বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি পৌরসভার অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব। অথচ নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত ডাস্টবিনগুলো অযতœ ও অব্যবস্থাপনার কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে। সঠিকভাবে তা পরিচালিত না হওয়ায় যেখানে-সেখানে আবর্জনা জমে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, বাড়ছে রোগবালাইয়ের আশঙ্কা। এতে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এই ব্যর্থতার দায় পৌর কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। ডাস্টবিন থাকলেও তা খোলা হয়নি বা সংস্কার করা হয়নি, নিয়মিত ময়লা অপসারণের কোনো ব্যবস্থা নেইÑএমন অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। পৌরসভার নাগরিকরা নিয়মিত কর পরিশোধ করেন। এর বিনিময়ে ন্যূনতম পরিবেশ নিশ্চিত করা পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে জমি বরাদ্দ পেলে বর্জ্য ডাম্পিংয়ের স্থায়ী ব্যবস্থা করা হবে। আবার সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে চুক্তির কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু এসব বক্তব্য কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা একটা প্রশ্ন। সঠিক তদারকি থাকলে ডাস্টবিনগুলো অকেজো হয়ে পড়তো না বলে আমরা মনে করি। সেখানে যে সংস্থা কাজ করছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তাদের কার্যক্রমের কোনো দৃশ্যমান ফলাফল নেই। ফলে নাগরিক দুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে।
আমরা বলতে চাই, কাঞ্চন পৌরসভায় দ্রুত কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যমান ডাস্টবিনগুলো সংস্কার করে ব্যবহারযোগ্য করতে হবে। নিয়মিত বর্জ্য অপসারণের জন্য নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও জনবল ব্যবস্থাপনা দরকার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার ওপর কঠোর তদারকি চালাতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষকেও সচেতন হয়ে সঠিকভাবে ডাস্টবিন ব্যবহার করতে হবে।
শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি পৌরসভার অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব। অথচ নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত ডাস্টবিনগুলো অযতœ ও অব্যবস্থাপনার কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে। সঠিকভাবে তা পরিচালিত না হওয়ায় যেখানে-সেখানে আবর্জনা জমে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, বাড়ছে রোগবালাইয়ের আশঙ্কা। এতে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এই ব্যর্থতার দায় পৌর কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। ডাস্টবিন থাকলেও তা খোলা হয়নি বা সংস্কার করা হয়নি, নিয়মিত ময়লা অপসারণের কোনো ব্যবস্থা নেইÑএমন অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। পৌরসভার নাগরিকরা নিয়মিত কর পরিশোধ করেন। এর বিনিময়ে ন্যূনতম পরিবেশ নিশ্চিত করা পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে জমি বরাদ্দ পেলে বর্জ্য ডাম্পিংয়ের স্থায়ী ব্যবস্থা করা হবে। আবার সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে চুক্তির কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু এসব বক্তব্য কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা একটা প্রশ্ন। সঠিক তদারকি থাকলে ডাস্টবিনগুলো অকেজো হয়ে পড়তো না বলে আমরা মনে করি। সেখানে যে সংস্থা কাজ করছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তাদের কার্যক্রমের কোনো দৃশ্যমান ফলাফল নেই। ফলে নাগরিক দুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে।
আমরা বলতে চাই, কাঞ্চন পৌরসভায় দ্রুত কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যমান ডাস্টবিনগুলো সংস্কার করে ব্যবহারযোগ্য করতে হবে। নিয়মিত বর্জ্য অপসারণের জন্য নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও জনবল ব্যবস্থাপনা দরকার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার ওপর কঠোর তদারকি চালাতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষকেও সচেতন হয়ে সঠিকভাবে ডাস্টবিন ব্যবহার করতে হবে।