alt

opinion » editorial

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

: বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আগামী নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনার প্রস্তাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘অতিআগ্রহ’র বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এই প্রস্তাব প্রথম দফায় অর্থ মন্ত্রণালয় নাকচ করেছিল। এক দফা নাকচ হওয়া সত্ত্বেও আবারও গাড়ি কেনার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। টিআইবি এই সিদ্ধান্তকে ‘অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে এর পেছনের কারণ অনুসন্ধানের দাবি জানিয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী একেকজন মন্ত্রী সরকারিভাবে একটি গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা পান। বর্তমান উপদেষ্টারাও সেই সুবিধা ভোগ করছেন। বর্তমানে উপদেষ্টারা যেভাবে সরকারিভাবে গাড়ি ব্যবহার করছেন, ভবিষ্যৎ মন্ত্রীরাও সেই একই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তাহলে নতুনভাবে অতিবিলাসী গাড়ি কেনার যৌক্তিকতা কোথায়?

আগামী সরকারের মন্ত্রীরা কোন ধরনের গাড়ি ব্যবহার করবেন, সেই সিদ্ধান্ত এখন কেন নিতে হবে? এটা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হতে পারে কিনা সেই প্রশ্নও রয়েছে। আর বিলাসবহুল গাড়ি কেনার জন্য তড়িঘড়ি কেন?

অন্তর্বর্তী সরকার ব্যয় সংকোচনের নীতি নিয়েছে। তারা রাষ্ট্রসংস্কারের কথা বলছে। এই অবস্থায় বিলাসবহুল গাড়ি কেনার চিন্তা কেন এল? এর পেছনে কে বা কারা রয়েছেন? অর্থ উপদেষ্টা এর আগে স্পষ্ট বলেছেন, এই গাড়ি কেনার কোনো প্রক্রিয়া চলছে না। তাহলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আবার এই প্রস্তাব কেন উত্থাপন করছে? এসব প্রশ্নের উত্তর কি জানা যাবে?

অভিযোগ উঠছে, এই উদ্যোগের পেছনে ‘অতিউৎসাহী স্বার্থান্বেষী আমলাদের তোষণপ্রবণতা’ কাজ করছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং কর্তৃত্ববাদী শাসনের সময় থেকে চলে আসা স্বার্থান্বেষী প্রশাসনিক চর্চারই পুনরাবৃত্তি।

জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা রাষ্ট্র ও সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। আগামী দিনের মন্ত্রীদের গাড়ি কেনার এই ‘অতিআগ্রহ’ জনগণের অর্থের অপচয়ের ঝুঁকি তৈরি করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় এ ধরনের প্রস্তাবকে আমলে নেওয়া হবে না বলে আমরা আশা করতে চাই।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

tab

opinion » editorial

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আগামী নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনার প্রস্তাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘অতিআগ্রহ’র বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এই প্রস্তাব প্রথম দফায় অর্থ মন্ত্রণালয় নাকচ করেছিল। এক দফা নাকচ হওয়া সত্ত্বেও আবারও গাড়ি কেনার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। টিআইবি এই সিদ্ধান্তকে ‘অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে এর পেছনের কারণ অনুসন্ধানের দাবি জানিয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী একেকজন মন্ত্রী সরকারিভাবে একটি গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা পান। বর্তমান উপদেষ্টারাও সেই সুবিধা ভোগ করছেন। বর্তমানে উপদেষ্টারা যেভাবে সরকারিভাবে গাড়ি ব্যবহার করছেন, ভবিষ্যৎ মন্ত্রীরাও সেই একই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তাহলে নতুনভাবে অতিবিলাসী গাড়ি কেনার যৌক্তিকতা কোথায়?

আগামী সরকারের মন্ত্রীরা কোন ধরনের গাড়ি ব্যবহার করবেন, সেই সিদ্ধান্ত এখন কেন নিতে হবে? এটা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হতে পারে কিনা সেই প্রশ্নও রয়েছে। আর বিলাসবহুল গাড়ি কেনার জন্য তড়িঘড়ি কেন?

অন্তর্বর্তী সরকার ব্যয় সংকোচনের নীতি নিয়েছে। তারা রাষ্ট্রসংস্কারের কথা বলছে। এই অবস্থায় বিলাসবহুল গাড়ি কেনার চিন্তা কেন এল? এর পেছনে কে বা কারা রয়েছেন? অর্থ উপদেষ্টা এর আগে স্পষ্ট বলেছেন, এই গাড়ি কেনার কোনো প্রক্রিয়া চলছে না। তাহলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আবার এই প্রস্তাব কেন উত্থাপন করছে? এসব প্রশ্নের উত্তর কি জানা যাবে?

অভিযোগ উঠছে, এই উদ্যোগের পেছনে ‘অতিউৎসাহী স্বার্থান্বেষী আমলাদের তোষণপ্রবণতা’ কাজ করছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং কর্তৃত্ববাদী শাসনের সময় থেকে চলে আসা স্বার্থান্বেষী প্রশাসনিক চর্চারই পুনরাবৃত্তি।

জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা রাষ্ট্র ও সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। আগামী দিনের মন্ত্রীদের গাড়ি কেনার এই ‘অতিআগ্রহ’ জনগণের অর্থের অপচয়ের ঝুঁকি তৈরি করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় এ ধরনের প্রস্তাবকে আমলে নেওয়া হবে না বলে আমরা আশা করতে চাই।

back to top