alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

: রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৬০ ফুটের মধ্যে স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু এই আইন বগুড়ার নন্দীগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় যেন কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড, কুন্দারহাট, রুপিহার, উমরপুর ও রনবাঘা এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে শতাধিক দোকান ও স্থাপনা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, মূল সড়কের দুই পাশে অস্থায়ী দোকানপাট গজিয়ে উঠেছে। ফলে যান চলাচলের জায়গা সংকুচিত হয়ে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই ভোগান্তি এখন নিত্যদিনের চিত্র। সদ্য নির্মিত ড্রেন ও পথচারীদের চলাচলের জায়গাও দখল হয়ে গেছে দোকানের কারণে।

আগে একবার এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক উদাসীনতায় আবারও তা দখল হয়ে গেছে। প্রভাবশালী মহল ভাড়া আদায়ের নামে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমন অভিযোগও উঠেছে। এবিষয়ে সওজের কোনো নিয়মিত নজরদারি নেই।

নির্ধারিত সিএনজি বা বাসস্ট্যান্ড না থাকায় যানবাহনগুলো মহাসড়কের পাশে পার্কিং করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে রাস্তা সরু হয়ে পড়েছে। সমস্যা সমাধানে প্রশাসন অনেকবার আশ্বাস দিলেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ইউএনও সমস্যা সমাধানের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, ঘোষণাই যথেষ্ট নয়, এর বাস্তবায়ন জরুরি। সওজ ও স্থানীয় প্রশাসন যদি যৌথভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেয়, প্রভাবশালী মহলের প্রভাব উপেক্ষা করে নিয়মিত নজরদারি চালায় তাহলেই কেবল সড়ক দখলমুক্ত রাখা সম্ভব হবে। সড়ক রাষ্ট্রের সম্পত্তি, কোনো ব্যক্তির নয়। সড়ক দখলমুক্ত রাখতে আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার বিকল্প নেই।

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৬০ ফুটের মধ্যে স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু এই আইন বগুড়ার নন্দীগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় যেন কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড, কুন্দারহাট, রুপিহার, উমরপুর ও রনবাঘা এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে শতাধিক দোকান ও স্থাপনা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, মূল সড়কের দুই পাশে অস্থায়ী দোকানপাট গজিয়ে উঠেছে। ফলে যান চলাচলের জায়গা সংকুচিত হয়ে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই ভোগান্তি এখন নিত্যদিনের চিত্র। সদ্য নির্মিত ড্রেন ও পথচারীদের চলাচলের জায়গাও দখল হয়ে গেছে দোকানের কারণে।

আগে একবার এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক উদাসীনতায় আবারও তা দখল হয়ে গেছে। প্রভাবশালী মহল ভাড়া আদায়ের নামে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমন অভিযোগও উঠেছে। এবিষয়ে সওজের কোনো নিয়মিত নজরদারি নেই।

নির্ধারিত সিএনজি বা বাসস্ট্যান্ড না থাকায় যানবাহনগুলো মহাসড়কের পাশে পার্কিং করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে রাস্তা সরু হয়ে পড়েছে। সমস্যা সমাধানে প্রশাসন অনেকবার আশ্বাস দিলেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ইউএনও সমস্যা সমাধানের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, ঘোষণাই যথেষ্ট নয়, এর বাস্তবায়ন জরুরি। সওজ ও স্থানীয় প্রশাসন যদি যৌথভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেয়, প্রভাবশালী মহলের প্রভাব উপেক্ষা করে নিয়মিত নজরদারি চালায় তাহলেই কেবল সড়ক দখলমুক্ত রাখা সম্ভব হবে। সড়ক রাষ্ট্রের সম্পত্তি, কোনো ব্যক্তির নয়। সড়ক দখলমুক্ত রাখতে আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার বিকল্প নেই।

back to top