নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় হতদরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের জন্য জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় ভিডাব্লিউবি প্রকল্পের মাধ্যমে পুষ্টিযুক্ত চাল বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল মঙ্গাপ্রবণ এই অঞ্চলের দুস্থ মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে চরম অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার চিত্র উঠে এসেছে। খালিশা চাপানী ইউনিয়নে দুর্গন্ধযুক্ত, নিম্নমানের ও খাওয়ার অনুপযোগী চাল সরবরাহের অভিযোগে বিতরণ কার্যক্রম মাইকিং করে বন্ধ করা হয়েছে।
ডিমলা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৩,৬৯৩ জন দুস্থ মহিলাকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি পুষ্টিযুক্ত চাল দেওয়ার কথা ছিল। জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের জন্য মোট ৩৩২.৩৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ি ও নাউতারা ইউনিয়নে সরবরাহকৃত চাল দুর্গন্ধযুক্ত ও পচা হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ এই চাল বাজারে কম দামে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন, যা একটি মানবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্যকে পুরোপুরি ব্যর্থ করে দিয়েছে।
এই ঘটনায় দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে পারস্পরিক দোষারোপের চিত্র দেখা গেছে। এই দায়িত্ব এড়ানোর প্রবণতা এবং তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ কেবল সমস্যাকে আরও জটিল করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসন তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
দুস্থ মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য সরবরাহে স্বচ্ছতা ও গুণগত মান নিশ্চিত করা জরুরি। এই প্রকল্পে জড়িত সকল পক্ষের দায়িত্বশীলতা বাড়াতে হবে। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হেব। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় হতদরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের জন্য জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় ভিডাব্লিউবি প্রকল্পের মাধ্যমে পুষ্টিযুক্ত চাল বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল মঙ্গাপ্রবণ এই অঞ্চলের দুস্থ মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে চরম অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার চিত্র উঠে এসেছে। খালিশা চাপানী ইউনিয়নে দুর্গন্ধযুক্ত, নিম্নমানের ও খাওয়ার অনুপযোগী চাল সরবরাহের অভিযোগে বিতরণ কার্যক্রম মাইকিং করে বন্ধ করা হয়েছে।
ডিমলা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৩,৬৯৩ জন দুস্থ মহিলাকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি পুষ্টিযুক্ত চাল দেওয়ার কথা ছিল। জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের জন্য মোট ৩৩২.৩৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ি ও নাউতারা ইউনিয়নে সরবরাহকৃত চাল দুর্গন্ধযুক্ত ও পচা হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ এই চাল বাজারে কম দামে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন, যা একটি মানবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্যকে পুরোপুরি ব্যর্থ করে দিয়েছে।
এই ঘটনায় দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে পারস্পরিক দোষারোপের চিত্র দেখা গেছে। এই দায়িত্ব এড়ানোর প্রবণতা এবং তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ কেবল সমস্যাকে আরও জটিল করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসন তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
দুস্থ মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য সরবরাহে স্বচ্ছতা ও গুণগত মান নিশ্চিত করা জরুরি। এই প্রকল্পে জড়িত সকল পক্ষের দায়িত্বশীলতা বাড়াতে হবে। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হেব। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে।