alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কৃষকদের পাশে থাকুন

: শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

গাইবান্ধা জেলার কৃষকেরা এই মৌসুমে আশায় বুক বেঁধেছিলেন, এবার হয়তো ধানের বাম্পার ফলন হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও জানিয়েছিল, চলতি রবি মৌসুমে ফসল উৎপাদনে ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলছে। কিন্তু সেই আশার মাঠে এখন নেমেছে পোকার কালো ছায়া।

জেলার সাতটি উপজেলায় হাইব্রিড ও উফসি জাতের ধানে ব্যাপক পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ধানগাছের সবুজ পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, কৃষকরা যখন কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে পরামর্শ চাইছেন, তখন অনেকেই সময়মতো সহায়তা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষি বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, এ মৌসুমে গাইবান্ধায় প্রায় ১ লাখ ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ হাজার হেক্টর উফসি জাতের ধান। এই বিশাল ফসলের সম্ভাবনা এখন ঝুঁকির মুখে। যদি দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে ক্ষতি হবে কৃষকেরই, আর শেষ পর্যন্ত ক্ষতি হবে দেশের খাদ্য নিরাপত্তারও। এক মৌসুমের ক্ষতি শুধু একজন কৃষকের নয়, গোটা জেলার খাদ্য সরবরাহ ও বাজারদরেও প্রভাব ফেলে।

পোকা আক্রমণ কোনো নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু প্রতি মৌসুমেই দেখা যায়, কৃষকরা বিপদে পড়লে তবেই প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ে। কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব শুধু অফিসে বসে পরিসংখ্যান তৈরি করা নয়। মাঠে থাকা, কৃষকের পাশে থেকে বাস্তবসম্মত সমাধান দেওয়া জরুরি।

কৃষি বিভাগের উচিত হালনাগাদ তথ্য ও কার্যকর কীটনাশক ব্যবহারের স্পষ্ট নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য জরুরি প্রণোদনা বা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও বিবেচনা করা যেতে পারে।

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কৃষকদের পাশে থাকুন

শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

গাইবান্ধা জেলার কৃষকেরা এই মৌসুমে আশায় বুক বেঁধেছিলেন, এবার হয়তো ধানের বাম্পার ফলন হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও জানিয়েছিল, চলতি রবি মৌসুমে ফসল উৎপাদনে ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলছে। কিন্তু সেই আশার মাঠে এখন নেমেছে পোকার কালো ছায়া।

জেলার সাতটি উপজেলায় হাইব্রিড ও উফসি জাতের ধানে ব্যাপক পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ধানগাছের সবুজ পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, কৃষকরা যখন কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে পরামর্শ চাইছেন, তখন অনেকেই সময়মতো সহায়তা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষি বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, এ মৌসুমে গাইবান্ধায় প্রায় ১ লাখ ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ হাজার হেক্টর উফসি জাতের ধান। এই বিশাল ফসলের সম্ভাবনা এখন ঝুঁকির মুখে। যদি দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে ক্ষতি হবে কৃষকেরই, আর শেষ পর্যন্ত ক্ষতি হবে দেশের খাদ্য নিরাপত্তারও। এক মৌসুমের ক্ষতি শুধু একজন কৃষকের নয়, গোটা জেলার খাদ্য সরবরাহ ও বাজারদরেও প্রভাব ফেলে।

পোকা আক্রমণ কোনো নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু প্রতি মৌসুমেই দেখা যায়, কৃষকরা বিপদে পড়লে তবেই প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ে। কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব শুধু অফিসে বসে পরিসংখ্যান তৈরি করা নয়। মাঠে থাকা, কৃষকের পাশে থেকে বাস্তবসম্মত সমাধান দেওয়া জরুরি।

কৃষি বিভাগের উচিত হালনাগাদ তথ্য ও কার্যকর কীটনাশক ব্যবহারের স্পষ্ট নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য জরুরি প্রণোদনা বা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও বিবেচনা করা যেতে পারে।

back to top