alt

opinion » editorial

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

: রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে গত শুক্রবার নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলা’ নামে এক ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দিয়েছে ‘তৌহিদি জনতা’ হিসেবে দাবি করা একটি গোষ্ঠী। সেই সময় সংঘর্ষে একজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে ইউএনওর একটি গাড়ি ও পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

কোনো সভ্য সমাজে এমন অমানবিক কাজ কীভাবে ঘটে সেটা একটা প্রশ্ন। তথাকথিত তৌহিদি জনতা কেবল বর্বরতার নজিরই রাখেনি, তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার প্রতিও গভীর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।

কোনো বিষয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে বা কারও আদর্শ বা চিন্তাভাবনা নিয়ে কারও ভিন্ন মত থাকতে পারে তবে সেজন্য তার মৃতদেহ কবর থেকে কেউ তুলে ফেলতে পার না, মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলতে পারে না। এ ধরনের কাজ মানবতা ও সভ্যতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধ।

তৌহিদী জনতার নামে উগ্রবাদীতা ও নৈরাজ্য থামছেই না। এর আগেও তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে, স্থাপনা ধ্বংস করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বরং উসকানি দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ ‘মব’কে মব হিসেবে দেখতে রাজি নয়। আজকে তৌহিদী জনতা বা মব-এর এই উগ্র রূপ ধারণ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাম-লী দায় এড়াতে পারেন না। দেশ ও সমাজকে আজকের অবস্থায় নিয়ে আসার পেছনে তাদেরও দায়-দায়িত্ব রয়েছে।

রাজবাড়ীতে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "এই অমানবিক ও ঘৃণ্য কাজটি আমাদের মূল্যবোধ, আমাদের আইন এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সভ্য সমাজের মৌলিক ভিত্তির ওপর সরাসরি আঘাত।"

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, এই ধরনের বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

আমরা বলতে চাই, শুধু বিবৃতি দিলে চলবে না। দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি সত্যিকার অর্থেই চায় যে, সমাজে নৈরাজ্য বন্ধ করা হবে, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা হবে তাহলে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। অপরাধী যে বা যারাই হোক না কেন তাদেরকে আইনের মুখোমুখি করতে হবে। কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে সমাজে এই বার্তা দিতে হবে যে, ‘তৌহিদি জনতার’ নামে কারও অধিকার হরণ করা চলবে না, ‘মব’ সৃষ্টি করে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

অজগর হত্যা : বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় চাই জনসচেতনতা

লেভেল ক্রসিংয়ে প্রাণহানি : অব্যবস্থাপনার দুর্ভাগ্যজনক চিত্র

tab

opinion » editorial

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে গত শুক্রবার নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলা’ নামে এক ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দিয়েছে ‘তৌহিদি জনতা’ হিসেবে দাবি করা একটি গোষ্ঠী। সেই সময় সংঘর্ষে একজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে ইউএনওর একটি গাড়ি ও পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

কোনো সভ্য সমাজে এমন অমানবিক কাজ কীভাবে ঘটে সেটা একটা প্রশ্ন। তথাকথিত তৌহিদি জনতা কেবল বর্বরতার নজিরই রাখেনি, তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার প্রতিও গভীর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।

কোনো বিষয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে বা কারও আদর্শ বা চিন্তাভাবনা নিয়ে কারও ভিন্ন মত থাকতে পারে তবে সেজন্য তার মৃতদেহ কবর থেকে কেউ তুলে ফেলতে পার না, মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলতে পারে না। এ ধরনের কাজ মানবতা ও সভ্যতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধ।

তৌহিদী জনতার নামে উগ্রবাদীতা ও নৈরাজ্য থামছেই না। এর আগেও তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে, স্থাপনা ধ্বংস করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বরং উসকানি দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ ‘মব’কে মব হিসেবে দেখতে রাজি নয়। আজকে তৌহিদী জনতা বা মব-এর এই উগ্র রূপ ধারণ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাম-লী দায় এড়াতে পারেন না। দেশ ও সমাজকে আজকের অবস্থায় নিয়ে আসার পেছনে তাদেরও দায়-দায়িত্ব রয়েছে।

রাজবাড়ীতে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "এই অমানবিক ও ঘৃণ্য কাজটি আমাদের মূল্যবোধ, আমাদের আইন এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সভ্য সমাজের মৌলিক ভিত্তির ওপর সরাসরি আঘাত।"

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, এই ধরনের বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

আমরা বলতে চাই, শুধু বিবৃতি দিলে চলবে না। দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি সত্যিকার অর্থেই চায় যে, সমাজে নৈরাজ্য বন্ধ করা হবে, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা হবে তাহলে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। অপরাধী যে বা যারাই হোক না কেন তাদেরকে আইনের মুখোমুখি করতে হবে। কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে সমাজে এই বার্তা দিতে হবে যে, ‘তৌহিদি জনতার’ নামে কারও অধিকার হরণ করা চলবে না, ‘মব’ সৃষ্টি করে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।

back to top