alt

opinion » editorial

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

: সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) প্রকল্পের ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বৃহৎ জনগোষ্ঠী উপকৃত হয়েছে। নদীর নাব্যতা ফিরে এসেছে। জীববৈচিত্র্যের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মৎস্য সম্পদের উন্নতি হয়েছে।

কিন্তু এই প্রকল্পের সাফল্যের পেছনে যাদের ত্যাগ সবচেয়ে বেশি, সেই পাখিমারা বিলের কৃষকেরা অবিচারের শিকার হচ্ছেন। প্রকল্পের জন্য তাদের ১ হাজার ৫৬২ একর জমি ছয় বছর ধরে জোয়ার-ভাটার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে, ফলে তারা কোনো ফসল ফলাতে পারেননি। সরকার প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণের মাত্র দুই বছরের অর্থ পরিশোধ করেছে, বাকি চার বছরের প্রায় ৪৮ কোটি টাকা এখনো বকেয়া। এই অবস্থা কৃষকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

টিআরএম প্রকল্পের সাফল্য অস্বীকার করা যায় না। জানা যায়, প্রায় ১৫ লাখ মানুষ সরাসরি এবং ৪০ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে এই প্রকল্পের ফলে উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু এই সাফল্যের মূল্য কৃষকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অনৈতিক। বর্তমানে পাখিমারা বিলে টিআরএম কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কপোতাক্ষ নদ আবারও পলিতে ভরাট হচ্ছে। ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এই পরিস্থিতি শুধু তালা উপজেলা নয়, আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কৃষকদের পাওনা ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি প্রদান এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপের অভাব লক্ষণীয়। যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তালিকা পেলে তারা অর্থ ছাড় করেন। অন্যদিকে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বলেছেন, বরাদ্দকৃত অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। বাকি অর্থের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে।

টিআরএম প্রকল্পের মতো উদ্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই প্রকল্পের সুফল সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত হতে হবে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের উচিত অবিলম্বে ৪৮ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করা। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে স্বচ্ছ ও কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

tab

opinion » editorial

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) প্রকল্পের ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বৃহৎ জনগোষ্ঠী উপকৃত হয়েছে। নদীর নাব্যতা ফিরে এসেছে। জীববৈচিত্র্যের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মৎস্য সম্পদের উন্নতি হয়েছে।

কিন্তু এই প্রকল্পের সাফল্যের পেছনে যাদের ত্যাগ সবচেয়ে বেশি, সেই পাখিমারা বিলের কৃষকেরা অবিচারের শিকার হচ্ছেন। প্রকল্পের জন্য তাদের ১ হাজার ৫৬২ একর জমি ছয় বছর ধরে জোয়ার-ভাটার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে, ফলে তারা কোনো ফসল ফলাতে পারেননি। সরকার প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণের মাত্র দুই বছরের অর্থ পরিশোধ করেছে, বাকি চার বছরের প্রায় ৪৮ কোটি টাকা এখনো বকেয়া। এই অবস্থা কৃষকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

টিআরএম প্রকল্পের সাফল্য অস্বীকার করা যায় না। জানা যায়, প্রায় ১৫ লাখ মানুষ সরাসরি এবং ৪০ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে এই প্রকল্পের ফলে উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু এই সাফল্যের মূল্য কৃষকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অনৈতিক। বর্তমানে পাখিমারা বিলে টিআরএম কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কপোতাক্ষ নদ আবারও পলিতে ভরাট হচ্ছে। ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এই পরিস্থিতি শুধু তালা উপজেলা নয়, আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কৃষকদের পাওনা ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি প্রদান এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপের অভাব লক্ষণীয়। যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তালিকা পেলে তারা অর্থ ছাড় করেন। অন্যদিকে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বলেছেন, বরাদ্দকৃত অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। বাকি অর্থের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে।

টিআরএম প্রকল্পের মতো উদ্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই প্রকল্পের সুফল সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত হতে হবে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের উচিত অবিলম্বে ৪৮ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করা। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে স্বচ্ছ ও কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।

back to top