alt

opinion » editorial

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

: শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি পৌরসভার অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব। অথচ নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত ডাস্টবিনগুলো অযতœ ও অব্যবস্থাপনার কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে। সঠিকভাবে তা পরিচালিত না হওয়ায় যেখানে-সেখানে আবর্জনা জমে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, বাড়ছে রোগবালাইয়ের আশঙ্কা। এতে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এই ব্যর্থতার দায় পৌর কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। ডাস্টবিন থাকলেও তা খোলা হয়নি বা সংস্কার করা হয়নি, নিয়মিত ময়লা অপসারণের কোনো ব্যবস্থা নেইÑএমন অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। পৌরসভার নাগরিকরা নিয়মিত কর পরিশোধ করেন। এর বিনিময়ে ন্যূনতম পরিবেশ নিশ্চিত করা পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।

সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে জমি বরাদ্দ পেলে বর্জ্য ডাম্পিংয়ের স্থায়ী ব্যবস্থা করা হবে। আবার সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে চুক্তির কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু এসব বক্তব্য কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা একটা প্রশ্ন। সঠিক তদারকি থাকলে ডাস্টবিনগুলো অকেজো হয়ে পড়তো না বলে আমরা মনে করি। সেখানে যে সংস্থা কাজ করছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তাদের কার্যক্রমের কোনো দৃশ্যমান ফলাফল নেই। ফলে নাগরিক দুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে।

আমরা বলতে চাই, কাঞ্চন পৌরসভায় দ্রুত কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যমান ডাস্টবিনগুলো সংস্কার করে ব্যবহারযোগ্য করতে হবে। নিয়মিত বর্জ্য অপসারণের জন্য নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও জনবল ব্যবস্থাপনা দরকার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার ওপর কঠোর তদারকি চালাতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষকেও সচেতন হয়ে সঠিকভাবে ডাস্টবিন ব্যবহার করতে হবে।

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

অজগর হত্যা : বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় চাই জনসচেতনতা

লেভেল ক্রসিংয়ে প্রাণহানি : অব্যবস্থাপনার দুর্ভাগ্যজনক চিত্র

ঠাকুরগাঁওয়ে জলাতঙ্ক টিকার সংকট দূর করুন

tab

opinion » editorial

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি পৌরসভার অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব। অথচ নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত ডাস্টবিনগুলো অযতœ ও অব্যবস্থাপনার কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে। সঠিকভাবে তা পরিচালিত না হওয়ায় যেখানে-সেখানে আবর্জনা জমে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, বাড়ছে রোগবালাইয়ের আশঙ্কা। এতে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এই ব্যর্থতার দায় পৌর কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। ডাস্টবিন থাকলেও তা খোলা হয়নি বা সংস্কার করা হয়নি, নিয়মিত ময়লা অপসারণের কোনো ব্যবস্থা নেইÑএমন অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। পৌরসভার নাগরিকরা নিয়মিত কর পরিশোধ করেন। এর বিনিময়ে ন্যূনতম পরিবেশ নিশ্চিত করা পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।

সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে জমি বরাদ্দ পেলে বর্জ্য ডাম্পিংয়ের স্থায়ী ব্যবস্থা করা হবে। আবার সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে চুক্তির কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু এসব বক্তব্য কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা একটা প্রশ্ন। সঠিক তদারকি থাকলে ডাস্টবিনগুলো অকেজো হয়ে পড়তো না বলে আমরা মনে করি। সেখানে যে সংস্থা কাজ করছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তাদের কার্যক্রমের কোনো দৃশ্যমান ফলাফল নেই। ফলে নাগরিক দুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে।

আমরা বলতে চাই, কাঞ্চন পৌরসভায় দ্রুত কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যমান ডাস্টবিনগুলো সংস্কার করে ব্যবহারযোগ্য করতে হবে। নিয়মিত বর্জ্য অপসারণের জন্য নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও জনবল ব্যবস্থাপনা দরকার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার ওপর কঠোর তদারকি চালাতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষকেও সচেতন হয়ে সঠিকভাবে ডাস্টবিন ব্যবহার করতে হবে।

back to top