alt

মতামত » সম্পাদকীয়

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় হতদরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের জন্য জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় ভিডাব্লিউবি প্রকল্পের মাধ্যমে পুষ্টিযুক্ত চাল বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল মঙ্গাপ্রবণ এই অঞ্চলের দুস্থ মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে চরম অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার চিত্র উঠে এসেছে। খালিশা চাপানী ইউনিয়নে দুর্গন্ধযুক্ত, নিম্নমানের ও খাওয়ার অনুপযোগী চাল সরবরাহের অভিযোগে বিতরণ কার্যক্রম মাইকিং করে বন্ধ করা হয়েছে।

ডিমলা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৩,৬৯৩ জন দুস্থ মহিলাকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি পুষ্টিযুক্ত চাল দেওয়ার কথা ছিল। জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের জন্য মোট ৩৩২.৩৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ি ও নাউতারা ইউনিয়নে সরবরাহকৃত চাল দুর্গন্ধযুক্ত ও পচা হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ এই চাল বাজারে কম দামে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন, যা একটি মানবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্যকে পুরোপুরি ব্যর্থ করে দিয়েছে।

এই ঘটনায় দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে পারস্পরিক দোষারোপের চিত্র দেখা গেছে। এই দায়িত্ব এড়ানোর প্রবণতা এবং তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ কেবল সমস্যাকে আরও জটিল করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসন তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।

দুস্থ মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য সরবরাহে স্বচ্ছতা ও গুণগত মান নিশ্চিত করা জরুরি। এই প্রকল্পে জড়িত সকল পক্ষের দায়িত্বশীলতা বাড়াতে হবে। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হেব। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে।

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় হতদরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের জন্য জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় ভিডাব্লিউবি প্রকল্পের মাধ্যমে পুষ্টিযুক্ত চাল বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল মঙ্গাপ্রবণ এই অঞ্চলের দুস্থ মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে চরম অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার চিত্র উঠে এসেছে। খালিশা চাপানী ইউনিয়নে দুর্গন্ধযুক্ত, নিম্নমানের ও খাওয়ার অনুপযোগী চাল সরবরাহের অভিযোগে বিতরণ কার্যক্রম মাইকিং করে বন্ধ করা হয়েছে।

ডিমলা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৩,৬৯৩ জন দুস্থ মহিলাকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি পুষ্টিযুক্ত চাল দেওয়ার কথা ছিল। জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের জন্য মোট ৩৩২.৩৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ি ও নাউতারা ইউনিয়নে সরবরাহকৃত চাল দুর্গন্ধযুক্ত ও পচা হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ এই চাল বাজারে কম দামে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন, যা একটি মানবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্যকে পুরোপুরি ব্যর্থ করে দিয়েছে।

এই ঘটনায় দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে পারস্পরিক দোষারোপের চিত্র দেখা গেছে। এই দায়িত্ব এড়ানোর প্রবণতা এবং তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ কেবল সমস্যাকে আরও জটিল করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসন তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।

দুস্থ মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য সরবরাহে স্বচ্ছতা ও গুণগত মান নিশ্চিত করা জরুরি। এই প্রকল্পে জড়িত সকল পক্ষের দায়িত্বশীলতা বাড়াতে হবে। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হেব। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top