alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

রাজবাড়ীর রামকান্তপুরে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিসিক শিল্পনগরী একসময় ছিল সম্ভাবনার প্রতীক। ১৫ একরেরও বেশি জমিতে গড়ে ওঠা এ শিল্পনগরীতে উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন ছিল স্থানীয় শিল্পের বিকাশ ঘটানো, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা এবং অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়া। ৭৭টি প্লট নিয়ে যাত্রা শুরু করা এ শিল্পনগরীতে একসময় ৫৩টি প্রতিষ্ঠান সচল ছিল। কিন্তু আজ, ৬০ বছর পেরিয়ে, সেই আলোর জায়গায় নেমে এসেছে অন্ধকার।

সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সেখানকার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ, কিছু কারখানায় তালা ঝুলছে, চারপাশ জঙ্গলে ভরা, রাস্তা বেহাল, ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকেজো। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে যায়, ময়লা-আবর্জনায় ভরে যায় চারপাশ। কোনো কোনো ফ্যাক্টরির ভেতরে পর্যন্ত পয়োনিষ্কাশনের পানি ঢুকে পড়ে-এ যেন শিল্প নয়, অব্যবস্থাপনার প্রতীক।

যেসব উদ্যোক্তা এখনো টিকে আছেন, তারা প্রতিদিন যুদ্ধ করছেন লোডশেডিং, নিরাপত্তাহীনতা, পানি সংকট ও প্রশাসনিক জটিলতার বিরুদ্ধে। বিদ্যুতের অনিয়মিত সরবরাহে যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। নিরাপত্তার অভাবে চুরি হচ্ছে তার, মোটর, যন্ত্রাংশ। অথচ বারবার অভিযোগ জানিয়েও মিলছে না স্থায়ী সমাধান।

এই বাস্তবতা কেবল রাজবাড়ী বিসিকের নয়, দেশের অনেক জেলা শিল্পনগরীর একই চিত্র। সরকারের শিল্পোন্নয়ন নীতির সঙ্গে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতার কোনো মিল নেই। শিল্পনগরীগুলো তৈরি হলেও সেগুলোর ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও উদ্যোক্তা সহায়তা প্রভৃতিতে রয়েছে ঘাটতি।

যথাযথ পরিকল্পনা, আন্তরিক নজরদারি ও কার্যকর সহযোগিতা থাকলেই পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াতে পারত। রাজবাড়ী বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, পরবর্তী অর্থবছরে কিছু বরাদ্দ আসার সম্ভাবনা আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ৬০ বছরের অবহেলার বোঝা কি এক অর্থবছরের বরাদ্দে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব?

এখন সময় এসেছে ঢাকামুখী উন্নয়ন ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিল্পাঞ্চলগুলোর দিকে গুরুত্ব দেওয়ার। রাজবাড়ীর বিসিক শিল্পনগরীকে পুনরুজ্জীবিত করা গেলে শুধু স্থানীয় নয়, জাতীয় অর্থনীতিও লাভবান হবে।

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

রাজবাড়ীর রামকান্তপুরে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিসিক শিল্পনগরী একসময় ছিল সম্ভাবনার প্রতীক। ১৫ একরেরও বেশি জমিতে গড়ে ওঠা এ শিল্পনগরীতে উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন ছিল স্থানীয় শিল্পের বিকাশ ঘটানো, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা এবং অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়া। ৭৭টি প্লট নিয়ে যাত্রা শুরু করা এ শিল্পনগরীতে একসময় ৫৩টি প্রতিষ্ঠান সচল ছিল। কিন্তু আজ, ৬০ বছর পেরিয়ে, সেই আলোর জায়গায় নেমে এসেছে অন্ধকার।

সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সেখানকার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ, কিছু কারখানায় তালা ঝুলছে, চারপাশ জঙ্গলে ভরা, রাস্তা বেহাল, ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকেজো। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে যায়, ময়লা-আবর্জনায় ভরে যায় চারপাশ। কোনো কোনো ফ্যাক্টরির ভেতরে পর্যন্ত পয়োনিষ্কাশনের পানি ঢুকে পড়ে-এ যেন শিল্প নয়, অব্যবস্থাপনার প্রতীক।

যেসব উদ্যোক্তা এখনো টিকে আছেন, তারা প্রতিদিন যুদ্ধ করছেন লোডশেডিং, নিরাপত্তাহীনতা, পানি সংকট ও প্রশাসনিক জটিলতার বিরুদ্ধে। বিদ্যুতের অনিয়মিত সরবরাহে যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। নিরাপত্তার অভাবে চুরি হচ্ছে তার, মোটর, যন্ত্রাংশ। অথচ বারবার অভিযোগ জানিয়েও মিলছে না স্থায়ী সমাধান।

এই বাস্তবতা কেবল রাজবাড়ী বিসিকের নয়, দেশের অনেক জেলা শিল্পনগরীর একই চিত্র। সরকারের শিল্পোন্নয়ন নীতির সঙ্গে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতার কোনো মিল নেই। শিল্পনগরীগুলো তৈরি হলেও সেগুলোর ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও উদ্যোক্তা সহায়তা প্রভৃতিতে রয়েছে ঘাটতি।

যথাযথ পরিকল্পনা, আন্তরিক নজরদারি ও কার্যকর সহযোগিতা থাকলেই পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াতে পারত। রাজবাড়ী বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, পরবর্তী অর্থবছরে কিছু বরাদ্দ আসার সম্ভাবনা আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ৬০ বছরের অবহেলার বোঝা কি এক অর্থবছরের বরাদ্দে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব?

এখন সময় এসেছে ঢাকামুখী উন্নয়ন ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিল্পাঞ্চলগুলোর দিকে গুরুত্ব দেওয়ার। রাজবাড়ীর বিসিক শিল্পনগরীকে পুনরুজ্জীবিত করা গেলে শুধু স্থানীয় নয়, জাতীয় অর্থনীতিও লাভবান হবে।

back to top