কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) প্রকল্পের ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বৃহৎ জনগোষ্ঠী উপকৃত হয়েছে। নদীর নাব্যতা ফিরে এসেছে। জীববৈচিত্র্যের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মৎস্য সম্পদের উন্নতি হয়েছে।
কিন্তু এই প্রকল্পের সাফল্যের পেছনে যাদের ত্যাগ সবচেয়ে বেশি, সেই পাখিমারা বিলের কৃষকেরা অবিচারের শিকার হচ্ছেন। প্রকল্পের জন্য তাদের ১ হাজার ৫৬২ একর জমি ছয় বছর ধরে জোয়ার-ভাটার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে, ফলে তারা কোনো ফসল ফলাতে পারেননি। সরকার প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণের মাত্র দুই বছরের অর্থ পরিশোধ করেছে, বাকি চার বছরের প্রায় ৪৮ কোটি টাকা এখনো বকেয়া। এই অবস্থা কৃষকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
টিআরএম প্রকল্পের সাফল্য অস্বীকার করা যায় না। জানা যায়, প্রায় ১৫ লাখ মানুষ সরাসরি এবং ৪০ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে এই প্রকল্পের ফলে উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু এই সাফল্যের মূল্য কৃষকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অনৈতিক। বর্তমানে পাখিমারা বিলে টিআরএম কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কপোতাক্ষ নদ আবারও পলিতে ভরাট হচ্ছে। ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এই পরিস্থিতি শুধু তালা উপজেলা নয়, আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কৃষকদের পাওনা ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি প্রদান এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপের অভাব লক্ষণীয়। যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তালিকা পেলে তারা অর্থ ছাড় করেন। অন্যদিকে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বলেছেন, বরাদ্দকৃত অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। বাকি অর্থের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে।
টিআরএম প্রকল্পের মতো উদ্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই প্রকল্পের সুফল সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত হতে হবে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের উচিত অবিলম্বে ৪৮ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করা। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে স্বচ্ছ ও কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) প্রকল্পের ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বৃহৎ জনগোষ্ঠী উপকৃত হয়েছে। নদীর নাব্যতা ফিরে এসেছে। জীববৈচিত্র্যের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মৎস্য সম্পদের উন্নতি হয়েছে।
কিন্তু এই প্রকল্পের সাফল্যের পেছনে যাদের ত্যাগ সবচেয়ে বেশি, সেই পাখিমারা বিলের কৃষকেরা অবিচারের শিকার হচ্ছেন। প্রকল্পের জন্য তাদের ১ হাজার ৫৬২ একর জমি ছয় বছর ধরে জোয়ার-ভাটার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে, ফলে তারা কোনো ফসল ফলাতে পারেননি। সরকার প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণের মাত্র দুই বছরের অর্থ পরিশোধ করেছে, বাকি চার বছরের প্রায় ৪৮ কোটি টাকা এখনো বকেয়া। এই অবস্থা কৃষকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
টিআরএম প্রকল্পের সাফল্য অস্বীকার করা যায় না। জানা যায়, প্রায় ১৫ লাখ মানুষ সরাসরি এবং ৪০ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে এই প্রকল্পের ফলে উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু এই সাফল্যের মূল্য কৃষকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অনৈতিক। বর্তমানে পাখিমারা বিলে টিআরএম কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কপোতাক্ষ নদ আবারও পলিতে ভরাট হচ্ছে। ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এই পরিস্থিতি শুধু তালা উপজেলা নয়, আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কৃষকদের পাওনা ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি প্রদান এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপের অভাব লক্ষণীয়। যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তালিকা পেলে তারা অর্থ ছাড় করেন। অন্যদিকে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বলেছেন, বরাদ্দকৃত অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। বাকি অর্থের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে।
টিআরএম প্রকল্পের মতো উদ্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই প্রকল্পের সুফল সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত হতে হবে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের উচিত অবিলম্বে ৪৮ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করা। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে স্বচ্ছ ও কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।