বিদ্যালয় শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধু পাঠদান নয়, বরং শৃঙ্খলা, নৈতিকতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ শেখানোও এর অংশ। কিন্তু জামালপুরের মাদারগঞ্জের ইসলামাবাদ ওয়াসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দখলের ঘটনাটি এই মৌলিক উদ্দেশ্যের পরিপন্থী। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, যেখানে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও মুক্ত পরিবেশে শারীরিক বিকাশ ঘটাবে, সেটি দখল হয়ে গেছে একটি স্যানেটারী ব্যবসার গুদামে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠে টিনসেড ঘর তুলে চলছে “মেসার্স আলমগীর এন্টারপ্রাইজ”-এর ব্যবসা। চারদিকে ছড়ানো মালামাল দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ। বিষয়টি শুধু অনৈতিকই নয়, আইনেরও লঙ্ঘন।
আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, এই দখল দীর্ঘদিন ধরে চলছে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নোটিশ পাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী জায়গা ছাড়ছেন না। তার রাজনৈতিক পরিচয়ই যেন এ অবৈধ অবস্থান টিকিয়ে রাখার ঢাল হয়ে উঠেছে। এমন আচরণে শুধু প্রতিষ্ঠান নয়, সমাজেও ভুল বার্তা যায় যে, ক্ষমতা থাকলে নিয়ম ভাঙা যায়।
বিদ্যালয়ের মাঠ কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটি শিক্ষার্থীদের অধিকারভুক্ত জায়গা। সেখানে ব্যবসা স্থাপন মানে শিক্ষার্থীদের আনন্দ, নিরাপত্তা ও বিকাশের সুযোগ কেড়ে নেওয়া। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেছে, মাঠে খেলতে গিয়ে স্যানেটারী সামগ্রীতে আঘাত পায়। এটি এক ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনও বটে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সত্যিই মাঠ পুনরুদ্ধারে আন্তরিক হয়, তবে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। একাধিক নোটিসের পরও যদি জায়গা খালি না হয়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। শিক্ষা অফিসেরও দায়িত্ব রয়েছে। এ ধরনের বেআইনি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
বিদ্যালয় শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধু পাঠদান নয়, বরং শৃঙ্খলা, নৈতিকতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ শেখানোও এর অংশ। কিন্তু জামালপুরের মাদারগঞ্জের ইসলামাবাদ ওয়াসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দখলের ঘটনাটি এই মৌলিক উদ্দেশ্যের পরিপন্থী। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, যেখানে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও মুক্ত পরিবেশে শারীরিক বিকাশ ঘটাবে, সেটি দখল হয়ে গেছে একটি স্যানেটারী ব্যবসার গুদামে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠে টিনসেড ঘর তুলে চলছে “মেসার্স আলমগীর এন্টারপ্রাইজ”-এর ব্যবসা। চারদিকে ছড়ানো মালামাল দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ। বিষয়টি শুধু অনৈতিকই নয়, আইনেরও লঙ্ঘন।
আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, এই দখল দীর্ঘদিন ধরে চলছে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নোটিশ পাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী জায়গা ছাড়ছেন না। তার রাজনৈতিক পরিচয়ই যেন এ অবৈধ অবস্থান টিকিয়ে রাখার ঢাল হয়ে উঠেছে। এমন আচরণে শুধু প্রতিষ্ঠান নয়, সমাজেও ভুল বার্তা যায় যে, ক্ষমতা থাকলে নিয়ম ভাঙা যায়।
বিদ্যালয়ের মাঠ কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটি শিক্ষার্থীদের অধিকারভুক্ত জায়গা। সেখানে ব্যবসা স্থাপন মানে শিক্ষার্থীদের আনন্দ, নিরাপত্তা ও বিকাশের সুযোগ কেড়ে নেওয়া। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেছে, মাঠে খেলতে গিয়ে স্যানেটারী সামগ্রীতে আঘাত পায়। এটি এক ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনও বটে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সত্যিই মাঠ পুনরুদ্ধারে আন্তরিক হয়, তবে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। একাধিক নোটিসের পরও যদি জায়গা খালি না হয়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। শিক্ষা অফিসেরও দায়িত্ব রয়েছে। এ ধরনের বেআইনি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।