alt

মতামত » সম্পাদকীয়

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

: বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালী জেলায় ৭৭টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৫৪টিতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (এফডব্লিউসি) আছে। আবার যেসব কেন্দ্রে আছে, সেখানে গত ১৪ মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ। সঙ্গে রয়েছে চরম জনবল সংকট। ফলে প্রান্তিক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে কার্যত বঞ্চিত হচ্ছেন।

এসব কেন্দ্র মূলত গর্ভবতী নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এখানে জ্বর, সর্দি, কাশি, চর্মরোগসহ মা ও শিশুস্বাস্থ্য সেবার জন্য ২৬ ধরনের ওষুধ দেওয়ার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ না থাকায় মানুষ বাধ্য হচ্ছে শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে। এতে তাদের সময়, ভাড়া ও চিকিৎসা ব্যয়-সবই বেড়ে যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষদের জন্য এটি এক নিদারুণ ভোগান্তি।

জনবল সংকট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। অনেক কেন্দ্রে চিকিৎসক নেই, স্যাকমো পদ খালি, ফার্মাসিস্টের অভাব। এক একজন কর্মীকে একাধিক ইউনিয়নের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। এতে সেবা ব্যাহত হচ্ছে, রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে।

এই অবস্থা শুধু পটুয়াখালী নয়, দেশের অনেক জেলায়ও একই চিত্র। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা মানুষের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিকল্প নেই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ ও জনবল সংকট চলতে থাকলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থহীন হয়ে পড়বে।

সরকারের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া-ওষুধ সরবরাহ পুনরায় শুরু করা, শূন্য পদগুলো পূরণ করা এবং নিয়মিত তদারকি জোরদার করা। প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা কোনো দয়া নয়, এটি তাদের অধিকার। সেই অধিকার নিশ্চিত করাই সরকারের দায়িত্ব।

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালী জেলায় ৭৭টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৫৪টিতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (এফডব্লিউসি) আছে। আবার যেসব কেন্দ্রে আছে, সেখানে গত ১৪ মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ। সঙ্গে রয়েছে চরম জনবল সংকট। ফলে প্রান্তিক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে কার্যত বঞ্চিত হচ্ছেন।

এসব কেন্দ্র মূলত গর্ভবতী নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এখানে জ্বর, সর্দি, কাশি, চর্মরোগসহ মা ও শিশুস্বাস্থ্য সেবার জন্য ২৬ ধরনের ওষুধ দেওয়ার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ না থাকায় মানুষ বাধ্য হচ্ছে শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে। এতে তাদের সময়, ভাড়া ও চিকিৎসা ব্যয়-সবই বেড়ে যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষদের জন্য এটি এক নিদারুণ ভোগান্তি।

জনবল সংকট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। অনেক কেন্দ্রে চিকিৎসক নেই, স্যাকমো পদ খালি, ফার্মাসিস্টের অভাব। এক একজন কর্মীকে একাধিক ইউনিয়নের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। এতে সেবা ব্যাহত হচ্ছে, রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে।

এই অবস্থা শুধু পটুয়াখালী নয়, দেশের অনেক জেলায়ও একই চিত্র। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা মানুষের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিকল্প নেই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ ও জনবল সংকট চলতে থাকলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থহীন হয়ে পড়বে।

সরকারের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া-ওষুধ সরবরাহ পুনরায় শুরু করা, শূন্য পদগুলো পূরণ করা এবং নিয়মিত তদারকি জোরদার করা। প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা কোনো দয়া নয়, এটি তাদের অধিকার। সেই অধিকার নিশ্চিত করাই সরকারের দায়িত্ব।

back to top