সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও আমাদের সমাজের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের ৭০ বছর বয়সী এক প্রবীণ ব্যক্তির চুল-দাড়ি জোরপূর্বক কেটে দেওয়া হচ্ছে।
গত কোরবানির ঈদের কয়েক দিন আগে কাশিগঞ্জ বাজারে তিনি এই বর্বরোচিত ঘটনার শিকার হন। সেসময় তিনি বাধা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অসহায় মানুষটি তখন বলে ওঠেন, ‘আল্লাহ, তুই দেহিস’।
আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। দেশের সংবিধান প্রতিটি নাগরিকের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও অমানবিক আচরণ থেকে মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ নিজেদের মতামত, ধর্মীয় বা সামাজিক বিশ্বাসকে জোর করে অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রবণতা কেবল সমাজের সংখ্যালঘু বা প্রান্তিক গোষ্ঠীকেই বিপন্ন করছে না, বরং সমগ্র সমাজের সামাজিক সম্প্রীতি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
জোর করে চুল-দাড়ির এই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও এধরনের ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সমাজে ক্রমবর্ধমান সংকীর্ণতা ও অসহিষ্ণুতার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে। ধর্ম, সংস্কৃতি বা জীবনযাত্রার ভিন্নতাকে সম্মান না করে জোরপূর্বক একটি বিশ্বাস বা আদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে অনেকে মনে করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। সরকারের উচিত জোর করে চুল-দাড়ি কাটার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ধর্মের নামে একজনের ওপর আরেকজন তার বিশ্বাস চাপিয়ে দিতে পারেন না। সমাজকে সহনশীল করতে হলে এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও আমাদের সমাজের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের ৭০ বছর বয়সী এক প্রবীণ ব্যক্তির চুল-দাড়ি জোরপূর্বক কেটে দেওয়া হচ্ছে।
গত কোরবানির ঈদের কয়েক দিন আগে কাশিগঞ্জ বাজারে তিনি এই বর্বরোচিত ঘটনার শিকার হন। সেসময় তিনি বাধা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অসহায় মানুষটি তখন বলে ওঠেন, ‘আল্লাহ, তুই দেহিস’।
আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। দেশের সংবিধান প্রতিটি নাগরিকের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও অমানবিক আচরণ থেকে মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ নিজেদের মতামত, ধর্মীয় বা সামাজিক বিশ্বাসকে জোর করে অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রবণতা কেবল সমাজের সংখ্যালঘু বা প্রান্তিক গোষ্ঠীকেই বিপন্ন করছে না, বরং সমগ্র সমাজের সামাজিক সম্প্রীতি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
জোর করে চুল-দাড়ির এই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও এধরনের ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সমাজে ক্রমবর্ধমান সংকীর্ণতা ও অসহিষ্ণুতার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে। ধর্ম, সংস্কৃতি বা জীবনযাত্রার ভিন্নতাকে সম্মান না করে জোরপূর্বক একটি বিশ্বাস বা আদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে অনেকে মনে করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। সরকারের উচিত জোর করে চুল-দাড়ি কাটার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ধর্মের নামে একজনের ওপর আরেকজন তার বিশ্বাস চাপিয়ে দিতে পারেন না। সমাজকে সহনশীল করতে হলে এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।