alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

: শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত বুধবার ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ বছরের এক দিনে সর্বোচ্চ। এইডিস মশাবাহিত রোগে চলতি বছরে ইতিমধ্যে তিন শ’ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করেছিলেন যে, দেশে ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে, এখনই ব্যবস্থা না নিলে বিপর্যয় ঘটবে। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা আমলে নেওয়া হয়নি। যে কারণে আজকের এই ভয়াবহতা।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলেছেন, এই মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য ছিল। সরকারের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলার কারণেই মানুষ মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ডেঙ্গু রোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে দেওয়ায় সেই কাজ আর নিয়মিত হচ্ছে না। নগর বা পৌর এলাকাগুলোতে কোথাও তেমন তদারকি নেই।

এদিকে হাসপাতালগুলোতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অনেক রোগী তখনই হাসপাতালে আসেন, যখন অবস্থা গুরুতর। আবার ঢাকার বাইরে অনেক চিকিৎসক ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। ফলে ফ্লুইড ম্যানেজমেন্টে ভুল হয়, রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সারা বছর কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে শুধু সতর্কবার্তা দেওয়া সমস্যার সমাধান নয়। মানুষ চায়, বাস্তব পদক্ষেপ, দ্রুত চিকিৎসা, এবং মশা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত তদারকি।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় এখন সবচেয়ে জরুরি হলো স্বাস্থ্যসেবা বিকেন্দ্রীকরণ করা। কমিউনিটি ক্লিনিক বা উপজেলা পর্যায়ে স্বল্প খরচে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে দ্রুত শনাক্তকরণ সম্ভব হবে, এবং মৃত্যুহারও কমবে।

ডেঙ্গু শুধু একটি রোগ নয়, এটি একটি প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনই যদি পরিকল্পিত উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সংশ্লিষ্টদের উচিত জনস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় করা, এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত বুধবার ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ বছরের এক দিনে সর্বোচ্চ। এইডিস মশাবাহিত রোগে চলতি বছরে ইতিমধ্যে তিন শ’ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করেছিলেন যে, দেশে ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে, এখনই ব্যবস্থা না নিলে বিপর্যয় ঘটবে। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা আমলে নেওয়া হয়নি। যে কারণে আজকের এই ভয়াবহতা।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলেছেন, এই মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য ছিল। সরকারের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলার কারণেই মানুষ মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ডেঙ্গু রোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে দেওয়ায় সেই কাজ আর নিয়মিত হচ্ছে না। নগর বা পৌর এলাকাগুলোতে কোথাও তেমন তদারকি নেই।

এদিকে হাসপাতালগুলোতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অনেক রোগী তখনই হাসপাতালে আসেন, যখন অবস্থা গুরুতর। আবার ঢাকার বাইরে অনেক চিকিৎসক ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। ফলে ফ্লুইড ম্যানেজমেন্টে ভুল হয়, রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সারা বছর কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে শুধু সতর্কবার্তা দেওয়া সমস্যার সমাধান নয়। মানুষ চায়, বাস্তব পদক্ষেপ, দ্রুত চিকিৎসা, এবং মশা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত তদারকি।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় এখন সবচেয়ে জরুরি হলো স্বাস্থ্যসেবা বিকেন্দ্রীকরণ করা। কমিউনিটি ক্লিনিক বা উপজেলা পর্যায়ে স্বল্প খরচে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে দ্রুত শনাক্তকরণ সম্ভব হবে, এবং মৃত্যুহারও কমবে।

ডেঙ্গু শুধু একটি রোগ নয়, এটি একটি প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনই যদি পরিকল্পিত উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সংশ্লিষ্টদের উচিত জনস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় করা, এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।

back to top