দিনাজপুরের পার্বতীপুর মধ্যপাড়া রেঞ্জের কুশদহ বনবিটের ১ হাজার ১০০ একর সরকারি বনভূমি দখল হয়ে গেছে। পরিবেশ সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্দেশ্যে এই বনভূমি ২০০০-২০০১ অর্থবছরে ‘অ্যাগ্রো ফরেস্ট’ প্রকল্পের আওতায় গড়ে উঠেছিল। তা আজ পরিণত হয়েছে ফসলি জমি, বাড়িঘর ও রিসোর্টে। দখলদাররা শুধু বনভূমি দখলেই থেমে থাকেনি, রাতের আঁধারে গাছ কেটে জমি বিক্রিও করে দিয়েছে। সংবাদ-এ প্রকাশি এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৭ হাজার ১৫০ একর বনভূমির মধ্যে বর্তমানে মাত্র ২ হাজার ১৫০ একর অবশিষ্ট আছে। অর্থাৎ, গত দুই দশকে প্রায় ৫ হাজার একর বনভূমি বেদখলে চলে গেছে।
উদ্বেগজনক বিষয় হলো, যারা ‘উপকারভোগী’ নামে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বন রক্ষার দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তারাই আজ বন ধ্বংস করছেন বলে অভিযোগ উটেছে। প্রশাসনিক তদারকি এতটাই দুর্বল যে, বন কর্মকর্তারা নিজ দপ্তরে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। ৭২টি মামলা ও শত শত নোটিসের পরও দখলদাররা অবিচল। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ব্যর্থতার দায় কার? স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ, নাকি রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকা প্রভাবশালী দখলদার চক্রের?
বন নিধন মানে শুধু গাছ ধ্বংস নয়, এর মানে মাটির উর্বরতা হ্রাস, জলবায়ু ভারসাম্যের ভাঙন, বন্যা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধি, এবং স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের বিলুপ্তি। আমরা মনে করি, এটি কেবল কয়েকজন উপকারভোগীর অপরাধ নয়। এটি একটি প্রশাসনিক ব্যর্থতা। বনভূমি দখলের পেছনে স্থানীয় প্রভাবশালী ও দুর্নীতিবাজ চক্রের সমন্বয় ছাড়া এমন দখল সম্ভব নয়। প্রশাসনের কাদেরর নীরবতা বা উদাসীনতাই এ দখলযজ্ঞকে আরও ত্বরান্বিত করেছে সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
সরকারের উচিত এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা। পাশাপাশি দ্রুত বনভূমি পুনরুদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে জবাবদিহিতা আদায় করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
দিনাজপুরের পার্বতীপুর মধ্যপাড়া রেঞ্জের কুশদহ বনবিটের ১ হাজার ১০০ একর সরকারি বনভূমি দখল হয়ে গেছে। পরিবেশ সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্দেশ্যে এই বনভূমি ২০০০-২০০১ অর্থবছরে ‘অ্যাগ্রো ফরেস্ট’ প্রকল্পের আওতায় গড়ে উঠেছিল। তা আজ পরিণত হয়েছে ফসলি জমি, বাড়িঘর ও রিসোর্টে। দখলদাররা শুধু বনভূমি দখলেই থেমে থাকেনি, রাতের আঁধারে গাছ কেটে জমি বিক্রিও করে দিয়েছে। সংবাদ-এ প্রকাশি এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৭ হাজার ১৫০ একর বনভূমির মধ্যে বর্তমানে মাত্র ২ হাজার ১৫০ একর অবশিষ্ট আছে। অর্থাৎ, গত দুই দশকে প্রায় ৫ হাজার একর বনভূমি বেদখলে চলে গেছে।
উদ্বেগজনক বিষয় হলো, যারা ‘উপকারভোগী’ নামে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বন রক্ষার দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তারাই আজ বন ধ্বংস করছেন বলে অভিযোগ উটেছে। প্রশাসনিক তদারকি এতটাই দুর্বল যে, বন কর্মকর্তারা নিজ দপ্তরে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। ৭২টি মামলা ও শত শত নোটিসের পরও দখলদাররা অবিচল। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ব্যর্থতার দায় কার? স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ, নাকি রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকা প্রভাবশালী দখলদার চক্রের?
বন নিধন মানে শুধু গাছ ধ্বংস নয়, এর মানে মাটির উর্বরতা হ্রাস, জলবায়ু ভারসাম্যের ভাঙন, বন্যা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধি, এবং স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের বিলুপ্তি। আমরা মনে করি, এটি কেবল কয়েকজন উপকারভোগীর অপরাধ নয়। এটি একটি প্রশাসনিক ব্যর্থতা। বনভূমি দখলের পেছনে স্থানীয় প্রভাবশালী ও দুর্নীতিবাজ চক্রের সমন্বয় ছাড়া এমন দখল সম্ভব নয়। প্রশাসনের কাদেরর নীরবতা বা উদাসীনতাই এ দখলযজ্ঞকে আরও ত্বরান্বিত করেছে সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
সরকারের উচিত এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা। পাশাপাশি দ্রুত বনভূমি পুনরুদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে জবাবদিহিতা আদায় করতে হবে।