alt

opinion » editorial

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

: বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

আজ বিজয়া দশমী। দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব। একদিকে আনন্দমুখর পরিবেশে দেবীর পূজা আর উৎসবের সমাপ্তি, অন্যদিকে বিদায়ের বেদনাতেই বিজয়ার রূপ। কিন্তু এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে মানুষের জন্য এক গভীর শিক্ষা ও সামাজিক বার্তা।

দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় আচার নয়। ন্যায়, সত্য ও শুভশক্তির প্রতীকী উৎসবও এই পূজা। অসুরের ওপর দেবীর বিজয় আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, অন্যায়, শোষণ ও অশুভ শক্তি যত প্রবলই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত তাদের পরাজয় অনিবার্য। বিজয়া দশমী অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানবতার লড়াইকে নতুন করে দৃঢ় করার দিন।

বাংলাদেশে দুর্গাপূজা বহু শতাব্দীর ঐতিহ্য। এটি কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, বাংলার সামগ্রিক সংস্কৃতির অংশ। বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে ম-পে যান, পূজার সাজসজ্জা উপভোগ করেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এভাবেই দুর্গোৎসব হয়ে ওঠে সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ।

ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে কখনো কখনো ভয়ের আবহ তৈরি হয়। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বা সহিংসতার ঘটনা উৎসবের সৌন্দর্যকে ম্লান করে দেয়। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এবারের দুর্গোৎসব চলাকালে পাঁচ দিনে দেশের বিভিন্ন পূজাম-পে ৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১৫টি মামলা হয়েছে এবং ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক জানিয়েছেন, অধিকাংশ ঘটনাই ছিল ছোটখাটো। তার দাবি, এসব ঘটনার শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসিত হয়েছে, বড় কোনো সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি হয়নি।

বিজয়া দশমীর শিক্ষা হলো বিভেদ নয়, ঐক্য; ঘৃণা নয়, ভালোবাসা; নিপীড়ন নয়, মুক্তি। সমাজের প্রতিটি স্তরে এই শিক্ষা কার্যকর করতে পারলেই প্রকৃত অর্থে উৎসবের সার্থকতা অর্জিত হবে।

আজ যখন দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানো হচ্ছে, তখন আমাদের প্রতিজ্ঞা নিতে হবে যে আমরা সমাজে সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবিচল থাকব। নারী-পুরুষের সমতা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার জন্য লড়াই করব। দেবী দুর্গার প্রতীকী বিদায় আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রতিটি বিদায়ের মধ্যেই নতুন শুরু লুকিয়ে থাকে।

বিজয়া দশমী তাই শুধু এক উৎসবের সমাপ্তি নয়, বরং ন্যায়, মানবতা ও সাম্যের পথচলায় নতুন অঙ্গীকারের দিন।

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

tab

opinion » editorial

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

আজ বিজয়া দশমী। দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব। একদিকে আনন্দমুখর পরিবেশে দেবীর পূজা আর উৎসবের সমাপ্তি, অন্যদিকে বিদায়ের বেদনাতেই বিজয়ার রূপ। কিন্তু এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে মানুষের জন্য এক গভীর শিক্ষা ও সামাজিক বার্তা।

দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় আচার নয়। ন্যায়, সত্য ও শুভশক্তির প্রতীকী উৎসবও এই পূজা। অসুরের ওপর দেবীর বিজয় আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, অন্যায়, শোষণ ও অশুভ শক্তি যত প্রবলই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত তাদের পরাজয় অনিবার্য। বিজয়া দশমী অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানবতার লড়াইকে নতুন করে দৃঢ় করার দিন।

বাংলাদেশে দুর্গাপূজা বহু শতাব্দীর ঐতিহ্য। এটি কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, বাংলার সামগ্রিক সংস্কৃতির অংশ। বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে ম-পে যান, পূজার সাজসজ্জা উপভোগ করেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এভাবেই দুর্গোৎসব হয়ে ওঠে সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ।

ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে কখনো কখনো ভয়ের আবহ তৈরি হয়। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বা সহিংসতার ঘটনা উৎসবের সৌন্দর্যকে ম্লান করে দেয়। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এবারের দুর্গোৎসব চলাকালে পাঁচ দিনে দেশের বিভিন্ন পূজাম-পে ৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১৫টি মামলা হয়েছে এবং ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক জানিয়েছেন, অধিকাংশ ঘটনাই ছিল ছোটখাটো। তার দাবি, এসব ঘটনার শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসিত হয়েছে, বড় কোনো সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি হয়নি।

বিজয়া দশমীর শিক্ষা হলো বিভেদ নয়, ঐক্য; ঘৃণা নয়, ভালোবাসা; নিপীড়ন নয়, মুক্তি। সমাজের প্রতিটি স্তরে এই শিক্ষা কার্যকর করতে পারলেই প্রকৃত অর্থে উৎসবের সার্থকতা অর্জিত হবে।

আজ যখন দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানো হচ্ছে, তখন আমাদের প্রতিজ্ঞা নিতে হবে যে আমরা সমাজে সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবিচল থাকব। নারী-পুরুষের সমতা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার জন্য লড়াই করব। দেবী দুর্গার প্রতীকী বিদায় আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রতিটি বিদায়ের মধ্যেই নতুন শুরু লুকিয়ে থাকে।

বিজয়া দশমী তাই শুধু এক উৎসবের সমাপ্তি নয়, বরং ন্যায়, মানবতা ও সাম্যের পথচলায় নতুন অঙ্গীকারের দিন।

back to top