alt

opinion » editorial

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

: বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহীর পুঠিয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। ভরা আমন মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা প্রয়োজন অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেশি দিয়েও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সার পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, জমিতে সময়মতো সার দেওয়া না গেলে ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেন প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, পুঠিয়ায় সার সংকটের মূলে রয়েছে একটি অসাধু চক্র। এই চক্র কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের অপচষ্টা করছে। ডিলারদের কাছে সার মজুদ থাকলেও তারা বিক্রি বন্ধ করে কৃষকদের বিপাকে ফেলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, কৃষকদের ১২-১৭ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে সার পেতে। খুচরা ব্যবসায়ীরা ডিলারদের কাছ থেকে বাড়তি দামে সার কিনে কৃষকদের কাছে আরও বেশি দামে বিক্রি করছেন। এমনকি ভুয়া তালিকা ব্যবহার করে সার সংগ্রহ করে মজুদ করা হচ্ছে, যা বাজারে সংকটকে আরও তীব্র করছে। এই সমস্যা কেবল পুঠিয়ার নয়। দেশের আরও অনেক স্থানে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে।

বর্তমান নিয়মে, সার বিতরণের আগে ডিলারদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার অনুমোদন নিতে হয়। মাঠ পরিদর্শন, বিক্রির রশিদে স্বাক্ষর এবং জেলা প্রশাসনের অনুমোদনের এই প্রক্রিয়া শেষ করতে ৮-১০ দিন সময় লাগে। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া সার বিতরণে বিলম্ব ঘটাচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

সরকার জানিয়েছে, দেশে সারের কোনো সংকট নেই। অসাধু ডিলাররা, যারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডিলারশিপ পেয়েছেন, তারাই এই সংকটের জন্য দায়ী। তারা মজুদকৃত সার বাজারে না ছাড়ায় কৃষকরা অতিরিক্ত দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি যেখানে সার পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেও দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি।

কৃষকদের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সার বিতরণ প্রক্রিয়াকে সহজ করতে হবে। অসাধু ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মজুদদারি বন্ধে কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। কৃষকদের হাতে সময়মতো এবং সাশ্রয়ী মূল্যে সার পৌঁছে দেওয়া না গেলে কৃষি উৎপাদনের ক্ষতি শুধু কৃষকদের নয়, পুরো দেশের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

tab

opinion » editorial

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহীর পুঠিয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। ভরা আমন মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা প্রয়োজন অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেশি দিয়েও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সার পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, জমিতে সময়মতো সার দেওয়া না গেলে ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেন প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, পুঠিয়ায় সার সংকটের মূলে রয়েছে একটি অসাধু চক্র। এই চক্র কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের অপচষ্টা করছে। ডিলারদের কাছে সার মজুদ থাকলেও তারা বিক্রি বন্ধ করে কৃষকদের বিপাকে ফেলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, কৃষকদের ১২-১৭ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে সার পেতে। খুচরা ব্যবসায়ীরা ডিলারদের কাছ থেকে বাড়তি দামে সার কিনে কৃষকদের কাছে আরও বেশি দামে বিক্রি করছেন। এমনকি ভুয়া তালিকা ব্যবহার করে সার সংগ্রহ করে মজুদ করা হচ্ছে, যা বাজারে সংকটকে আরও তীব্র করছে। এই সমস্যা কেবল পুঠিয়ার নয়। দেশের আরও অনেক স্থানে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে।

বর্তমান নিয়মে, সার বিতরণের আগে ডিলারদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার অনুমোদন নিতে হয়। মাঠ পরিদর্শন, বিক্রির রশিদে স্বাক্ষর এবং জেলা প্রশাসনের অনুমোদনের এই প্রক্রিয়া শেষ করতে ৮-১০ দিন সময় লাগে। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া সার বিতরণে বিলম্ব ঘটাচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

সরকার জানিয়েছে, দেশে সারের কোনো সংকট নেই। অসাধু ডিলাররা, যারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডিলারশিপ পেয়েছেন, তারাই এই সংকটের জন্য দায়ী। তারা মজুদকৃত সার বাজারে না ছাড়ায় কৃষকরা অতিরিক্ত দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি যেখানে সার পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেও দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি।

কৃষকদের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সার বিতরণ প্রক্রিয়াকে সহজ করতে হবে। অসাধু ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মজুদদারি বন্ধে কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। কৃষকদের হাতে সময়মতো এবং সাশ্রয়ী মূল্যে সার পৌঁছে দেওয়া না গেলে কৃষি উৎপাদনের ক্ষতি শুধু কৃষকদের নয়, পুরো দেশের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

back to top