রাজশাহীর পুঠিয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। ভরা আমন মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা প্রয়োজন অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেশি দিয়েও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সার পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, জমিতে সময়মতো সার দেওয়া না গেলে ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেন প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, পুঠিয়ায় সার সংকটের মূলে রয়েছে একটি অসাধু চক্র। এই চক্র কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের অপচষ্টা করছে। ডিলারদের কাছে সার মজুদ থাকলেও তারা বিক্রি বন্ধ করে কৃষকদের বিপাকে ফেলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, কৃষকদের ১২-১৭ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে সার পেতে। খুচরা ব্যবসায়ীরা ডিলারদের কাছ থেকে বাড়তি দামে সার কিনে কৃষকদের কাছে আরও বেশি দামে বিক্রি করছেন। এমনকি ভুয়া তালিকা ব্যবহার করে সার সংগ্রহ করে মজুদ করা হচ্ছে, যা বাজারে সংকটকে আরও তীব্র করছে। এই সমস্যা কেবল পুঠিয়ার নয়। দেশের আরও অনেক স্থানে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বর্তমান নিয়মে, সার বিতরণের আগে ডিলারদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার অনুমোদন নিতে হয়। মাঠ পরিদর্শন, বিক্রির রশিদে স্বাক্ষর এবং জেলা প্রশাসনের অনুমোদনের এই প্রক্রিয়া শেষ করতে ৮-১০ দিন সময় লাগে। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া সার বিতরণে বিলম্ব ঘটাচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
সরকার জানিয়েছে, দেশে সারের কোনো সংকট নেই। অসাধু ডিলাররা, যারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডিলারশিপ পেয়েছেন, তারাই এই সংকটের জন্য দায়ী। তারা মজুদকৃত সার বাজারে না ছাড়ায় কৃষকরা অতিরিক্ত দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি যেখানে সার পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেও দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি।
কৃষকদের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সার বিতরণ প্রক্রিয়াকে সহজ করতে হবে। অসাধু ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মজুদদারি বন্ধে কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। কৃষকদের হাতে সময়মতো এবং সাশ্রয়ী মূল্যে সার পৌঁছে দেওয়া না গেলে কৃষি উৎপাদনের ক্ষতি শুধু কৃষকদের নয়, পুরো দেশের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজশাহীর পুঠিয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। ভরা আমন মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা প্রয়োজন অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেশি দিয়েও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সার পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, জমিতে সময়মতো সার দেওয়া না গেলে ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেন প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, পুঠিয়ায় সার সংকটের মূলে রয়েছে একটি অসাধু চক্র। এই চক্র কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের অপচষ্টা করছে। ডিলারদের কাছে সার মজুদ থাকলেও তারা বিক্রি বন্ধ করে কৃষকদের বিপাকে ফেলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, কৃষকদের ১২-১৭ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে সার পেতে। খুচরা ব্যবসায়ীরা ডিলারদের কাছ থেকে বাড়তি দামে সার কিনে কৃষকদের কাছে আরও বেশি দামে বিক্রি করছেন। এমনকি ভুয়া তালিকা ব্যবহার করে সার সংগ্রহ করে মজুদ করা হচ্ছে, যা বাজারে সংকটকে আরও তীব্র করছে। এই সমস্যা কেবল পুঠিয়ার নয়। দেশের আরও অনেক স্থানে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বর্তমান নিয়মে, সার বিতরণের আগে ডিলারদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার অনুমোদন নিতে হয়। মাঠ পরিদর্শন, বিক্রির রশিদে স্বাক্ষর এবং জেলা প্রশাসনের অনুমোদনের এই প্রক্রিয়া শেষ করতে ৮-১০ দিন সময় লাগে। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া সার বিতরণে বিলম্ব ঘটাচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
সরকার জানিয়েছে, দেশে সারের কোনো সংকট নেই। অসাধু ডিলাররা, যারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডিলারশিপ পেয়েছেন, তারাই এই সংকটের জন্য দায়ী। তারা মজুদকৃত সার বাজারে না ছাড়ায় কৃষকরা অতিরিক্ত দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি যেখানে সার পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেও দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি।
কৃষকদের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সার বিতরণ প্রক্রিয়াকে সহজ করতে হবে। অসাধু ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মজুদদারি বন্ধে কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। কৃষকদের হাতে সময়মতো এবং সাশ্রয়ী মূল্যে সার পৌঁছে দেওয়া না গেলে কৃষি উৎপাদনের ক্ষতি শুধু কৃষকদের নয়, পুরো দেশের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।