প্লাস্টিক দূষণের শিকার হচ্ছে সুন্দরবন। সুন্দরবন-সংলগ্ন গ্রামগুলোর বাজার ও বসতবাড়ির আশপাশে প্লাস্টিক বর্জ্যের স্তূপ দেখা যায়। কয়রা, শাকবাড়িয়া ও শিবসা নদীর তীরে জমে থাকা প্লাস্টিকের প্লেট, বোতল ও প্যাকেট জোয়ারের পানিতে ভেসে বনের গভীরে চলে যাচ্ছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সুন্দরবনের পানিতে প্রতি লিটারে গড়ে ২.২২টি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা এবং মাটিতে প্রতি কেজিতে ৭৩৪টি কণা রয়েছে। ‘সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট’ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুন্দরবনের তিনটি প্রধান নদীর ১৭ প্রজাতির মাছ ও ৩ প্রজাতির শেলফিশে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। এমনকি, মাছের পেটে পলিথিনের টুকরা পাওয়ার ঘটনাও ঘটছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইক্রোপ্লাস্টিক শুধু জলজ প্রাণীই নয়, বনের গাছপালার বৃদ্ধি ও অঙ্কুরোদ্গমেও বাধা সৃষ্টি করছে। খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে এই কণা মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে, যা ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।
পরিবেশবিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি পর্যটক ও ট্যুর অপারেটরদের অসচেতন আচরণ বনের ক্ষতি করছে। এই সংকট মোকাবিলায় নাগরিক সচেতনতার পাশাপাশি কঠোর আইন প্রয়োগ ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব উপকরণের ব্যবহার বাড়াতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে বর্জ্য পুনর্ব্যবহার ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। স্কুল-কলেজে পরিবেশ শিক্ষার প্রসার এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ক্যাম্পেইন চালাতে হবে। পাশাপাশি, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সুন্দরবনের নদী-খাল পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
সুন্দরবন শুধু আমাদের নয়, এটি বিশ্বের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার এক অপরিহার্য উপাদান। এই বনকে প্লাস্টিক দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্লাস্টিক দূষণের শিকার হচ্ছে সুন্দরবন। সুন্দরবন-সংলগ্ন গ্রামগুলোর বাজার ও বসতবাড়ির আশপাশে প্লাস্টিক বর্জ্যের স্তূপ দেখা যায়। কয়রা, শাকবাড়িয়া ও শিবসা নদীর তীরে জমে থাকা প্লাস্টিকের প্লেট, বোতল ও প্যাকেট জোয়ারের পানিতে ভেসে বনের গভীরে চলে যাচ্ছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সুন্দরবনের পানিতে প্রতি লিটারে গড়ে ২.২২টি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা এবং মাটিতে প্রতি কেজিতে ৭৩৪টি কণা রয়েছে। ‘সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট’ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুন্দরবনের তিনটি প্রধান নদীর ১৭ প্রজাতির মাছ ও ৩ প্রজাতির শেলফিশে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। এমনকি, মাছের পেটে পলিথিনের টুকরা পাওয়ার ঘটনাও ঘটছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইক্রোপ্লাস্টিক শুধু জলজ প্রাণীই নয়, বনের গাছপালার বৃদ্ধি ও অঙ্কুরোদ্গমেও বাধা সৃষ্টি করছে। খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে এই কণা মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে, যা ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।
পরিবেশবিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি পর্যটক ও ট্যুর অপারেটরদের অসচেতন আচরণ বনের ক্ষতি করছে। এই সংকট মোকাবিলায় নাগরিক সচেতনতার পাশাপাশি কঠোর আইন প্রয়োগ ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব উপকরণের ব্যবহার বাড়াতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে বর্জ্য পুনর্ব্যবহার ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। স্কুল-কলেজে পরিবেশ শিক্ষার প্রসার এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ক্যাম্পেইন চালাতে হবে। পাশাপাশি, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সুন্দরবনের নদী-খাল পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
সুন্দরবন শুধু আমাদের নয়, এটি বিশ্বের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার এক অপরিহার্য উপাদান। এই বনকে প্লাস্টিক দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।