alt

opinion » editorial

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তাপমাত্রা বাড়ার ফলে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে দিতে হচ্ছে চড়া মূল্য। ‘অ্যান আনসাস্টেইনেবল লাইফ: দ্য ইমপ্যাক্ট অব হিট অন হেলথ অ্যান্ড দ্য ইকোনমি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ২০২৪ সালে অতিরিক্ত গরমের কারণে বাংলাদেশে প্রায় ২৫ কোটি কর্মদিবসের অপচয় হয়েছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। তাপমাত্রা বাড়ার এই ক্ষতি কেবল কর্মঘণ্টার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি দেশের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানেরও অবনতি ঘটছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৮০ সালের পর থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে, আর গরমের অনুভূতি বেড়েছে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় এই তাপমাত্রা বাড়ার হার জাতীয় গড়ের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেশি। এই গরমের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমিক ও কৃষকরা।

তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে কারণ হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলাভূমি ধ্বংস, বন উজাড় এবং বায়ুদূষণ। ঢাকায় গত তিন দশকে জলাভূমি ৬৯ শতাংশ কমে গেছে। ব্ল্যাক কার্বন, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও মিথেনের মতো ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ইন্ধন যোগাচ্ছে। এই দূষণের উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগের অভাব রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন জরুরি। জলাভূমি ও সবুজ বনাঞ্চল সংরক্ষণ, পরিকল্পিত নগরায়ণ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের জন্য অভিযোজন কৌশল গ্রহণ করতে হবে। দিনের উষ্ণতম সময়ে কাজ এড়িয়ে সকাল বা সন্ধ্যার শীতল সময়ে কাজের সময় নির্ধারণ করা যেতে পারে। এছাড়া, শ্রমিকদের পানিশূন্যতা রোধে স্যালাইন সরবরাহ, ছায়াযুক্ত বিশ্রামের স্থান এবং পর্যাপ্ত বিরতির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

গবেষকদের মতে, কাজের সময়ে পরিবর্তন আনলে শ্রমঘণ্টার ক্ষতি ৩০ শতাংশ কমানো সম্ভব। কিন্তু তাপমাত্রা বৃদ্ধির বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে কতটা সুফল মিলবে সেই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। কাজেই টেকসই সমাধান খুঁজতে হলে পরিবেশ রক্ষার বিকল্প নেই। পরিবেশ রক্ষায় করণীয় কী সেটা সবাই জানে। জরুরি হচ্ছে, বাস্তবে কাজ করা।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তাপমাত্রা বাড়ার ফলে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে দিতে হচ্ছে চড়া মূল্য। ‘অ্যান আনসাস্টেইনেবল লাইফ: দ্য ইমপ্যাক্ট অব হিট অন হেলথ অ্যান্ড দ্য ইকোনমি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ২০২৪ সালে অতিরিক্ত গরমের কারণে বাংলাদেশে প্রায় ২৫ কোটি কর্মদিবসের অপচয় হয়েছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। তাপমাত্রা বাড়ার এই ক্ষতি কেবল কর্মঘণ্টার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি দেশের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানেরও অবনতি ঘটছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৮০ সালের পর থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে, আর গরমের অনুভূতি বেড়েছে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় এই তাপমাত্রা বাড়ার হার জাতীয় গড়ের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেশি। এই গরমের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমিক ও কৃষকরা।

তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে কারণ হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলাভূমি ধ্বংস, বন উজাড় এবং বায়ুদূষণ। ঢাকায় গত তিন দশকে জলাভূমি ৬৯ শতাংশ কমে গেছে। ব্ল্যাক কার্বন, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও মিথেনের মতো ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ইন্ধন যোগাচ্ছে। এই দূষণের উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগের অভাব রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন জরুরি। জলাভূমি ও সবুজ বনাঞ্চল সংরক্ষণ, পরিকল্পিত নগরায়ণ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের জন্য অভিযোজন কৌশল গ্রহণ করতে হবে। দিনের উষ্ণতম সময়ে কাজ এড়িয়ে সকাল বা সন্ধ্যার শীতল সময়ে কাজের সময় নির্ধারণ করা যেতে পারে। এছাড়া, শ্রমিকদের পানিশূন্যতা রোধে স্যালাইন সরবরাহ, ছায়াযুক্ত বিশ্রামের স্থান এবং পর্যাপ্ত বিরতির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

গবেষকদের মতে, কাজের সময়ে পরিবর্তন আনলে শ্রমঘণ্টার ক্ষতি ৩০ শতাংশ কমানো সম্ভব। কিন্তু তাপমাত্রা বৃদ্ধির বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে কতটা সুফল মিলবে সেই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। কাজেই টেকসই সমাধান খুঁজতে হলে পরিবেশ রক্ষার বিকল্প নেই। পরিবেশ রক্ষায় করণীয় কী সেটা সবাই জানে। জরুরি হচ্ছে, বাস্তবে কাজ করা।

back to top