গাইবান্ধা জেলার কৃষকেরা এই মৌসুমে আশায় বুক বেঁধেছিলেন, এবার হয়তো ধানের বাম্পার ফলন হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও জানিয়েছিল, চলতি রবি মৌসুমে ফসল উৎপাদনে ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলছে। কিন্তু সেই আশার মাঠে এখন নেমেছে পোকার কালো ছায়া।
জেলার সাতটি উপজেলায় হাইব্রিড ও উফসি জাতের ধানে ব্যাপক পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ধানগাছের সবুজ পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, কৃষকরা যখন কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে পরামর্শ চাইছেন, তখন অনেকেই সময়মতো সহায়তা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কৃষি বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, এ মৌসুমে গাইবান্ধায় প্রায় ১ লাখ ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ হাজার হেক্টর উফসি জাতের ধান। এই বিশাল ফসলের সম্ভাবনা এখন ঝুঁকির মুখে। যদি দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে ক্ষতি হবে কৃষকেরই, আর শেষ পর্যন্ত ক্ষতি হবে দেশের খাদ্য নিরাপত্তারও। এক মৌসুমের ক্ষতি শুধু একজন কৃষকের নয়, গোটা জেলার খাদ্য সরবরাহ ও বাজারদরেও প্রভাব ফেলে।
পোকা আক্রমণ কোনো নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু প্রতি মৌসুমেই দেখা যায়, কৃষকরা বিপদে পড়লে তবেই প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ে। কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব শুধু অফিসে বসে পরিসংখ্যান তৈরি করা নয়। মাঠে থাকা, কৃষকের পাশে থেকে বাস্তবসম্মত সমাধান দেওয়া জরুরি।
কৃষি বিভাগের উচিত হালনাগাদ তথ্য ও কার্যকর কীটনাশক ব্যবহারের স্পষ্ট নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য জরুরি প্রণোদনা বা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও বিবেচনা করা যেতে পারে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
গাইবান্ধা জেলার কৃষকেরা এই মৌসুমে আশায় বুক বেঁধেছিলেন, এবার হয়তো ধানের বাম্পার ফলন হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও জানিয়েছিল, চলতি রবি মৌসুমে ফসল উৎপাদনে ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলছে। কিন্তু সেই আশার মাঠে এখন নেমেছে পোকার কালো ছায়া।
জেলার সাতটি উপজেলায় হাইব্রিড ও উফসি জাতের ধানে ব্যাপক পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ধানগাছের সবুজ পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, কৃষকরা যখন কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে পরামর্শ চাইছেন, তখন অনেকেই সময়মতো সহায়তা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কৃষি বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, এ মৌসুমে গাইবান্ধায় প্রায় ১ লাখ ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ হাজার হেক্টর উফসি জাতের ধান। এই বিশাল ফসলের সম্ভাবনা এখন ঝুঁকির মুখে। যদি দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে ক্ষতি হবে কৃষকেরই, আর শেষ পর্যন্ত ক্ষতি হবে দেশের খাদ্য নিরাপত্তারও। এক মৌসুমের ক্ষতি শুধু একজন কৃষকের নয়, গোটা জেলার খাদ্য সরবরাহ ও বাজারদরেও প্রভাব ফেলে।
পোকা আক্রমণ কোনো নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু প্রতি মৌসুমেই দেখা যায়, কৃষকরা বিপদে পড়লে তবেই প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ে। কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব শুধু অফিসে বসে পরিসংখ্যান তৈরি করা নয়। মাঠে থাকা, কৃষকের পাশে থেকে বাস্তবসম্মত সমাধান দেওয়া জরুরি।
কৃষি বিভাগের উচিত হালনাগাদ তথ্য ও কার্যকর কীটনাশক ব্যবহারের স্পষ্ট নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য জরুরি প্রণোদনা বা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও বিবেচনা করা যেতে পারে।