alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

: বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগের সময় গুলির ঘটনায় একজন নিহত এবং প্রার্থীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনা নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। নির্বাচন সামনে রেখে এমন সহিংসতা গণতন্ত্রের জন্য মন্দ বার্তা বহন করে। রাজনীতিতে মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু তা কখনোই প্রাণহানির কারণ হতে পারে না।

নিহত সরোয়ার হোসেন বাবলা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিল বলে জানা গেছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন। নিহত ব্যক্তির পরিচয় যেটাই হোক বাস্তবতা হলো, একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গুলি চালানো হয়েছে, এবং তাতে প্রাণ গেছে, মানুষ আহত হয়েছে। এটি যে কোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হলো জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশেষকরে নির্বাচনের সময় এটা অত্যন্ত জরুরি। ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে এমন সন্ত্রাসী হামলা হলে তা শুধু দলের কর্মীদের নয়, সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এতে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হয়, গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল হয়।

আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) সম্প্রতি তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। চট্টগ্রামের এই ঘটনাটি সেই আশঙ্কাকে বাস্তবে রূপ দিল। এখনই যদি কঠোর ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে সামনে আরও অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের এখন দায়িত্ব হচ্ছে, নির্বাচনী সহিংসতার সব ঘটনা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি। অপরাধী যে দলেরই কর্মী হোক না কেন তাকে বা তাদেরকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া চলবে না। রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।

একই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকেও সংযম দেখাতে হবে। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন সহিংসতায় রূপ না নেয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

গণতন্ত্র তখনই শক্ত হয়, যখন মতের লড়াই হয় যুক্তি ও ভোটের মাধ্যমে, অস্ত্রের মাধ্যমে নয়। তাই নির্বাচনী সহিংসতা এখনই বন্ধ করতে হবে।

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগের সময় গুলির ঘটনায় একজন নিহত এবং প্রার্থীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনা নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। নির্বাচন সামনে রেখে এমন সহিংসতা গণতন্ত্রের জন্য মন্দ বার্তা বহন করে। রাজনীতিতে মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু তা কখনোই প্রাণহানির কারণ হতে পারে না।

নিহত সরোয়ার হোসেন বাবলা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিল বলে জানা গেছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন। নিহত ব্যক্তির পরিচয় যেটাই হোক বাস্তবতা হলো, একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গুলি চালানো হয়েছে, এবং তাতে প্রাণ গেছে, মানুষ আহত হয়েছে। এটি যে কোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হলো জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশেষকরে নির্বাচনের সময় এটা অত্যন্ত জরুরি। ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে এমন সন্ত্রাসী হামলা হলে তা শুধু দলের কর্মীদের নয়, সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এতে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হয়, গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল হয়।

আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) সম্প্রতি তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। চট্টগ্রামের এই ঘটনাটি সেই আশঙ্কাকে বাস্তবে রূপ দিল। এখনই যদি কঠোর ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে সামনে আরও অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের এখন দায়িত্ব হচ্ছে, নির্বাচনী সহিংসতার সব ঘটনা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি। অপরাধী যে দলেরই কর্মী হোক না কেন তাকে বা তাদেরকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া চলবে না। রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।

একই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকেও সংযম দেখাতে হবে। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন সহিংসতায় রূপ না নেয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

গণতন্ত্র তখনই শক্ত হয়, যখন মতের লড়াই হয় যুক্তি ও ভোটের মাধ্যমে, অস্ত্রের মাধ্যমে নয়। তাই নির্বাচনী সহিংসতা এখনই বন্ধ করতে হবে।

back to top