দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন একটি ভয়াবহ সংকটে পরিণত হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক যুগে দেশে ৬৭ হাজার ৮৯০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন কিংবা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে যত মানুষ মারা গেছে, বাংলাদেশের সড়কে তার চেয়েও অনেক বেশি প্রাণ ঝরেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই মৃত্যুর মিছিল? অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও লাইসেন্সবিহীন চালক, চাঁদাবাজি, বেপরোয়া গতি, সড়কের নকশাগত ত্রুটি-সব মিলিয়ে সড়ক পরিবহন খাত এক গভীর রোগে আক্রান্ত। সরকার পরিবর্তন হলেও এই রোগের চিকিৎসা হয়নি, বরং আরও জটিল হয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির বক্তব্য অনুযায়ী, সড়ক উন্নয়নের নামে বছরের পর বছর ধরে হয়েছে অপচয় ও লুটপাট।
অনেকে বলছেন, দেশের যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোপুরি সড়কনির্ভর হয়ে পড়েছে। রেল ও নৌ পরিবহনের বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে না তোলায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সড়কে। ফলে দুর্ঘটনাও বেড়েছে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগে কাক্সিক্ষত সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা থাকা জরুরি। কেবল দিবস পালন বা মানববন্ধন করে সমস্যার সমাধান করা কঠিন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। নৌ, রেল ও সড়ক যোগাযোগকে সমন্বিত নেটওয়ার্কে আনা; চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া; ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করা; চাঁদাবাজি ও অনিয়ম বন্ধ করা; এবং যাত্রীস্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রভৃতি। সংশ্লিষ্টরা এসব প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখতে পারে।
সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা থাকতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ দরকার। নইলে সড়কে প্রতিদিনের ট্র্যাজেডির অবসান ঘটানো কঠিন হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন একটি ভয়াবহ সংকটে পরিণত হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক যুগে দেশে ৬৭ হাজার ৮৯০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন কিংবা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে যত মানুষ মারা গেছে, বাংলাদেশের সড়কে তার চেয়েও অনেক বেশি প্রাণ ঝরেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই মৃত্যুর মিছিল? অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও লাইসেন্সবিহীন চালক, চাঁদাবাজি, বেপরোয়া গতি, সড়কের নকশাগত ত্রুটি-সব মিলিয়ে সড়ক পরিবহন খাত এক গভীর রোগে আক্রান্ত। সরকার পরিবর্তন হলেও এই রোগের চিকিৎসা হয়নি, বরং আরও জটিল হয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির বক্তব্য অনুযায়ী, সড়ক উন্নয়নের নামে বছরের পর বছর ধরে হয়েছে অপচয় ও লুটপাট।
অনেকে বলছেন, দেশের যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোপুরি সড়কনির্ভর হয়ে পড়েছে। রেল ও নৌ পরিবহনের বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে না তোলায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সড়কে। ফলে দুর্ঘটনাও বেড়েছে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগে কাক্সিক্ষত সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা থাকা জরুরি। কেবল দিবস পালন বা মানববন্ধন করে সমস্যার সমাধান করা কঠিন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। নৌ, রেল ও সড়ক যোগাযোগকে সমন্বিত নেটওয়ার্কে আনা; চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া; ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করা; চাঁদাবাজি ও অনিয়ম বন্ধ করা; এবং যাত্রীস্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রভৃতি। সংশ্লিষ্টরা এসব প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখতে পারে।
সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা থাকতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ দরকার। নইলে সড়কে প্রতিদিনের ট্র্যাজেডির অবসান ঘটানো কঠিন হবে।