alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

: রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

এক সময় পালতোলা নৌকা চলত, জেলেদের জালে ঝিলমিল করত রুপালি মাছÑসেই ইছামতী নদী আজ মৃতপ্রায়। মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, দৌলতপুর, ঘিওর, শিবালয়সহ প্রায় ৩৮ কিলোমিটার পথ বেয়ে যাওয়া এই নদী এখন দখল, দূষণ আর বাঁধের কবলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। নদীর বুক জুড়ে জমেছে কচুরিপানা, আবর্জনা আর দুর্গন্ধ।

কোথাও কোথাও নদীর ওপর গড়ে উঠেছে বাঁধ, রাস্তা, দোকানপাট, এমনকি বসতবাড়িও। ফলে নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। বর্ষার সময় পানি জমে থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাচ্ছে নদীর তলদেশ। স্থানীয় কৃষক ও জেলেরা পড়েছেন বিপাকে-ফসলি জমিতে পানি পৌঁছায় না, মাছও আর ধরা পড়ে না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

এক সময় এই ইছামতী ছিল জীবিকার প্রতীক। এখন তা হয়ে উঠেছে হতাশার প্রতীক। নদী না থাকলে গ্রামীণ জীববৈচিত্র্য, কৃষি ও মানুষের টিকে থাকা-সবই হুমকিতে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে দখল উচ্ছেদ ও বাঁধ অপসারণ করে নদী খননের উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফসল রক্ষার জন্য স্থানীয়রা নিজেরাই বাঁধ দিয়েছিলেন, যা এখন সমস্যা সৃষ্টি করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানাচ্ছে, বাঁধ অপসারণ ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। কিন্তু এসব উদ্যোগ কত দ্রুত বাস্তবায়িত হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন।

ইছামতী শুধু একটি নদী নয়, এটি এই অঞ্চলের প্রাণ। নদী বাঁচলে কৃষি বাঁচবে, জলজ সম্পদ বাঁচবে, মানুষও বাঁচবে। তাই এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে ইছামতীর নাম, সঙ্গে হারিয়ে যাবে এক প্রজন্মের স্মৃতি ও জীবনের স্পন্দন।

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

এক সময় পালতোলা নৌকা চলত, জেলেদের জালে ঝিলমিল করত রুপালি মাছÑসেই ইছামতী নদী আজ মৃতপ্রায়। মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, দৌলতপুর, ঘিওর, শিবালয়সহ প্রায় ৩৮ কিলোমিটার পথ বেয়ে যাওয়া এই নদী এখন দখল, দূষণ আর বাঁধের কবলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। নদীর বুক জুড়ে জমেছে কচুরিপানা, আবর্জনা আর দুর্গন্ধ।

কোথাও কোথাও নদীর ওপর গড়ে উঠেছে বাঁধ, রাস্তা, দোকানপাট, এমনকি বসতবাড়িও। ফলে নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। বর্ষার সময় পানি জমে থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাচ্ছে নদীর তলদেশ। স্থানীয় কৃষক ও জেলেরা পড়েছেন বিপাকে-ফসলি জমিতে পানি পৌঁছায় না, মাছও আর ধরা পড়ে না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

এক সময় এই ইছামতী ছিল জীবিকার প্রতীক। এখন তা হয়ে উঠেছে হতাশার প্রতীক। নদী না থাকলে গ্রামীণ জীববৈচিত্র্য, কৃষি ও মানুষের টিকে থাকা-সবই হুমকিতে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে দখল উচ্ছেদ ও বাঁধ অপসারণ করে নদী খননের উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফসল রক্ষার জন্য স্থানীয়রা নিজেরাই বাঁধ দিয়েছিলেন, যা এখন সমস্যা সৃষ্টি করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানাচ্ছে, বাঁধ অপসারণ ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। কিন্তু এসব উদ্যোগ কত দ্রুত বাস্তবায়িত হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন।

ইছামতী শুধু একটি নদী নয়, এটি এই অঞ্চলের প্রাণ। নদী বাঁচলে কৃষি বাঁচবে, জলজ সম্পদ বাঁচবে, মানুষও বাঁচবে। তাই এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে ইছামতীর নাম, সঙ্গে হারিয়ে যাবে এক প্রজন্মের স্মৃতি ও জীবনের স্পন্দন।

back to top