অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে অপরাধের পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের দাবি, হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, অপহরণসহ সহিংস অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে বলে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তার বড় অংশই আসলে বিগত সরকারের সময়ে দমনকৃত ও রেকর্ডবিহীন থাকা মামলার পুনঃনথিভুক্তির ফল। তাদের দাবি, চুরি, ডাকাতি ও দাঙ্গার মতো সাধারণ অপরাধ কমেছে। এটিকে সরকারের ইতিবাচক সাফল্য হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি এখন একটি বড় সমস্যা। মাঠপর্যায়ের চিত্র বলছে, দেশজুড়ে একটি অস্থিরতা ও নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, এবং অপহরণের মতো অপরাধ মানুষকে উদ্বিগ্ন করেছে।
প্রেস উইংয়ের দাবি, বর্তমান হত্যার সংখ্যা বাড়ার পেছনে পূর্ববর্তী শাসনামলে দমনকৃত ও রেকর্ডবিহীন মামলাগুলোর পুনঃনথিভুক্তি একটি বড় কারণ। এই ব্যাখ্যা কিছুটা সত্য হলেও, সমস্যার গভীরতাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করার অজুহাত হতে পারে না।
শুধু পূর্ববর্তী সরকারের কাঁধে দায় চাপালে হবে না। অতীতের সরকারগুলোও আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য পূর্বসূরিদের দায়ী করেছে। বর্তমান সরকারও একই কৌশল অনুসরণ করছে। কিন্তু দায় চাপিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। দেশের সবচেয়ে বড় সংকট এখন আইনশৃঙ্খলার অবনতি। নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এটি সরকারকে স্বীকার করতে হবে। সমস্যাকে স্বীকার না করলে সমাধানের পথ খুলবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতিমধ্যে স্বীকার করেছেন, আইনশৃঙ্খলা কিছুটা অবনতি হয়েছে। এটি সমস্যার স্বীকৃতির একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হলেও যথেষ্ট নয়। মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। এ দায়িত্ব এড়ানো যায় না।
সরকারের প্রতি আহ্বান, অতীত সরকারকে দোষারপ করে দায় সারলে চলবে না। শক্ত হাতে নৈরাজ্য দমন করুন। আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন। অপরাধী যেই হোক, রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, তাকে বিচারের আওতায় আনুন। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের প্রথম দায়িত্ব।
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে অপরাধের পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের দাবি, হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, অপহরণসহ সহিংস অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে বলে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তার বড় অংশই আসলে বিগত সরকারের সময়ে দমনকৃত ও রেকর্ডবিহীন থাকা মামলার পুনঃনথিভুক্তির ফল। তাদের দাবি, চুরি, ডাকাতি ও দাঙ্গার মতো সাধারণ অপরাধ কমেছে। এটিকে সরকারের ইতিবাচক সাফল্য হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি এখন একটি বড় সমস্যা। মাঠপর্যায়ের চিত্র বলছে, দেশজুড়ে একটি অস্থিরতা ও নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, এবং অপহরণের মতো অপরাধ মানুষকে উদ্বিগ্ন করেছে।
প্রেস উইংয়ের দাবি, বর্তমান হত্যার সংখ্যা বাড়ার পেছনে পূর্ববর্তী শাসনামলে দমনকৃত ও রেকর্ডবিহীন মামলাগুলোর পুনঃনথিভুক্তি একটি বড় কারণ। এই ব্যাখ্যা কিছুটা সত্য হলেও, সমস্যার গভীরতাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করার অজুহাত হতে পারে না।
শুধু পূর্ববর্তী সরকারের কাঁধে দায় চাপালে হবে না। অতীতের সরকারগুলোও আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য পূর্বসূরিদের দায়ী করেছে। বর্তমান সরকারও একই কৌশল অনুসরণ করছে। কিন্তু দায় চাপিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। দেশের সবচেয়ে বড় সংকট এখন আইনশৃঙ্খলার অবনতি। নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এটি সরকারকে স্বীকার করতে হবে। সমস্যাকে স্বীকার না করলে সমাধানের পথ খুলবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতিমধ্যে স্বীকার করেছেন, আইনশৃঙ্খলা কিছুটা অবনতি হয়েছে। এটি সমস্যার স্বীকৃতির একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হলেও যথেষ্ট নয়। মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। এ দায়িত্ব এড়ানো যায় না।
সরকারের প্রতি আহ্বান, অতীত সরকারকে দোষারপ করে দায় সারলে চলবে না। শক্ত হাতে নৈরাজ্য দমন করুন। আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন। অপরাধী যেই হোক, রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, তাকে বিচারের আওতায় আনুন। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের প্রথম দায়িত্ব।