alt

opinion » editorial

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

: রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও আমাদের সমাজের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের ৭০ বছর বয়সী এক প্রবীণ ব্যক্তির চুল-দাড়ি জোরপূর্বক কেটে দেওয়া হচ্ছে।

গত কোরবানির ঈদের কয়েক দিন আগে কাশিগঞ্জ বাজারে তিনি এই বর্বরোচিত ঘটনার শিকার হন। সেসময় তিনি বাধা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অসহায় মানুষটি তখন বলে ওঠেন, ‘আল্লাহ, তুই দেহিস’।

আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। দেশের সংবিধান প্রতিটি নাগরিকের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও অমানবিক আচরণ থেকে মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ নিজেদের মতামত, ধর্মীয় বা সামাজিক বিশ্বাসকে জোর করে অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রবণতা কেবল সমাজের সংখ্যালঘু বা প্রান্তিক গোষ্ঠীকেই বিপন্ন করছে না, বরং সমগ্র সমাজের সামাজিক সম্প্রীতি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

জোর করে চুল-দাড়ির এই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও এধরনের ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সমাজে ক্রমবর্ধমান সংকীর্ণতা ও অসহিষ্ণুতার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে। ধর্ম, সংস্কৃতি বা জীবনযাত্রার ভিন্নতাকে সম্মান না করে জোরপূর্বক একটি বিশ্বাস বা আদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে অনেকে মনে করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। সরকারের উচিত জোর করে চুল-দাড়ি কাটার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ধর্মের নামে একজনের ওপর আরেকজন তার বিশ্বাস চাপিয়ে দিতে পারেন না। সমাজকে সহনশীল করতে হলে এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

tab

opinion » editorial

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও আমাদের সমাজের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের ৭০ বছর বয়সী এক প্রবীণ ব্যক্তির চুল-দাড়ি জোরপূর্বক কেটে দেওয়া হচ্ছে।

গত কোরবানির ঈদের কয়েক দিন আগে কাশিগঞ্জ বাজারে তিনি এই বর্বরোচিত ঘটনার শিকার হন। সেসময় তিনি বাধা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অসহায় মানুষটি তখন বলে ওঠেন, ‘আল্লাহ, তুই দেহিস’।

আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। দেশের সংবিধান প্রতিটি নাগরিকের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও অমানবিক আচরণ থেকে মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ নিজেদের মতামত, ধর্মীয় বা সামাজিক বিশ্বাসকে জোর করে অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রবণতা কেবল সমাজের সংখ্যালঘু বা প্রান্তিক গোষ্ঠীকেই বিপন্ন করছে না, বরং সমগ্র সমাজের সামাজিক সম্প্রীতি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

জোর করে চুল-দাড়ির এই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও এধরনের ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সমাজে ক্রমবর্ধমান সংকীর্ণতা ও অসহিষ্ণুতার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে। ধর্ম, সংস্কৃতি বা জীবনযাত্রার ভিন্নতাকে সম্মান না করে জোরপূর্বক একটি বিশ্বাস বা আদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে অনেকে মনে করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। সরকারের উচিত জোর করে চুল-দাড়ি কাটার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ধর্মের নামে একজনের ওপর আরেকজন তার বিশ্বাস চাপিয়ে দিতে পারেন না। সমাজকে সহনশীল করতে হলে এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

back to top