ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে ভিডব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট) কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই কর্মসূচি দুস্থ, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীদের মাসে বিনামূল্যে ৩০ কেজি চাল দেয়। পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ দেয়। কিন্তু সেখানে স্বচ্ছল ও সম্পদশালী নারীরা তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। আর প্রকৃত অসহায় নারীরা হচ্ছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পাকা বাড়ি আছে, ব্যবসা আছে বা নিজের জমিতে চাষাবাদ করার সামর্থ্য আছে এমন মানুষও তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের আত্মীয়স্বজন। অভিযোগ রয়েছে, এই তালিকার পেছনে রয়েছে স্বজনপ্রীতি ও ঘুষের খেলা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বড়তারা ইউনিয়নে ১০২৭ জন নারী আবেদন করেছিলেন। প্রকাশ্য যাচাই-বাছাইয়ে ৪৪০ জন সুবিধাভোগী নির্বাচিত হন।

কিন্তু ২৯ সেপ্টেম্বর চাল বিতরণের পর তালিকার অসঙ্গতি প্রকাশ পায়। গ্রামবাসীরা বলছেন, একজন জনপ্রতিনিধি মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্বচ্ছল আত্মীয়দের নাম রেখেছেন। আর যারা টাকা দিতে পারতেন, তাদের নামও তালিকায় ঢুকেছে। প্যানেল চেয়ারম্যান ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের সহযোগিতাও অভিযোগে এসেছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। জেলা প্রশাসকও তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।

ভিডব্লিউবি কর্মসূচি দরিদ্র ও অসহায় নারীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। সরকারের উচিত এখনই স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু করা, স্থানীয় নেতাদের দায়বদ্ধতা বাড়ানো এবং ঘুষ-বিরোধী ব্যবস্থা নেওয়া। যাচাই-বাছাইয়ে স্বাধীন পর্যবেক্ষক রাখা এবং গ্রাম পর্যায়ে অভিযোগ জানানোর সহজ পোর্টাল চালু করা জরুরি।

সম্প্রতি