alt

মতামত » সম্পাদকীয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

: বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা এসেছিল দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক আশাব্যঞ্জক পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবে। কিন্তু ঘোষণার পরপরই কিছু ধর্মভিত্তিক সংগঠনের আপত্তির মুখে অন্তর্বর্তী সরকার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এই সিদ্ধান্ত শুধু শিক্ষাক্ষেত্র নয়, পুরো সমাজের জন্য একটি হতাশার বার্তা দিয়েছে।

প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা, সংগীত ও সংস্কৃতিচর্চা অপরিহার্য। সারা পৃথিবীতেই এটি স্বীকৃত বিষয়। শিশুদের সৃজনশীলতা, আত্মবিশ্বাস ও দলগত মনোভাব গড়ে ওঠে এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে। বাংলাদেশেও এ বিষয়ে শিক্ষাবিদরা বহুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে সরকার যখন শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন সেটি ছিল সঠিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

কিন্তু কিছু সংগঠনের আপত্তির মুখে অন্তর্বর্তী সরকার পিছু হটল। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যাখ্যা হচ্ছে, “অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দিলে কার্যকর সুফল আসবে না”। এই ব্যাখ্যা কতটা যুক্তিগ্রাহ্য সেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, যে কোনো পরিবর্তনের শুরু হয় ছোট পরিসর থেকেই। পর্যায়ক্রমে সেটি বিস্তৃত করা যায়। শুরুটাই যদি না হয়, তবে উন্নতির পথই বন্ধ হয়ে যায়।

এই সিদ্ধান্তে সরকারের এক ধরনের নতিস্বীকারের চিত্র ফুটে উঠেছে। কিছু গোষ্ঠীর চাপের মুখে যদি শিক্ষা নীতি নির্ধারণ হয়, তাহলে তা ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। এতে ধর্ম ও সংস্কৃতির মধ্যে এক সংঘাত তৈরি হচ্ছে, যা সমাজকে আরও বিভক্ত করবে।

শিক্ষা শুধু পরীক্ষার নম্বরের জন্য নয়, এটি মানুষ গড়ার প্রক্রিয়া। সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা সেই মানুষ গড়ারই অংশ। শিশুরা যদি ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতি, সৌন্দর্যবোধ ও খেলাধুলার চর্চা থেকে দূরে থাকে, তবে তারা মানসিকভাবে অসম্পূর্ণ হয়ে বড় হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা। ধর্ম, সংগীত, শারীরিক শিক্ষাÑসব বিষয়ই শিশুর সার্বিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন। এই তিনকে মুখোমুখি না দাঁড় করিয়ে একসাথে এগিয়ে নেওয়াই হোক আমাদের শিক্ষানীতির মূল দিকনির্দেশনা।

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা এসেছিল দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক আশাব্যঞ্জক পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবে। কিন্তু ঘোষণার পরপরই কিছু ধর্মভিত্তিক সংগঠনের আপত্তির মুখে অন্তর্বর্তী সরকার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এই সিদ্ধান্ত শুধু শিক্ষাক্ষেত্র নয়, পুরো সমাজের জন্য একটি হতাশার বার্তা দিয়েছে।

প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা, সংগীত ও সংস্কৃতিচর্চা অপরিহার্য। সারা পৃথিবীতেই এটি স্বীকৃত বিষয়। শিশুদের সৃজনশীলতা, আত্মবিশ্বাস ও দলগত মনোভাব গড়ে ওঠে এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে। বাংলাদেশেও এ বিষয়ে শিক্ষাবিদরা বহুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে সরকার যখন শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন সেটি ছিল সঠিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

কিন্তু কিছু সংগঠনের আপত্তির মুখে অন্তর্বর্তী সরকার পিছু হটল। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যাখ্যা হচ্ছে, “অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দিলে কার্যকর সুফল আসবে না”। এই ব্যাখ্যা কতটা যুক্তিগ্রাহ্য সেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, যে কোনো পরিবর্তনের শুরু হয় ছোট পরিসর থেকেই। পর্যায়ক্রমে সেটি বিস্তৃত করা যায়। শুরুটাই যদি না হয়, তবে উন্নতির পথই বন্ধ হয়ে যায়।

এই সিদ্ধান্তে সরকারের এক ধরনের নতিস্বীকারের চিত্র ফুটে উঠেছে। কিছু গোষ্ঠীর চাপের মুখে যদি শিক্ষা নীতি নির্ধারণ হয়, তাহলে তা ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। এতে ধর্ম ও সংস্কৃতির মধ্যে এক সংঘাত তৈরি হচ্ছে, যা সমাজকে আরও বিভক্ত করবে।

শিক্ষা শুধু পরীক্ষার নম্বরের জন্য নয়, এটি মানুষ গড়ার প্রক্রিয়া। সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা সেই মানুষ গড়ারই অংশ। শিশুরা যদি ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতি, সৌন্দর্যবোধ ও খেলাধুলার চর্চা থেকে দূরে থাকে, তবে তারা মানসিকভাবে অসম্পূর্ণ হয়ে বড় হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা। ধর্ম, সংগীত, শারীরিক শিক্ষাÑসব বিষয়ই শিশুর সার্বিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন। এই তিনকে মুখোমুখি না দাঁড় করিয়ে একসাথে এগিয়ে নেওয়াই হোক আমাদের শিক্ষানীতির মূল দিকনির্দেশনা।

back to top