আগামী নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনার প্রস্তাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘অতিআগ্রহ’র বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এই প্রস্তাব প্রথম দফায় অর্থ মন্ত্রণালয় নাকচ করেছিল। এক দফা নাকচ হওয়া সত্ত্বেও আবারও গাড়ি কেনার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। টিআইবি এই সিদ্ধান্তকে ‘অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে এর পেছনের কারণ অনুসন্ধানের দাবি জানিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী একেকজন মন্ত্রী সরকারিভাবে একটি গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা পান। বর্তমান উপদেষ্টারাও সেই সুবিধা ভোগ করছেন। বর্তমানে উপদেষ্টারা যেভাবে সরকারিভাবে গাড়ি ব্যবহার করছেন, ভবিষ্যৎ মন্ত্রীরাও সেই একই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তাহলে নতুনভাবে অতিবিলাসী গাড়ি কেনার যৌক্তিকতা কোথায়?
আগামী সরকারের মন্ত্রীরা কোন ধরনের গাড়ি ব্যবহার করবেন, সেই সিদ্ধান্ত এখন কেন নিতে হবে? এটা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হতে পারে কিনা সেই প্রশ্নও রয়েছে। আর বিলাসবহুল গাড়ি কেনার জন্য তড়িঘড়ি কেন?
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যয় সংকোচনের নীতি নিয়েছে। তারা রাষ্ট্রসংস্কারের কথা বলছে। এই অবস্থায় বিলাসবহুল গাড়ি কেনার চিন্তা কেন এল? এর পেছনে কে বা কারা রয়েছেন? অর্থ উপদেষ্টা এর আগে স্পষ্ট বলেছেন, এই গাড়ি কেনার কোনো প্রক্রিয়া চলছে না। তাহলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আবার এই প্রস্তাব কেন উত্থাপন করছে? এসব প্রশ্নের উত্তর কি জানা যাবে?
অভিযোগ উঠছে, এই উদ্যোগের পেছনে ‘অতিউৎসাহী স্বার্থান্বেষী আমলাদের তোষণপ্রবণতা’ কাজ করছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং কর্তৃত্ববাদী শাসনের সময় থেকে চলে আসা স্বার্থান্বেষী প্রশাসনিক চর্চারই পুনরাবৃত্তি।
জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা রাষ্ট্র ও সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। আগামী দিনের মন্ত্রীদের গাড়ি কেনার এই ‘অতিআগ্রহ’ জনগণের অর্থের অপচয়ের ঝুঁকি তৈরি করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় এ ধরনের প্রস্তাবকে আমলে নেওয়া হবে না বলে আমরা আশা করতে চাই।
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আগামী নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনার প্রস্তাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘অতিআগ্রহ’র বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এই প্রস্তাব প্রথম দফায় অর্থ মন্ত্রণালয় নাকচ করেছিল। এক দফা নাকচ হওয়া সত্ত্বেও আবারও গাড়ি কেনার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। টিআইবি এই সিদ্ধান্তকে ‘অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে এর পেছনের কারণ অনুসন্ধানের দাবি জানিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী একেকজন মন্ত্রী সরকারিভাবে একটি গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা পান। বর্তমান উপদেষ্টারাও সেই সুবিধা ভোগ করছেন। বর্তমানে উপদেষ্টারা যেভাবে সরকারিভাবে গাড়ি ব্যবহার করছেন, ভবিষ্যৎ মন্ত্রীরাও সেই একই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তাহলে নতুনভাবে অতিবিলাসী গাড়ি কেনার যৌক্তিকতা কোথায়?
আগামী সরকারের মন্ত্রীরা কোন ধরনের গাড়ি ব্যবহার করবেন, সেই সিদ্ধান্ত এখন কেন নিতে হবে? এটা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হতে পারে কিনা সেই প্রশ্নও রয়েছে। আর বিলাসবহুল গাড়ি কেনার জন্য তড়িঘড়ি কেন?
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যয় সংকোচনের নীতি নিয়েছে। তারা রাষ্ট্রসংস্কারের কথা বলছে। এই অবস্থায় বিলাসবহুল গাড়ি কেনার চিন্তা কেন এল? এর পেছনে কে বা কারা রয়েছেন? অর্থ উপদেষ্টা এর আগে স্পষ্ট বলেছেন, এই গাড়ি কেনার কোনো প্রক্রিয়া চলছে না। তাহলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আবার এই প্রস্তাব কেন উত্থাপন করছে? এসব প্রশ্নের উত্তর কি জানা যাবে?
অভিযোগ উঠছে, এই উদ্যোগের পেছনে ‘অতিউৎসাহী স্বার্থান্বেষী আমলাদের তোষণপ্রবণতা’ কাজ করছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং কর্তৃত্ববাদী শাসনের সময় থেকে চলে আসা স্বার্থান্বেষী প্রশাসনিক চর্চারই পুনরাবৃত্তি।
জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা রাষ্ট্র ও সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। আগামী দিনের মন্ত্রীদের গাড়ি কেনার এই ‘অতিআগ্রহ’ জনগণের অর্থের অপচয়ের ঝুঁকি তৈরি করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় এ ধরনের প্রস্তাবকে আমলে নেওয়া হবে না বলে আমরা আশা করতে চাই।