আজ বিজয়া দশমী। দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব। একদিকে আনন্দমুখর পরিবেশে দেবীর পূজা আর উৎসবের সমাপ্তি, অন্যদিকে বিদায়ের বেদনাতেই বিজয়ার রূপ। কিন্তু এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে মানুষের জন্য এক গভীর শিক্ষা ও সামাজিক বার্তা।
দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় আচার নয়। ন্যায়, সত্য ও শুভশক্তির প্রতীকী উৎসবও এই পূজা। অসুরের ওপর দেবীর বিজয় আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, অন্যায়, শোষণ ও অশুভ শক্তি যত প্রবলই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত তাদের পরাজয় অনিবার্য। বিজয়া দশমী অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানবতার লড়াইকে নতুন করে দৃঢ় করার দিন।
বাংলাদেশে দুর্গাপূজা বহু শতাব্দীর ঐতিহ্য। এটি কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, বাংলার সামগ্রিক সংস্কৃতির অংশ। বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে ম-পে যান, পূজার সাজসজ্জা উপভোগ করেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এভাবেই দুর্গোৎসব হয়ে ওঠে সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ।
ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে কখনো কখনো ভয়ের আবহ তৈরি হয়। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বা সহিংসতার ঘটনা উৎসবের সৌন্দর্যকে ম্লান করে দেয়। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এবারের দুর্গোৎসব চলাকালে পাঁচ দিনে দেশের বিভিন্ন পূজাম-পে ৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১৫টি মামলা হয়েছে এবং ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক জানিয়েছেন, অধিকাংশ ঘটনাই ছিল ছোটখাটো। তার দাবি, এসব ঘটনার শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসিত হয়েছে, বড় কোনো সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি হয়নি।
বিজয়া দশমীর শিক্ষা হলো বিভেদ নয়, ঐক্য; ঘৃণা নয়, ভালোবাসা; নিপীড়ন নয়, মুক্তি। সমাজের প্রতিটি স্তরে এই শিক্ষা কার্যকর করতে পারলেই প্রকৃত অর্থে উৎসবের সার্থকতা অর্জিত হবে।
আজ যখন দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানো হচ্ছে, তখন আমাদের প্রতিজ্ঞা নিতে হবে যে আমরা সমাজে সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবিচল থাকব। নারী-পুরুষের সমতা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার জন্য লড়াই করব। দেবী দুর্গার প্রতীকী বিদায় আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রতিটি বিদায়ের মধ্যেই নতুন শুরু লুকিয়ে থাকে।
বিজয়া দশমী তাই শুধু এক উৎসবের সমাপ্তি নয়, বরং ন্যায়, মানবতা ও সাম্যের পথচলায় নতুন অঙ্গীকারের দিন।
বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫
আজ বিজয়া দশমী। দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব। একদিকে আনন্দমুখর পরিবেশে দেবীর পূজা আর উৎসবের সমাপ্তি, অন্যদিকে বিদায়ের বেদনাতেই বিজয়ার রূপ। কিন্তু এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে মানুষের জন্য এক গভীর শিক্ষা ও সামাজিক বার্তা।
দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় আচার নয়। ন্যায়, সত্য ও শুভশক্তির প্রতীকী উৎসবও এই পূজা। অসুরের ওপর দেবীর বিজয় আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, অন্যায়, শোষণ ও অশুভ শক্তি যত প্রবলই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত তাদের পরাজয় অনিবার্য। বিজয়া দশমী অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানবতার লড়াইকে নতুন করে দৃঢ় করার দিন।
বাংলাদেশে দুর্গাপূজা বহু শতাব্দীর ঐতিহ্য। এটি কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, বাংলার সামগ্রিক সংস্কৃতির অংশ। বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে ম-পে যান, পূজার সাজসজ্জা উপভোগ করেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এভাবেই দুর্গোৎসব হয়ে ওঠে সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ।
ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে কখনো কখনো ভয়ের আবহ তৈরি হয়। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বা সহিংসতার ঘটনা উৎসবের সৌন্দর্যকে ম্লান করে দেয়। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এবারের দুর্গোৎসব চলাকালে পাঁচ দিনে দেশের বিভিন্ন পূজাম-পে ৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১৫টি মামলা হয়েছে এবং ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক জানিয়েছেন, অধিকাংশ ঘটনাই ছিল ছোটখাটো। তার দাবি, এসব ঘটনার শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসিত হয়েছে, বড় কোনো সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি হয়নি।
বিজয়া দশমীর শিক্ষা হলো বিভেদ নয়, ঐক্য; ঘৃণা নয়, ভালোবাসা; নিপীড়ন নয়, মুক্তি। সমাজের প্রতিটি স্তরে এই শিক্ষা কার্যকর করতে পারলেই প্রকৃত অর্থে উৎসবের সার্থকতা অর্জিত হবে।
আজ যখন দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানো হচ্ছে, তখন আমাদের প্রতিজ্ঞা নিতে হবে যে আমরা সমাজে সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবিচল থাকব। নারী-পুরুষের সমতা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার জন্য লড়াই করব। দেবী দুর্গার প্রতীকী বিদায় আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রতিটি বিদায়ের মধ্যেই নতুন শুরু লুকিয়ে থাকে।
বিজয়া দশমী তাই শুধু এক উৎসবের সমাপ্তি নয়, বরং ন্যায়, মানবতা ও সাম্যের পথচলায় নতুন অঙ্গীকারের দিন।