে পারেন কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। কোনো কোনো কারখানা মালিকের ভূমিকা শ্রমিকদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। যা পরে অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। শ্রমিকদের বিক্ষোভ কেন সংঘাত-সহিংসতায় গড়াল? আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কেন বলপ্রয়োগ করতে হল, গুলি ছুঁড়তে হল?

শ্রমিক হতাহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। সেখানে বলপ্রয়োগের প্রয়োজন ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। কেউ বাড়াবাড়ি করে থাকলে তাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও শ্রমিকদের কেন দাবি আদায়ের জন্য প্রাণ দিতে হবে সেটা আমরা জানতে চাইব।

নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদিও জীবনের কোনো ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবির দ্রুত সুরাহা করা জরুরি।

back to top