চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগের সময় গুলির ঘটনায় একজন নিহত এবং প্রার্থীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনা নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। নির্বাচন সামনে রেখে এমন সহিংসতা গণতন্ত্রের জন্য মন্দ বার্তা বহন করে। রাজনীতিতে মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু তা কখনোই প্রাণহানির কারণ হতে পারে না।
নিহত সরোয়ার হোসেন বাবলা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিল বলে জানা গেছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন। নিহত ব্যক্তির পরিচয় যেটাই হোক বাস্তবতা হলো, একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গুলি চালানো হয়েছে, এবং তাতে প্রাণ গেছে, মানুষ আহত হয়েছে। এটি যে কোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হলো জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশেষকরে নির্বাচনের সময় এটা অত্যন্ত জরুরি। ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে এমন সন্ত্রাসী হামলা হলে তা শুধু দলের কর্মীদের নয়, সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এতে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হয়, গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল হয়।
আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) সম্প্রতি তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। চট্টগ্রামের এই ঘটনাটি সেই আশঙ্কাকে বাস্তবে রূপ দিল। এখনই যদি কঠোর ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে সামনে আরও অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের এখন দায়িত্ব হচ্ছে, নির্বাচনী সহিংসতার সব ঘটনা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি। অপরাধী যে দলেরই কর্মী হোক না কেন তাকে বা তাদেরকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া চলবে না। রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।
একই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকেও সংযম দেখাতে হবে। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন সহিংসতায় রূপ না নেয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
গণতন্ত্র তখনই শক্ত হয়, যখন মতের লড়াই হয় যুক্তি ও ভোটের মাধ্যমে, অস্ত্রের মাধ্যমে নয়। তাই নির্বাচনী সহিংসতা এখনই বন্ধ করতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগের সময় গুলির ঘটনায় একজন নিহত এবং প্রার্থীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনা নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। নির্বাচন সামনে রেখে এমন সহিংসতা গণতন্ত্রের জন্য মন্দ বার্তা বহন করে। রাজনীতিতে মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু তা কখনোই প্রাণহানির কারণ হতে পারে না।
নিহত সরোয়ার হোসেন বাবলা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিল বলে জানা গেছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন। নিহত ব্যক্তির পরিচয় যেটাই হোক বাস্তবতা হলো, একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গুলি চালানো হয়েছে, এবং তাতে প্রাণ গেছে, মানুষ আহত হয়েছে। এটি যে কোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হলো জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশেষকরে নির্বাচনের সময় এটা অত্যন্ত জরুরি। ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে এমন সন্ত্রাসী হামলা হলে তা শুধু দলের কর্মীদের নয়, সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এতে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হয়, গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল হয়।
আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) সম্প্রতি তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। চট্টগ্রামের এই ঘটনাটি সেই আশঙ্কাকে বাস্তবে রূপ দিল। এখনই যদি কঠোর ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে সামনে আরও অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের এখন দায়িত্ব হচ্ছে, নির্বাচনী সহিংসতার সব ঘটনা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি। অপরাধী যে দলেরই কর্মী হোক না কেন তাকে বা তাদেরকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া চলবে না। রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।
একই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকেও সংযম দেখাতে হবে। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন সহিংসতায় রূপ না নেয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
গণতন্ত্র তখনই শক্ত হয়, যখন মতের লড়াই হয় যুক্তি ও ভোটের মাধ্যমে, অস্ত্রের মাধ্যমে নয়। তাই নির্বাচনী সহিংসতা এখনই বন্ধ করতে হবে।