সিলেটের কোম্পানিগঞ্জে পাথর লুটের ঘটনা এখন আর নতুন নয়। একের পর এক অভিযান, আটক, মামলা -কিছুই যেন থামাতে পারছে না এই অবৈধ বাণিজ্য। সম্প্রতি সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুটে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। এখন আবার শাহ আরেফিন টিলায় একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই টিলা কেটে, প্রকৃতি ধ্বংস করে চলছে পাথর লুটপাট।
শাহ আরেফিন টিলার প্রায় ৮৫ শতাংশ পাথর ইতিমধ্যেই লুট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টিলা কেটে পাথর সরিয়ে নেওয়া হলেও অভিযান শেষ হতেই আবার শুরু হয় উত্তোলন। এর মানে, আইন প্রয়োগের ভয়ে নয়, বরং সুযোগ পেলেই চলছে পরিবেশ ধ্বংসের উৎসব। পুলিশ কয়েকটি ট্রাকভর্তি পাথর জব্দ করেছে, কিন্তু এটি পুরো লুটের এক ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে কারা। প্রশাসন, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়া ছাড়া এত বড় লুটপাট কি সম্ভব? অভিযান শেষে আবারও পাথর উত্তোলন শুরু হওয়ার কারণ কী?
পাথর লুট শুধু রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করছে না, বরং পাহাড় ও নদী-নালার ভারসাম্য নষ্ট করছে। এটা দীর্ঘমেয়াদে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হবে। নদীর প্রবাহ ব্যাহত হবে, ভূমিধস বাড়বে, স্থানীয় কৃষি ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পাথর লুট বন্ধে প্রশাসনকে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু অভিযান চালানো যথেষ্ট নয়। চিহ্নিত দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। স্থানীয় মানুষকেও অবৈধা পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে সচেতন ও সংগঠিত হতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
সিলেটের কোম্পানিগঞ্জে পাথর লুটের ঘটনা এখন আর নতুন নয়। একের পর এক অভিযান, আটক, মামলা -কিছুই যেন থামাতে পারছে না এই অবৈধ বাণিজ্য। সম্প্রতি সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুটে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। এখন আবার শাহ আরেফিন টিলায় একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই টিলা কেটে, প্রকৃতি ধ্বংস করে চলছে পাথর লুটপাট।
শাহ আরেফিন টিলার প্রায় ৮৫ শতাংশ পাথর ইতিমধ্যেই লুট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টিলা কেটে পাথর সরিয়ে নেওয়া হলেও অভিযান শেষ হতেই আবার শুরু হয় উত্তোলন। এর মানে, আইন প্রয়োগের ভয়ে নয়, বরং সুযোগ পেলেই চলছে পরিবেশ ধ্বংসের উৎসব। পুলিশ কয়েকটি ট্রাকভর্তি পাথর জব্দ করেছে, কিন্তু এটি পুরো লুটের এক ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে কারা। প্রশাসন, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়া ছাড়া এত বড় লুটপাট কি সম্ভব? অভিযান শেষে আবারও পাথর উত্তোলন শুরু হওয়ার কারণ কী?
পাথর লুট শুধু রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করছে না, বরং পাহাড় ও নদী-নালার ভারসাম্য নষ্ট করছে। এটা দীর্ঘমেয়াদে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হবে। নদীর প্রবাহ ব্যাহত হবে, ভূমিধস বাড়বে, স্থানীয় কৃষি ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পাথর লুট বন্ধে প্রশাসনকে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু অভিযান চালানো যথেষ্ট নয়। চিহ্নিত দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। স্থানীয় মানুষকেও অবৈধা পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে সচেতন ও সংগঠিত হতে হবে।