পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৃষকেরা সার সংকটের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। এই দৃশ্য দেশের কৃষি পরিস্থিতির এক গভীর উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে। ভুক্তভোগী কৃষকরা জানিয়েছেন, চলতি রবি মৌসুমে ডিএপি, ইউরিয়া ও টিএসপি সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ডিলাররা পর্যাপ্ত সার সরবরাহ করতে পারছেন না। ফলে রোপণ মৌসুম ব্যাহত হচ্ছে, উৎপাদন ব্যয়ও বাড়ছে।
এ অভিযোগও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা দরকার যে, কিছু ডিলার সার মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। এমন অভিযোগ নতুন নয়। প্রায়ই দেখা যায়, মাঠপর্যায়ের নজরদারির অভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃষকের ক্ষতির সুযোগ নিচ্ছে। এই ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের দায়িত্ব।
কৃষকরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার মূল ভিত্তি। তারা যদি মৌসুমে পর্যাপ্ত সার না পান, তাহলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং তার প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতেও। তাই এখনই প্রয়োজন যথাযথ তদন্ত, দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং অনিয়মে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা।
ভাঙ্গুড়ার কৃষকরা যে সমস্যার মুখে পড়েছেন, তা যেন দেশের অন্য কোথাও না ঘটে সেসজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো জরুরি। সার মজুত ও কালোবাজারি রোধে নিয়মিত তদারকি ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। এই সত্যটা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে। তাই সার সংকট নিয়ে আর কোনো বিলম্ব নয়, এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।