alt

মতামত » সম্পাদকীয়

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

সিলেটের কোম্পানিগঞ্জে পাথর লুটের ঘটনা এখন আর নতুন নয়। একের পর এক অভিযান, আটক, মামলা -কিছুই যেন থামাতে পারছে না এই অবৈধ বাণিজ্য। সম্প্রতি সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুটে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। এখন আবার শাহ আরেফিন টিলায় একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই টিলা কেটে, প্রকৃতি ধ্বংস করে চলছে পাথর লুটপাট।

শাহ আরেফিন টিলার প্রায় ৮৫ শতাংশ পাথর ইতিমধ্যেই লুট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টিলা কেটে পাথর সরিয়ে নেওয়া হলেও অভিযান শেষ হতেই আবার শুরু হয় উত্তোলন। এর মানে, আইন প্রয়োগের ভয়ে নয়, বরং সুযোগ পেলেই চলছে পরিবেশ ধ্বংসের উৎসব। পুলিশ কয়েকটি ট্রাকভর্তি পাথর জব্দ করেছে, কিন্তু এটি পুরো লুটের এক ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে কারা। প্রশাসন, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়া ছাড়া এত বড় লুটপাট কি সম্ভব? অভিযান শেষে আবারও পাথর উত্তোলন শুরু হওয়ার কারণ কী?

পাথর লুট শুধু রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করছে না, বরং পাহাড় ও নদী-নালার ভারসাম্য নষ্ট করছে। এটা দীর্ঘমেয়াদে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হবে। নদীর প্রবাহ ব্যাহত হবে, ভূমিধস বাড়বে, স্থানীয় কৃষি ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

পাথর লুট বন্ধে প্রশাসনকে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু অভিযান চালানো যথেষ্ট নয়। চিহ্নিত দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। স্থানীয় মানুষকেও অবৈধা পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে সচেতন ও সংগঠিত হতে হবে।

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

সিলেটের কোম্পানিগঞ্জে পাথর লুটের ঘটনা এখন আর নতুন নয়। একের পর এক অভিযান, আটক, মামলা -কিছুই যেন থামাতে পারছে না এই অবৈধ বাণিজ্য। সম্প্রতি সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুটে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। এখন আবার শাহ আরেফিন টিলায় একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই টিলা কেটে, প্রকৃতি ধ্বংস করে চলছে পাথর লুটপাট।

শাহ আরেফিন টিলার প্রায় ৮৫ শতাংশ পাথর ইতিমধ্যেই লুট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টিলা কেটে পাথর সরিয়ে নেওয়া হলেও অভিযান শেষ হতেই আবার শুরু হয় উত্তোলন। এর মানে, আইন প্রয়োগের ভয়ে নয়, বরং সুযোগ পেলেই চলছে পরিবেশ ধ্বংসের উৎসব। পুলিশ কয়েকটি ট্রাকভর্তি পাথর জব্দ করেছে, কিন্তু এটি পুরো লুটের এক ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে কারা। প্রশাসন, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়া ছাড়া এত বড় লুটপাট কি সম্ভব? অভিযান শেষে আবারও পাথর উত্তোলন শুরু হওয়ার কারণ কী?

পাথর লুট শুধু রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করছে না, বরং পাহাড় ও নদী-নালার ভারসাম্য নষ্ট করছে। এটা দীর্ঘমেয়াদে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হবে। নদীর প্রবাহ ব্যাহত হবে, ভূমিধস বাড়বে, স্থানীয় কৃষি ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

পাথর লুট বন্ধে প্রশাসনকে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু অভিযান চালানো যথেষ্ট নয়। চিহ্নিত দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। স্থানীয় মানুষকেও অবৈধা পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে সচেতন ও সংগঠিত হতে হবে।

back to top