alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

সুন্দরবনের নদী-খালগুলোতে কীটনাশক ছিটিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে মৎস্যসম্পদ বিপন্ন হচ্ছে। জলজ প্রাণী, বনের গাছ এবং মানুষের ওপরও পড়ছে এর নেতিবাচক প্রভাব। বনবিভাগ, স্থানীয় মহাজন-আড়তদার, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং বনদস্যুদের একটি সিন্ডিকেট এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে । এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে কোনো ব্যবস্থা যে নেওয়া হয় না তা নয়। মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়। এতেকরে সাময়িকভাবে হয়তো বিষ প্রয়োগ বন্ধ থাকে। তবে আবার শুরু হয় একই কাজ। সমস্যার মূলে থাকা অবৈধ কীটনাশকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

কীটনাশক বিক্রি ও আমদানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অবৈধ ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। এজন্য কৃষি বিভাগের সঙ্গে বন বিভাগের সমন্বয় বাড়ানো জরুরি।

কেবল জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে চলবে না। অনেকেই জীবিকার তাগিদে আইন ভাঙতে বাধ্য হন। দরিদ্র জেলেদের বিকল্প উপার্জনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাদেরকে নিরাপদ মৎস্য আহরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। বনের অনুমোদিত এলাকায় প্রবেশ রোধে টহল বাড়াতে হবে।

সুন্দরবনকে জলবায়ু পরিবর্তনের আঘাত সহ্য করতে হচ্ছে। লবণাক্ততা, ঝড়, প্রভৃতি বিভিন্ন সময় সামলেও উঠছে। কিন্তু মানুষের অত্যাচার সহ্য করার ক্ষমতা বনের আছে কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার ও তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে স্বাধীন, বৈজ্ঞানিক গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। এতে করে মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ক্ষতির পরিমাপ করা সম্ভব হবে। তখন যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।

সারের সংকট আর কত

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

সুন্দরবনের নদী-খালগুলোতে কীটনাশক ছিটিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে মৎস্যসম্পদ বিপন্ন হচ্ছে। জলজ প্রাণী, বনের গাছ এবং মানুষের ওপরও পড়ছে এর নেতিবাচক প্রভাব। বনবিভাগ, স্থানীয় মহাজন-আড়তদার, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং বনদস্যুদের একটি সিন্ডিকেট এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে । এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে কোনো ব্যবস্থা যে নেওয়া হয় না তা নয়। মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়। এতেকরে সাময়িকভাবে হয়তো বিষ প্রয়োগ বন্ধ থাকে। তবে আবার শুরু হয় একই কাজ। সমস্যার মূলে থাকা অবৈধ কীটনাশকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

কীটনাশক বিক্রি ও আমদানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অবৈধ ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। এজন্য কৃষি বিভাগের সঙ্গে বন বিভাগের সমন্বয় বাড়ানো জরুরি।

কেবল জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে চলবে না। অনেকেই জীবিকার তাগিদে আইন ভাঙতে বাধ্য হন। দরিদ্র জেলেদের বিকল্প উপার্জনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাদেরকে নিরাপদ মৎস্য আহরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। বনের অনুমোদিত এলাকায় প্রবেশ রোধে টহল বাড়াতে হবে।

সুন্দরবনকে জলবায়ু পরিবর্তনের আঘাত সহ্য করতে হচ্ছে। লবণাক্ততা, ঝড়, প্রভৃতি বিভিন্ন সময় সামলেও উঠছে। কিন্তু মানুষের অত্যাচার সহ্য করার ক্ষমতা বনের আছে কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার ও তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে স্বাধীন, বৈজ্ঞানিক গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। এতে করে মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ক্ষতির পরিমাপ করা সম্ভব হবে। তখন যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।

back to top