alt

opinion » editorial

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্লাস্টিক দূষণের শিকার হচ্ছে সুন্দরবন। সুন্দরবন-সংলগ্ন গ্রামগুলোর বাজার ও বসতবাড়ির আশপাশে প্লাস্টিক বর্জ্যের স্তূপ দেখা যায়। কয়রা, শাকবাড়িয়া ও শিবসা নদীর তীরে জমে থাকা প্লাস্টিকের প্লেট, বোতল ও প্যাকেট জোয়ারের পানিতে ভেসে বনের গভীরে চলে যাচ্ছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সুন্দরবনের পানিতে প্রতি লিটারে গড়ে ২.২২টি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা এবং মাটিতে প্রতি কেজিতে ৭৩৪টি কণা রয়েছে। ‘সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট’ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুন্দরবনের তিনটি প্রধান নদীর ১৭ প্রজাতির মাছ ও ৩ প্রজাতির শেলফিশে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। এমনকি, মাছের পেটে পলিথিনের টুকরা পাওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইক্রোপ্লাস্টিক শুধু জলজ প্রাণীই নয়, বনের গাছপালার বৃদ্ধি ও অঙ্কুরোদ্গমেও বাধা সৃষ্টি করছে। খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে এই কণা মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে, যা ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।

পরিবেশবিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি পর্যটক ও ট্যুর অপারেটরদের অসচেতন আচরণ বনের ক্ষতি করছে। এই সংকট মোকাবিলায় নাগরিক সচেতনতার পাশাপাশি কঠোর আইন প্রয়োগ ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব উপকরণের ব্যবহার বাড়াতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে বর্জ্য পুনর্ব্যবহার ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। স্কুল-কলেজে পরিবেশ শিক্ষার প্রসার এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ক্যাম্পেইন চালাতে হবে। পাশাপাশি, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সুন্দরবনের নদী-খাল পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

সুন্দরবন শুধু আমাদের নয়, এটি বিশ্বের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার এক অপরিহার্য উপাদান। এই বনকে প্লাস্টিক দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

tab

opinion » editorial

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্লাস্টিক দূষণের শিকার হচ্ছে সুন্দরবন। সুন্দরবন-সংলগ্ন গ্রামগুলোর বাজার ও বসতবাড়ির আশপাশে প্লাস্টিক বর্জ্যের স্তূপ দেখা যায়। কয়রা, শাকবাড়িয়া ও শিবসা নদীর তীরে জমে থাকা প্লাস্টিকের প্লেট, বোতল ও প্যাকেট জোয়ারের পানিতে ভেসে বনের গভীরে চলে যাচ্ছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সুন্দরবনের পানিতে প্রতি লিটারে গড়ে ২.২২টি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা এবং মাটিতে প্রতি কেজিতে ৭৩৪টি কণা রয়েছে। ‘সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট’ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুন্দরবনের তিনটি প্রধান নদীর ১৭ প্রজাতির মাছ ও ৩ প্রজাতির শেলফিশে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। এমনকি, মাছের পেটে পলিথিনের টুকরা পাওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইক্রোপ্লাস্টিক শুধু জলজ প্রাণীই নয়, বনের গাছপালার বৃদ্ধি ও অঙ্কুরোদ্গমেও বাধা সৃষ্টি করছে। খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে এই কণা মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে, যা ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।

পরিবেশবিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি পর্যটক ও ট্যুর অপারেটরদের অসচেতন আচরণ বনের ক্ষতি করছে। এই সংকট মোকাবিলায় নাগরিক সচেতনতার পাশাপাশি কঠোর আইন প্রয়োগ ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব উপকরণের ব্যবহার বাড়াতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে বর্জ্য পুনর্ব্যবহার ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। স্কুল-কলেজে পরিবেশ শিক্ষার প্রসার এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ক্যাম্পেইন চালাতে হবে। পাশাপাশি, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সুন্দরবনের নদী-খাল পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

সুন্দরবন শুধু আমাদের নয়, এটি বিশ্বের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার এক অপরিহার্য উপাদান। এই বনকে প্লাস্টিক দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।

back to top