মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের কলিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। প্রায় ৬০ বছরের পুরনো ভবনে ফাটল, স্যাঁতস্যাঁতে দেয়াল, ভেঙে পড়া আস্তর-এসবের মধ্যেই চলছে পাঠদান। শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, শিক্ষক-কর্মচারীরাও উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে ৫৫০ জন শিক্ষার্থী সেখানে পড়াশোনা করে। কিন্তু আজও ভবনটি সংস্কার হয়নি। মেয়েদের জন্য আলাদা কমনরুম নেই, বেঞ্চপত্র নড়বড়ে, ছাদের পলেস্তারা ঝরে পড়ে। এমন পরিবেশে শিক্ষার মান ঠিক রাখা সম্ভব নয়। উদ্বেগের বিষয় হলো, ভবনটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে, তাতে বড় দুর্ঘটনা ঘটলে দায় কে নেবে? এটা কেবল একটি বিদ্যালয়ের সমস্যা নয়, বরং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অবহেলার প্রতিচ্ছবি।
প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ১৯৯২ সালে নির্মিত ভবনটির জন্য কয়েক বছর আগে সংস্কারের আবেদন করা হয়েছিল। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের এই উদাসীনতার কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস চালানো মানে শিশুদের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমরা আশা করি, এ আশ্বাস কথায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে ভবনটির সংস্কার শুরু করতে হবে, প্রয়োজন হলে নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনাও নিতে হবে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের অন্যান্য পুরনো বিদ্যালয়গুলোর তালিকা তৈরি করে দ্রুত পরিদর্শনের ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ নিরাপদ না হলে শিক্ষার মানও উন্নত হবে না
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের কলিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। প্রায় ৬০ বছরের পুরনো ভবনে ফাটল, স্যাঁতস্যাঁতে দেয়াল, ভেঙে পড়া আস্তর-এসবের মধ্যেই চলছে পাঠদান। শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, শিক্ষক-কর্মচারীরাও উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে ৫৫০ জন শিক্ষার্থী সেখানে পড়াশোনা করে। কিন্তু আজও ভবনটি সংস্কার হয়নি। মেয়েদের জন্য আলাদা কমনরুম নেই, বেঞ্চপত্র নড়বড়ে, ছাদের পলেস্তারা ঝরে পড়ে। এমন পরিবেশে শিক্ষার মান ঠিক রাখা সম্ভব নয়। উদ্বেগের বিষয় হলো, ভবনটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে, তাতে বড় দুর্ঘটনা ঘটলে দায় কে নেবে? এটা কেবল একটি বিদ্যালয়ের সমস্যা নয়, বরং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অবহেলার প্রতিচ্ছবি।
প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ১৯৯২ সালে নির্মিত ভবনটির জন্য কয়েক বছর আগে সংস্কারের আবেদন করা হয়েছিল। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের এই উদাসীনতার কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস চালানো মানে শিশুদের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমরা আশা করি, এ আশ্বাস কথায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে ভবনটির সংস্কার শুরু করতে হবে, প্রয়োজন হলে নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনাও নিতে হবে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের অন্যান্য পুরনো বিদ্যালয়গুলোর তালিকা তৈরি করে দ্রুত পরিদর্শনের ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ নিরাপদ না হলে শিক্ষার মানও উন্নত হবে না