গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শহীদ স্মৃতি শ্যামল মঙ্গল রমেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর বিরুদ্ধে সাঁওতাল সম্প্রদায় বিক্ষোভ করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সাঁওতাল-বাঙালি নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তারা বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ দখলমুক্ত করা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সাঁওতাল শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া-আসায় বাধা সৃষ্টি করছে। তারা অভিভাবকদের হুমকিও দিয়েছে। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের শিশুদের শিক্ষার অধিকার এবং তাদের খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার এই প্রচেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠ কোনো সম্প্রদায়ের জন্য শুধু শিক্ষা বা বিনোদনের জায়গা নয়, এটি তাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার প্রতীক। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হামলা মানে একটি সম্প্রদায়ের অস্তিত্বের ওপর আঘাত করা।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত, সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ দখলের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া। অবিলম্বে অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যেমন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্যও তেমন এটা জরুরি। বিদ্যালয় ও খেলার মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য।
দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কেবল প্রশাসনের দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের সকলের নৈতিক দায়বদ্ধতা। আশা করি, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সম্মিলিত প্রতিবাদ ও প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা চাই, সাঁওতাল শিশুদের শিক্ষার সুযোগ ও খেলার অধিকার অক্ষুণœ থাকুক।
বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শহীদ স্মৃতি শ্যামল মঙ্গল রমেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর বিরুদ্ধে সাঁওতাল সম্প্রদায় বিক্ষোভ করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সাঁওতাল-বাঙালি নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তারা বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ দখলমুক্ত করা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সাঁওতাল শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া-আসায় বাধা সৃষ্টি করছে। তারা অভিভাবকদের হুমকিও দিয়েছে। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের শিশুদের শিক্ষার অধিকার এবং তাদের খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার এই প্রচেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠ কোনো সম্প্রদায়ের জন্য শুধু শিক্ষা বা বিনোদনের জায়গা নয়, এটি তাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার প্রতীক। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হামলা মানে একটি সম্প্রদায়ের অস্তিত্বের ওপর আঘাত করা।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত, সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ দখলের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া। অবিলম্বে অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যেমন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্যও তেমন এটা জরুরি। বিদ্যালয় ও খেলার মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য।
দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কেবল প্রশাসনের দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের সকলের নৈতিক দায়বদ্ধতা। আশা করি, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সম্মিলিত প্রতিবাদ ও প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা চাই, সাঁওতাল শিশুদের শিক্ষার সুযোগ ও খেলার অধিকার অক্ষুণœ থাকুক।