alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন একটি ভয়াবহ সংকটে পরিণত হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক যুগে দেশে ৬৭ হাজার ৮৯০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন কিংবা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে যত মানুষ মারা গেছে, বাংলাদেশের সড়কে তার চেয়েও অনেক বেশি প্রাণ ঝরেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই মৃত্যুর মিছিল? অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও লাইসেন্সবিহীন চালক, চাঁদাবাজি, বেপরোয়া গতি, সড়কের নকশাগত ত্রুটি-সব মিলিয়ে সড়ক পরিবহন খাত এক গভীর রোগে আক্রান্ত। সরকার পরিবর্তন হলেও এই রোগের চিকিৎসা হয়নি, বরং আরও জটিল হয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির বক্তব্য অনুযায়ী, সড়ক উন্নয়নের নামে বছরের পর বছর ধরে হয়েছে অপচয় ও লুটপাট।

অনেকে বলছেন, দেশের যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোপুরি সড়কনির্ভর হয়ে পড়েছে। রেল ও নৌ পরিবহনের বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে না তোলায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সড়কে। ফলে দুর্ঘটনাও বেড়েছে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগে কাক্সিক্ষত সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা থাকা জরুরি। কেবল দিবস পালন বা মানববন্ধন করে সমস্যার সমাধান করা কঠিন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। নৌ, রেল ও সড়ক যোগাযোগকে সমন্বিত নেটওয়ার্কে আনা; চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া; ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করা; চাঁদাবাজি ও অনিয়ম বন্ধ করা; এবং যাত্রীস্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রভৃতি। সংশ্লিষ্টরা এসব প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখতে পারে।

সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা থাকতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ দরকার। নইলে সড়কে প্রতিদিনের ট্র্যাজেডির অবসান ঘটানো কঠিন হবে।

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন একটি ভয়াবহ সংকটে পরিণত হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক যুগে দেশে ৬৭ হাজার ৮৯০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন কিংবা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে যত মানুষ মারা গেছে, বাংলাদেশের সড়কে তার চেয়েও অনেক বেশি প্রাণ ঝরেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই মৃত্যুর মিছিল? অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও লাইসেন্সবিহীন চালক, চাঁদাবাজি, বেপরোয়া গতি, সড়কের নকশাগত ত্রুটি-সব মিলিয়ে সড়ক পরিবহন খাত এক গভীর রোগে আক্রান্ত। সরকার পরিবর্তন হলেও এই রোগের চিকিৎসা হয়নি, বরং আরও জটিল হয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির বক্তব্য অনুযায়ী, সড়ক উন্নয়নের নামে বছরের পর বছর ধরে হয়েছে অপচয় ও লুটপাট।

অনেকে বলছেন, দেশের যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোপুরি সড়কনির্ভর হয়ে পড়েছে। রেল ও নৌ পরিবহনের বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে না তোলায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সড়কে। ফলে দুর্ঘটনাও বেড়েছে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগে কাক্সিক্ষত সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা থাকা জরুরি। কেবল দিবস পালন বা মানববন্ধন করে সমস্যার সমাধান করা কঠিন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। নৌ, রেল ও সড়ক যোগাযোগকে সমন্বিত নেটওয়ার্কে আনা; চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া; ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করা; চাঁদাবাজি ও অনিয়ম বন্ধ করা; এবং যাত্রীস্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রভৃতি। সংশ্লিষ্টরা এসব প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখতে পারে।

সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা থাকতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ দরকার। নইলে সড়কে প্রতিদিনের ট্র্যাজেডির অবসান ঘটানো কঠিন হবে।

back to top