alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সারের সংকট আর কত

: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

সারের সংকটে অনেক স্থানেই কৃষকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাজবাড়ী ও সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কৃষকরা সারের সংকটে ভুগছেন। কোথাও সরিষা ও সবজি চাষ শুরু করা যাচ্ছে না তো কোথাও পেঁয়াজের আবাদ দেরিতে হচ্ছে। ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী সার পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কলারোয়ায় কৃষকেরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। তাও সব সার পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আগাম সরিষা বা শীতকালীন সবজি বপন বিলম্বিত হচ্ছে। আগামী ইরি-বোরো মৌসুমেও এর প্রভাব পড়বে। একইভাবে রাজবাড়ীতেও কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন, অনুমোদিত ডিলাররা সার দিচ্ছেন না ঠিকমতো। আর যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে সেটাও অতিরিক্ত দামে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দায়সারা উত্তর দিচ্ছেন, “আগামী মাসে হয়তো সমস্যা থাকবে না।”

চাষাবাদের সময় থেমে থাকে না। বীজ বপনের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে সার আসলেও আর লাভ হয় না। কৃষক তখন ফসলের সম্ভাব্য লাভ নয়, লোকসানের ভয় নিয়েই বেঁচে থাকেন।

সারের সংকট কি শুধু সরবরাহের ঘাটতি নাকি ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা- এটা একটা প্রশ্ন। বরাদ্দে অনিয়ম, ডিলারদের অসাধুতা ও পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব একসঙ্গে কাজ করছে। বাস্তবতা হলো, সার বরাদ্দের কাগজে যতই পরিমাণ দেখানো হোক, তার বড় অংশ কৃষকের হাতে পৌঁছায় না।

সারের সংকট দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত, দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সার বরাদ্দ ও বিতরণে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের কাছে সরকারি দামে সার পৌঁছাচ্ছে কি না সেটা নিয়মিতভাবে যাচাই করতে হবে।

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সারের সংকট আর কত

শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

সারের সংকটে অনেক স্থানেই কৃষকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাজবাড়ী ও সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কৃষকরা সারের সংকটে ভুগছেন। কোথাও সরিষা ও সবজি চাষ শুরু করা যাচ্ছে না তো কোথাও পেঁয়াজের আবাদ দেরিতে হচ্ছে। ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী সার পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কলারোয়ায় কৃষকেরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। তাও সব সার পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আগাম সরিষা বা শীতকালীন সবজি বপন বিলম্বিত হচ্ছে। আগামী ইরি-বোরো মৌসুমেও এর প্রভাব পড়বে। একইভাবে রাজবাড়ীতেও কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন, অনুমোদিত ডিলাররা সার দিচ্ছেন না ঠিকমতো। আর যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে সেটাও অতিরিক্ত দামে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দায়সারা উত্তর দিচ্ছেন, “আগামী মাসে হয়তো সমস্যা থাকবে না।”

চাষাবাদের সময় থেমে থাকে না। বীজ বপনের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে সার আসলেও আর লাভ হয় না। কৃষক তখন ফসলের সম্ভাব্য লাভ নয়, লোকসানের ভয় নিয়েই বেঁচে থাকেন।

সারের সংকট কি শুধু সরবরাহের ঘাটতি নাকি ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা- এটা একটা প্রশ্ন। বরাদ্দে অনিয়ম, ডিলারদের অসাধুতা ও পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব একসঙ্গে কাজ করছে। বাস্তবতা হলো, সার বরাদ্দের কাগজে যতই পরিমাণ দেখানো হোক, তার বড় অংশ কৃষকের হাতে পৌঁছায় না।

সারের সংকট দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত, দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সার বরাদ্দ ও বিতরণে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের কাছে সরকারি দামে সার পৌঁছাচ্ছে কি না সেটা নিয়মিতভাবে যাচাই করতে হবে।

back to top