কুমিল্লার চান্দিনায় গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও সাইনবোর্ড ঝোলানো হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রচার, বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রচার কিংবা চিকিৎসা সেবার ব্যানার ঝোলাতে গিয়ে গাছের গায়ে পেরেক ও তারকাঁটা ঠুকে দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের সামনের গাছগুলো পর্যন্ত এই নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গাছের গায়ে পেরেক ঠোকার প্রবণতা একটি মারাত্মক পরিবেশগত সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সারা দেশেই গাছের ওপর এই নির্যাতন চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেরেক গাছের অভ্যন্তরীণ কোষ ধ্বংস করে, রোগ সংক্রমণের পথ তৈরি করে এবং গাছকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। পেরেকের মরিচা ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের সুযোগ করে দেয়। এ কারণে অনেক গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, কিছু গাছ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাছে পেরেক ঠোকা বাংলাদেশের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং বন আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিধিমালাতেও গাছ সংরক্ষণের সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। তবুও প্রশাসনের নীরবতা এই অপরাধকে উৎসাহিত করছে।
প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং জনসচেতনতার অভাব গাছে পেরক ঠোকার সমস্যাকে জটিল করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তাদের কর্মীদের এ ধরনের কাজ থেকে নিরুৎসাহিত করা এবং বিকল্প প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করা। স্থানীয় সরকার, বন বিভাগ এবং পরিবেশ সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগে গাছের উপর এই নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ, জরিমানা ও কারাদ-ের বিধান কার্যকর করা জরুরি।
সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা গাছ সুরক্ষায় নতুন আইন প্রণয়নের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, নতুন আইনে গাছে পেরেক ঠোকা বন্ধে বিশেষ বিধান থাকবে। এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, তবে শুধু আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়। এর কঠোর প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুমিল্লার চান্দিনায় গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও সাইনবোর্ড ঝোলানো হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রচার, বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রচার কিংবা চিকিৎসা সেবার ব্যানার ঝোলাতে গিয়ে গাছের গায়ে পেরেক ও তারকাঁটা ঠুকে দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের সামনের গাছগুলো পর্যন্ত এই নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গাছের গায়ে পেরেক ঠোকার প্রবণতা একটি মারাত্মক পরিবেশগত সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সারা দেশেই গাছের ওপর এই নির্যাতন চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেরেক গাছের অভ্যন্তরীণ কোষ ধ্বংস করে, রোগ সংক্রমণের পথ তৈরি করে এবং গাছকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। পেরেকের মরিচা ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের সুযোগ করে দেয়। এ কারণে অনেক গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, কিছু গাছ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাছে পেরেক ঠোকা বাংলাদেশের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং বন আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিধিমালাতেও গাছ সংরক্ষণের সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। তবুও প্রশাসনের নীরবতা এই অপরাধকে উৎসাহিত করছে।
প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং জনসচেতনতার অভাব গাছে পেরক ঠোকার সমস্যাকে জটিল করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তাদের কর্মীদের এ ধরনের কাজ থেকে নিরুৎসাহিত করা এবং বিকল্প প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করা। স্থানীয় সরকার, বন বিভাগ এবং পরিবেশ সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগে গাছের উপর এই নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ, জরিমানা ও কারাদ-ের বিধান কার্যকর করা জরুরি।
সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা গাছ সুরক্ষায় নতুন আইন প্রণয়নের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, নতুন আইনে গাছে পেরেক ঠোকা বন্ধে বিশেষ বিধান থাকবে। এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, তবে শুধু আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়। এর কঠোর প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।