প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

পটুয়াখালী জেলায় ৭৭টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৫৪টিতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (এফডব্লিউসি) আছে। আবার যেসব কেন্দ্রে আছে, সেখানে গত ১৪ মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ। সঙ্গে রয়েছে চরম জনবল সংকট। ফলে প্রান্তিক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে কার্যত বঞ্চিত হচ্ছেন।

এসব কেন্দ্র মূলত গর্ভবতী নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এখানে জ্বর, সর্দি, কাশি, চর্মরোগসহ মা ও শিশুস্বাস্থ্য সেবার জন্য ২৬ ধরনের ওষুধ দেওয়ার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ না থাকায় মানুষ বাধ্য হচ্ছে শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে। এতে তাদের সময়, ভাড়া ও চিকিৎসা ব্যয়-সবই বেড়ে যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষদের জন্য এটি এক নিদারুণ ভোগান্তি।

জনবল সংকট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। অনেক কেন্দ্রে চিকিৎসক নেই, স্যাকমো পদ খালি, ফার্মাসিস্টের অভাব। এক একজন কর্মীকে একাধিক ইউনিয়নের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। এতে সেবা ব্যাহত হচ্ছে, রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে।

এই অবস্থা শুধু পটুয়াখালী নয়, দেশের অনেক জেলায়ও একই চিত্র। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা মানুষের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিকল্প নেই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ ও জনবল সংকট চলতে থাকলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থহীন হয়ে পড়বে।

সরকারের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া-ওষুধ সরবরাহ পুনরায় শুরু করা, শূন্য পদগুলো পূরণ করা এবং নিয়মিত তদারকি জোরদার করা। প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা কোনো দয়া নয়, এটি তাদের অধিকার। সেই অধিকার নিশ্চিত করাই সরকারের দায়িত্ব।

সম্প্রতি