alt

opinion » editorial

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

: বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুমিল্লার চান্দিনায় গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও সাইনবোর্ড ঝোলানো হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রচার, বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রচার কিংবা চিকিৎসা সেবার ব্যানার ঝোলাতে গিয়ে গাছের গায়ে পেরেক ও তারকাঁটা ঠুকে দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের সামনের গাছগুলো পর্যন্ত এই নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গাছের গায়ে পেরেক ঠোকার প্রবণতা একটি মারাত্মক পরিবেশগত সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সারা দেশেই গাছের ওপর এই নির্যাতন চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেরেক গাছের অভ্যন্তরীণ কোষ ধ্বংস করে, রোগ সংক্রমণের পথ তৈরি করে এবং গাছকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। পেরেকের মরিচা ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের সুযোগ করে দেয়। এ কারণে অনেক গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, কিছু গাছ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাছে পেরেক ঠোকা বাংলাদেশের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং বন আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিধিমালাতেও গাছ সংরক্ষণের সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। তবুও প্রশাসনের নীরবতা এই অপরাধকে উৎসাহিত করছে।

প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং জনসচেতনতার অভাব গাছে পেরক ঠোকার সমস্যাকে জটিল করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তাদের কর্মীদের এ ধরনের কাজ থেকে নিরুৎসাহিত করা এবং বিকল্প প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করা। স্থানীয় সরকার, বন বিভাগ এবং পরিবেশ সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগে গাছের উপর এই নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ, জরিমানা ও কারাদ-ের বিধান কার্যকর করা জরুরি।

সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা গাছ সুরক্ষায় নতুন আইন প্রণয়নের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, নতুন আইনে গাছে পেরেক ঠোকা বন্ধে বিশেষ বিধান থাকবে। এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, তবে শুধু আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়। এর কঠোর প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুমিল্লার চান্দিনায় গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও সাইনবোর্ড ঝোলানো হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রচার, বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রচার কিংবা চিকিৎসা সেবার ব্যানার ঝোলাতে গিয়ে গাছের গায়ে পেরেক ও তারকাঁটা ঠুকে দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের সামনের গাছগুলো পর্যন্ত এই নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গাছের গায়ে পেরেক ঠোকার প্রবণতা একটি মারাত্মক পরিবেশগত সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সারা দেশেই গাছের ওপর এই নির্যাতন চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেরেক গাছের অভ্যন্তরীণ কোষ ধ্বংস করে, রোগ সংক্রমণের পথ তৈরি করে এবং গাছকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। পেরেকের মরিচা ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের সুযোগ করে দেয়। এ কারণে অনেক গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, কিছু গাছ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাছে পেরেক ঠোকা বাংলাদেশের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং বন আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিধিমালাতেও গাছ সংরক্ষণের সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। তবুও প্রশাসনের নীরবতা এই অপরাধকে উৎসাহিত করছে।

প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং জনসচেতনতার অভাব গাছে পেরক ঠোকার সমস্যাকে জটিল করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তাদের কর্মীদের এ ধরনের কাজ থেকে নিরুৎসাহিত করা এবং বিকল্প প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করা। স্থানীয় সরকার, বন বিভাগ এবং পরিবেশ সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগে গাছের উপর এই নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ, জরিমানা ও কারাদ-ের বিধান কার্যকর করা জরুরি।

সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা গাছ সুরক্ষায় নতুন আইন প্রণয়নের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, নতুন আইনে গাছে পেরেক ঠোকা বন্ধে বিশেষ বিধান থাকবে। এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, তবে শুধু আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়। এর কঠোর প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

back to top