alt

opinion » editorial

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় আবারও আমরা দেখতে পেলাম, পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন ও আস্থাহীনতা কত সহজে উত্তেজনায় রূপ নিতে পারে। এক পাহাড়ি কিশোরীর ওপর নৃশংস দলবদ্ধ ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচারের দাবিতে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এক পর্যায়ে সংঘাতে রূপ নেয়। এর জের ধরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জনজীবন অচল হয়ে পড়ায় প্রশাসন খাগড়াছড়ি সদর ও পৌরসভা এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

গণতান্ত্রিক দেশে প্রতিটি নাগরিকের ন্যায়বিচার চাওয়া ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, খাগড়াছড়িতে প্রতিবাদ কর্মসূচি সহিংসতায় রূপ নিল কেন। এই সহিংসতা কি এড়ানো যেত না? সেখানে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো কাজে কি এমন কোনো বার্তা পৌঁছায় যে, বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখানো হচ্ছে। কারও কাজে কি মনে হয় যে, কোনো একটি জনগোষ্ঠীর দাবি-দাওয়া বা অধিকার উপেক্ষিত হচ্ছে?

ভিকটিম যেই হোক না কেন তার ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। অপরাধী যেই হোক না কেন তার আইনানুগ বিচার করতে হবে। জাতিগোষ্ঠী ভেদে কারও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার ক্ষুন্ন হতে পারে না। আবার কেউ অন্যায়-অপরাধ করে পার পেতে পারে না। সেটা হলে জাতিগত বিভাজন তৈরি হয়। সৃষ্টি হয় পারস্পরিক অবিশ্বাস-অনাস্থা।

অভিযোগ রয়েছে, পাহাড়ি-বাঙালি বিভাজনকে কাজে লাগিয়ে কোনো কোনো গোষ্ঠী পাহাড়ে বারবার পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করে। আর এর খেসারত দিতে হয় সাধারণ মানুষকে।

আমরা মনে করি, যে কোনো অপরাধের বিচার চাইতে হবে আইন ও আদালতের মাধ্যমে। আবার প্রশাসনেরও দায়িত্ব, কোনো অপরাধের ঘটনায় দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করা, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা। খাগড়াছড়িতে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

১৪৪ ধারা জারি করে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃত্বকে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, যাতে কোনো পক্ষই অবিচারের শিকার না হয়। স্থানীয় জনসাধারণকে আস্থায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে কাজ করতে হবে।

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

tab

opinion » editorial

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় আবারও আমরা দেখতে পেলাম, পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন ও আস্থাহীনতা কত সহজে উত্তেজনায় রূপ নিতে পারে। এক পাহাড়ি কিশোরীর ওপর নৃশংস দলবদ্ধ ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচারের দাবিতে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এক পর্যায়ে সংঘাতে রূপ নেয়। এর জের ধরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জনজীবন অচল হয়ে পড়ায় প্রশাসন খাগড়াছড়ি সদর ও পৌরসভা এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

গণতান্ত্রিক দেশে প্রতিটি নাগরিকের ন্যায়বিচার চাওয়া ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, খাগড়াছড়িতে প্রতিবাদ কর্মসূচি সহিংসতায় রূপ নিল কেন। এই সহিংসতা কি এড়ানো যেত না? সেখানে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো কাজে কি এমন কোনো বার্তা পৌঁছায় যে, বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখানো হচ্ছে। কারও কাজে কি মনে হয় যে, কোনো একটি জনগোষ্ঠীর দাবি-দাওয়া বা অধিকার উপেক্ষিত হচ্ছে?

ভিকটিম যেই হোক না কেন তার ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। অপরাধী যেই হোক না কেন তার আইনানুগ বিচার করতে হবে। জাতিগোষ্ঠী ভেদে কারও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার ক্ষুন্ন হতে পারে না। আবার কেউ অন্যায়-অপরাধ করে পার পেতে পারে না। সেটা হলে জাতিগত বিভাজন তৈরি হয়। সৃষ্টি হয় পারস্পরিক অবিশ্বাস-অনাস্থা।

অভিযোগ রয়েছে, পাহাড়ি-বাঙালি বিভাজনকে কাজে লাগিয়ে কোনো কোনো গোষ্ঠী পাহাড়ে বারবার পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করে। আর এর খেসারত দিতে হয় সাধারণ মানুষকে।

আমরা মনে করি, যে কোনো অপরাধের বিচার চাইতে হবে আইন ও আদালতের মাধ্যমে। আবার প্রশাসনেরও দায়িত্ব, কোনো অপরাধের ঘটনায় দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করা, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা। খাগড়াছড়িতে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

১৪৪ ধারা জারি করে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃত্বকে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, যাতে কোনো পক্ষই অবিচারের শিকার না হয়। স্থানীয় জনসাধারণকে আস্থায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে কাজ করতে হবে।

back to top