alt

opinion » editorial

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে অপরাধের পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের দাবি, হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, অপহরণসহ সহিংস অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে বলে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তার বড় অংশই আসলে বিগত সরকারের সময়ে দমনকৃত ও রেকর্ডবিহীন থাকা মামলার পুনঃনথিভুক্তির ফল। তাদের দাবি, চুরি, ডাকাতি ও দাঙ্গার মতো সাধারণ অপরাধ কমেছে। এটিকে সরকারের ইতিবাচক সাফল্য হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি এখন একটি বড় সমস্যা। মাঠপর্যায়ের চিত্র বলছে, দেশজুড়ে একটি অস্থিরতা ও নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, এবং অপহরণের মতো অপরাধ মানুষকে উদ্বিগ্ন করেছে।

প্রেস উইংয়ের দাবি, বর্তমান হত্যার সংখ্যা বাড়ার পেছনে পূর্ববর্তী শাসনামলে দমনকৃত ও রেকর্ডবিহীন মামলাগুলোর পুনঃনথিভুক্তি একটি বড় কারণ। এই ব্যাখ্যা কিছুটা সত্য হলেও, সমস্যার গভীরতাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করার অজুহাত হতে পারে না।

শুধু পূর্ববর্তী সরকারের কাঁধে দায় চাপালে হবে না। অতীতের সরকারগুলোও আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য পূর্বসূরিদের দায়ী করেছে। বর্তমান সরকারও একই কৌশল অনুসরণ করছে। কিন্তু দায় চাপিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। দেশের সবচেয়ে বড় সংকট এখন আইনশৃঙ্খলার অবনতি। নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এটি সরকারকে স্বীকার করতে হবে। সমস্যাকে স্বীকার না করলে সমাধানের পথ খুলবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতিমধ্যে স্বীকার করেছেন, আইনশৃঙ্খলা কিছুটা অবনতি হয়েছে। এটি সমস্যার স্বীকৃতির একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হলেও যথেষ্ট নয়। মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। এ দায়িত্ব এড়ানো যায় না।

সরকারের প্রতি আহ্বান, অতীত সরকারকে দোষারপ করে দায় সারলে চলবে না। শক্ত হাতে নৈরাজ্য দমন করুন। আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন। অপরাধী যেই হোক, রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, তাকে বিচারের আওতায় আনুন। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের প্রথম দায়িত্ব।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে অপরাধের পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের দাবি, হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, অপহরণসহ সহিংস অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে বলে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তার বড় অংশই আসলে বিগত সরকারের সময়ে দমনকৃত ও রেকর্ডবিহীন থাকা মামলার পুনঃনথিভুক্তির ফল। তাদের দাবি, চুরি, ডাকাতি ও দাঙ্গার মতো সাধারণ অপরাধ কমেছে। এটিকে সরকারের ইতিবাচক সাফল্য হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি এখন একটি বড় সমস্যা। মাঠপর্যায়ের চিত্র বলছে, দেশজুড়ে একটি অস্থিরতা ও নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, এবং অপহরণের মতো অপরাধ মানুষকে উদ্বিগ্ন করেছে।

প্রেস উইংয়ের দাবি, বর্তমান হত্যার সংখ্যা বাড়ার পেছনে পূর্ববর্তী শাসনামলে দমনকৃত ও রেকর্ডবিহীন মামলাগুলোর পুনঃনথিভুক্তি একটি বড় কারণ। এই ব্যাখ্যা কিছুটা সত্য হলেও, সমস্যার গভীরতাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করার অজুহাত হতে পারে না।

শুধু পূর্ববর্তী সরকারের কাঁধে দায় চাপালে হবে না। অতীতের সরকারগুলোও আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য পূর্বসূরিদের দায়ী করেছে। বর্তমান সরকারও একই কৌশল অনুসরণ করছে। কিন্তু দায় চাপিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। দেশের সবচেয়ে বড় সংকট এখন আইনশৃঙ্খলার অবনতি। নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এটি সরকারকে স্বীকার করতে হবে। সমস্যাকে স্বীকার না করলে সমাধানের পথ খুলবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতিমধ্যে স্বীকার করেছেন, আইনশৃঙ্খলা কিছুটা অবনতি হয়েছে। এটি সমস্যার স্বীকৃতির একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হলেও যথেষ্ট নয়। মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। এ দায়িত্ব এড়ানো যায় না।

সরকারের প্রতি আহ্বান, অতীত সরকারকে দোষারপ করে দায় সারলে চলবে না। শক্ত হাতে নৈরাজ্য দমন করুন। আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন। অপরাধী যেই হোক, রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, তাকে বিচারের আওতায় আনুন। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের প্রথম দায়িত্ব।

back to top