টাঙ্গাইলের মধুপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রত্যাশিত হারে বাড়ছে না। শিক্ষার গুণগত মান নিয়েও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে রয়েছে প্রশ্ন। তবে সেখানকার বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও নূরানী মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মধুপুরের অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, ১১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৬টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। শিক্ষকদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের যোগাযোগের ঘাটতির অভিযোগও রয়েছে। নূরানী মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেনগুলোতে শিক্ষকদের আন্তরিক পাঠদান, অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নশীল দৃষ্টিভঙ্গি অভিভাবকদের আকৃষ্ট করছে। অনেক অভিভাবক সরকারি স্কুলের পরিবর্তে মাদ্রাসাকে বেছে নিচ্ছেন, কারণ তাদের মতে সেখানে শিক্ষার মান তুলনামূলকভাবে ভালো।
মধুপুরে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষায় যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা আজ দেশের অনেক অঞ্চলের চিত্রেরই প্রতিচ্ছবি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক-সব কিছু থাকার পরও শিক্ষার মান আশানুরূপ বাড়ছে না। বরং উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমছে। অথচ দুর্বল অবকাঠা, টিনের ছাউনি দেওয়া বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে দ্রুতগতিতে।
আশার কথা, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মধুপুরে ১৫টি বিদ্যালয়ে মিনি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এতে শিশুদের জন্য শিক্ষা আনন্দময় হবে। এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে কার্যকর হতে পারে। তবে শুধু অবকাঠামো উন্নয়নই যথেষ্ট নয়। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ দ্রুত পূরণ করতে হবে। মেধাবীদেরকে শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে বেতন-ভাতাকে আকর্ষণীয় করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা জাতির ভিত্তি। মধুপুরের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হতে পারে একটি টেস্ট কেস। এটি শুধু মধুপুর নয়, সারা দেশের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি অভিভাবকদের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষার পরিবেশকে আরও আকর্ষণীয় করার মাধ্যমে শিশুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
টাঙ্গাইলের মধুপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রত্যাশিত হারে বাড়ছে না। শিক্ষার গুণগত মান নিয়েও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে রয়েছে প্রশ্ন। তবে সেখানকার বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও নূরানী মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মধুপুরের অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, ১১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৬টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। শিক্ষকদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের যোগাযোগের ঘাটতির অভিযোগও রয়েছে। নূরানী মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেনগুলোতে শিক্ষকদের আন্তরিক পাঠদান, অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নশীল দৃষ্টিভঙ্গি অভিভাবকদের আকৃষ্ট করছে। অনেক অভিভাবক সরকারি স্কুলের পরিবর্তে মাদ্রাসাকে বেছে নিচ্ছেন, কারণ তাদের মতে সেখানে শিক্ষার মান তুলনামূলকভাবে ভালো।
মধুপুরে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষায় যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা আজ দেশের অনেক অঞ্চলের চিত্রেরই প্রতিচ্ছবি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক-সব কিছু থাকার পরও শিক্ষার মান আশানুরূপ বাড়ছে না। বরং উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমছে। অথচ দুর্বল অবকাঠা, টিনের ছাউনি দেওয়া বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে দ্রুতগতিতে।
আশার কথা, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মধুপুরে ১৫টি বিদ্যালয়ে মিনি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এতে শিশুদের জন্য শিক্ষা আনন্দময় হবে। এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে কার্যকর হতে পারে। তবে শুধু অবকাঠামো উন্নয়নই যথেষ্ট নয়। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ দ্রুত পূরণ করতে হবে। মেধাবীদেরকে শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে বেতন-ভাতাকে আকর্ষণীয় করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা জাতির ভিত্তি। মধুপুরের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হতে পারে একটি টেস্ট কেস। এটি শুধু মধুপুর নয়, সারা দেশের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি অভিভাবকদের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষার পরিবেশকে আরও আকর্ষণীয় করার মাধ্যমে শিশুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।