alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

: শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের কলিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। প্রায় ৬০ বছরের পুরনো ভবনে ফাটল, স্যাঁতস্যাঁতে দেয়াল, ভেঙে পড়া আস্তর-এসবের মধ্যেই চলছে পাঠদান। শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, শিক্ষক-কর্মচারীরাও উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে ৫৫০ জন শিক্ষার্থী সেখানে পড়াশোনা করে। কিন্তু আজও ভবনটি সংস্কার হয়নি। মেয়েদের জন্য আলাদা কমনরুম নেই, বেঞ্চপত্র নড়বড়ে, ছাদের পলেস্তারা ঝরে পড়ে। এমন পরিবেশে শিক্ষার মান ঠিক রাখা সম্ভব নয়। উদ্বেগের বিষয় হলো, ভবনটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে, তাতে বড় দুর্ঘটনা ঘটলে দায় কে নেবে? এটা কেবল একটি বিদ্যালয়ের সমস্যা নয়, বরং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অবহেলার প্রতিচ্ছবি।

প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ১৯৯২ সালে নির্মিত ভবনটির জন্য কয়েক বছর আগে সংস্কারের আবেদন করা হয়েছিল। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের এই উদাসীনতার কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস চালানো মানে শিশুদের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমরা আশা করি, এ আশ্বাস কথায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে ভবনটির সংস্কার শুরু করতে হবে, প্রয়োজন হলে নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনাও নিতে হবে।

একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের অন্যান্য পুরনো বিদ্যালয়গুলোর তালিকা তৈরি করে দ্রুত পরিদর্শনের ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ নিরাপদ না হলে শিক্ষার মানও উন্নত হবে না

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের কলিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। প্রায় ৬০ বছরের পুরনো ভবনে ফাটল, স্যাঁতস্যাঁতে দেয়াল, ভেঙে পড়া আস্তর-এসবের মধ্যেই চলছে পাঠদান। শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, শিক্ষক-কর্মচারীরাও উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে ৫৫০ জন শিক্ষার্থী সেখানে পড়াশোনা করে। কিন্তু আজও ভবনটি সংস্কার হয়নি। মেয়েদের জন্য আলাদা কমনরুম নেই, বেঞ্চপত্র নড়বড়ে, ছাদের পলেস্তারা ঝরে পড়ে। এমন পরিবেশে শিক্ষার মান ঠিক রাখা সম্ভব নয়। উদ্বেগের বিষয় হলো, ভবনটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে, তাতে বড় দুর্ঘটনা ঘটলে দায় কে নেবে? এটা কেবল একটি বিদ্যালয়ের সমস্যা নয়, বরং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অবহেলার প্রতিচ্ছবি।

প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ১৯৯২ সালে নির্মিত ভবনটির জন্য কয়েক বছর আগে সংস্কারের আবেদন করা হয়েছিল। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের এই উদাসীনতার কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস চালানো মানে শিশুদের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমরা আশা করি, এ আশ্বাস কথায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে ভবনটির সংস্কার শুরু করতে হবে, প্রয়োজন হলে নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনাও নিতে হবে।

একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের অন্যান্য পুরনো বিদ্যালয়গুলোর তালিকা তৈরি করে দ্রুত পরিদর্শনের ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ নিরাপদ না হলে শিক্ষার মানও উন্নত হবে না

back to top