দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত বুধবার ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ বছরের এক দিনে সর্বোচ্চ। এইডিস মশাবাহিত রোগে চলতি বছরে ইতিমধ্যে তিন শ’ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করেছিলেন যে, দেশে ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে, এখনই ব্যবস্থা না নিলে বিপর্যয় ঘটবে। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা আমলে নেওয়া হয়নি। যে কারণে আজকের এই ভয়াবহতা।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলেছেন, এই মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য ছিল। সরকারের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলার কারণেই মানুষ মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ডেঙ্গু রোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে দেওয়ায় সেই কাজ আর নিয়মিত হচ্ছে না। নগর বা পৌর এলাকাগুলোতে কোথাও তেমন তদারকি নেই।
এদিকে হাসপাতালগুলোতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অনেক রোগী তখনই হাসপাতালে আসেন, যখন অবস্থা গুরুতর। আবার ঢাকার বাইরে অনেক চিকিৎসক ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। ফলে ফ্লুইড ম্যানেজমেন্টে ভুল হয়, রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সারা বছর কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে শুধু সতর্কবার্তা দেওয়া সমস্যার সমাধান নয়। মানুষ চায়, বাস্তব পদক্ষেপ, দ্রুত চিকিৎসা, এবং মশা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত তদারকি।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় এখন সবচেয়ে জরুরি হলো স্বাস্থ্যসেবা বিকেন্দ্রীকরণ করা। কমিউনিটি ক্লিনিক বা উপজেলা পর্যায়ে স্বল্প খরচে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে দ্রুত শনাক্তকরণ সম্ভব হবে, এবং মৃত্যুহারও কমবে।
ডেঙ্গু শুধু একটি রোগ নয়, এটি একটি প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনই যদি পরিকল্পিত উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সংশ্লিষ্টদের উচিত জনস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় করা, এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত বুধবার ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ বছরের এক দিনে সর্বোচ্চ। এইডিস মশাবাহিত রোগে চলতি বছরে ইতিমধ্যে তিন শ’ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করেছিলেন যে, দেশে ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে, এখনই ব্যবস্থা না নিলে বিপর্যয় ঘটবে। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা আমলে নেওয়া হয়নি। যে কারণে আজকের এই ভয়াবহতা।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলেছেন, এই মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য ছিল। সরকারের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলার কারণেই মানুষ মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ডেঙ্গু রোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে দেওয়ায় সেই কাজ আর নিয়মিত হচ্ছে না। নগর বা পৌর এলাকাগুলোতে কোথাও তেমন তদারকি নেই।
এদিকে হাসপাতালগুলোতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অনেক রোগী তখনই হাসপাতালে আসেন, যখন অবস্থা গুরুতর। আবার ঢাকার বাইরে অনেক চিকিৎসক ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। ফলে ফ্লুইড ম্যানেজমেন্টে ভুল হয়, রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সারা বছর কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে শুধু সতর্কবার্তা দেওয়া সমস্যার সমাধান নয়। মানুষ চায়, বাস্তব পদক্ষেপ, দ্রুত চিকিৎসা, এবং মশা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত তদারকি।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় এখন সবচেয়ে জরুরি হলো স্বাস্থ্যসেবা বিকেন্দ্রীকরণ করা। কমিউনিটি ক্লিনিক বা উপজেলা পর্যায়ে স্বল্প খরচে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে দ্রুত শনাক্তকরণ সম্ভব হবে, এবং মৃত্যুহারও কমবে।
ডেঙ্গু শুধু একটি রোগ নয়, এটি একটি প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনই যদি পরিকল্পিত উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সংশ্লিষ্টদের উচিত জনস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় করা, এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।