জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মাত্র আট দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। হাসপাতালের ওয়ার্ড, করিডোর, এমনকি মেঝেতেও শুয়ে আছেন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা। চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খাওয়ার এ চিত্র কেবল একটি জেলার নয়Ñএ যেন সারা দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুরবস্থার প্রতিচ্ছবি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই ড্রেনের ময়লা পানি পৌর সরবরাহ লাইনে ঢুকে দূষিত করছে পানীয় জল। আবার অনেকে পূজা উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন স্থানে খোলা খাবার খাওয়াকেই দায়ী করছেন। দুই পক্ষের বক্তব্য ভিন্ন হলেও বাস্তবতা একটিইÑজনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে।
ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগÑএটি নতুন তথ্য নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতি বছর ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা নিয়ে একই ধরনের পরিস্থিতি কেন দেখা দেয়। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে স্থানীয় প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের। পৌরসভার পানির লাইনে লিকেজ থাকলে তাৎক্ষণিক মেরামতের ব্যবস্থা কেন নেওয়া হয় না? খোলা খাবার, অপরিষ্কার বাজার এলাকা, কিংবা নর্দমার পাশে থাকা পানির ট্যাংকÑ এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসানের করণীয় কি কিছু নেই?
দায় কেবল প্রশাসনের নয়। নাগরিকদের অসচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানাও এ বিপদের অন্যতম কারণ। উৎসবের সময় খোলা খাবার খাওয়া, ফুটপাতের পাশ থেকে পানীয় পান করা, অথবা অপরিষ্কার বোতলে পানি সংরক্ষণÑএসব অভ্যাস ডায়রিয়ার মতো রোগ ছড়াতে ভূমিকা রাখে।
সমস্যার মূল সমাধান চিকিৎসা নয়, প্রতিরোধে। পৌরসভার পানি সরবরাহ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, নিয়মিত বিশুদ্ধকরণ, এবং নাগরিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মাত্র আট দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। হাসপাতালের ওয়ার্ড, করিডোর, এমনকি মেঝেতেও শুয়ে আছেন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা। চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খাওয়ার এ চিত্র কেবল একটি জেলার নয়Ñএ যেন সারা দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুরবস্থার প্রতিচ্ছবি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই ড্রেনের ময়লা পানি পৌর সরবরাহ লাইনে ঢুকে দূষিত করছে পানীয় জল। আবার অনেকে পূজা উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন স্থানে খোলা খাবার খাওয়াকেই দায়ী করছেন। দুই পক্ষের বক্তব্য ভিন্ন হলেও বাস্তবতা একটিইÑজনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে।
ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগÑএটি নতুন তথ্য নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতি বছর ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা নিয়ে একই ধরনের পরিস্থিতি কেন দেখা দেয়। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে স্থানীয় প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের। পৌরসভার পানির লাইনে লিকেজ থাকলে তাৎক্ষণিক মেরামতের ব্যবস্থা কেন নেওয়া হয় না? খোলা খাবার, অপরিষ্কার বাজার এলাকা, কিংবা নর্দমার পাশে থাকা পানির ট্যাংকÑ এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসানের করণীয় কি কিছু নেই?
দায় কেবল প্রশাসনের নয়। নাগরিকদের অসচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানাও এ বিপদের অন্যতম কারণ। উৎসবের সময় খোলা খাবার খাওয়া, ফুটপাতের পাশ থেকে পানীয় পান করা, অথবা অপরিষ্কার বোতলে পানি সংরক্ষণÑএসব অভ্যাস ডায়রিয়ার মতো রোগ ছড়াতে ভূমিকা রাখে।
সমস্যার মূল সমাধান চিকিৎসা নয়, প্রতিরোধে। পৌরসভার পানি সরবরাহ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, নিয়মিত বিশুদ্ধকরণ, এবং নাগরিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।