ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালটি একসময় ছিল এলাকার কৃষক ও খামারিদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি, পোলট্রি খামার, পশুপালন প্রভৃতি ক্ষেত্রে কৃষকেরা সেখানে পেতেন সেবা ও পরামর্শ। আজ সেই হাসপাতালে মিলছে না কাক্সিক্ষত অনেক সেবা।

দীর্ঘদিন ধরে সেখানে নেই ভেটেরিনারি সার্জন। ওষুধের সংকট, চিকিৎসা-উপকরণের অভাবে ভুগছে প্রতিষ্ঠানটি। দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটি এখন প্রায় অকার্যকর। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সেখানে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও পাওয়া যায় না চিকিৎসক। সেবা নিতে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলায় মাত্র একটি হাসপাতাল। এর ওপর নির্ভর করে সাতটি ইউনিয়নের হাজারো খামারি। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি গবাদিপশু চিকিৎসার জন্য আনা হয়। সংশ্লিষ্টরা দাবি করে সবকিছু নিয়মমাফিক চলছে। তবে মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন। অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা আর দায়িত্বহীনতার মিশেলে ভেঙে পড়েছে সেবাব্যবস্থা।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের এ অবস্থা শুধু ঘিওর নয়, দেশের অনেক এলাকায় একই চিত্র। কৃষিভিত্তিক দেশের অর্থনীতিতে গবাদিপশু ও পোলট্রি খাতের ভূমিকা অপরিসীম। গবাদিপশু অসুস্থ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক, ব্যাহত হয় উৎপাদন, প্রভাব পড়ে জাতীয় অর্থনীতিতেও।

আমরা বলতে চাই, ঘিওরের হাসপাতালটিতে মানসম্মত সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অবিলম্বে শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে দক্ষ ভেটেরিনারি টিম তৈরি ও নজরদারি জোরদার করতে হবে।

সম্প্রতি